ইফতারে নিম্নমানের খাবার পরিবেশন ও আইটেম কম দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) স্যার এএফ রহমান হলের প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক সুপণের বিরুদ্ধে।

পরে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে আগামী শনিবার দিবাগত রাতে হল প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেহরির আয়োজন করার আশ্বাস দেন।

বুধবার (১২ মার্চ) বিকেলে খাবার বিতরণের পরপরই বিক্ষোভ শুরু করেন হলের শিক্ষার্থীরা। খাবারের মান নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে হলের সব শিক্ষার্থী এ বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেন।

আরো পড়ুন:

কিউএস এর ৫৫০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় ঢাবি

শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের সঙ্গে থাকবে জাতীয় বিপ্লবী পরিষদ

এ সময় ‘প্রভোস্টের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘দুর্নীতিবাজের কালো হাত, ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও’, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘ভুয়া ভুয়া’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে দেখা যায় তাদের। 

স্যার এএফ রহমান হলের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতি বছর রমজানে একটি নির্দিষ্ট দিনে হলগুলোর পক্ষ থেকে ইফতার আয়োজন করা হয়। এবারো সেই নিয়মের ব্যতিক্রম হয়নি। তবে, এবারের ইফতার আয়োজনটি অত্যন্ত নিম্নমানের ছিল। বিশেষ করে বিরিয়ানি ও ছোলা খাওয়ার উপযুক্ত ছিল না। মেন্যুতে পানি, জুস এবং কোমল পানীয়ের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। এছাড়া, কোনো ধরনের ফলমূল দেওয়া হয়নি। অন্যান্য হলগুলোর সঙ্গে তুলনা করলে স্পষ্টভাবে বোঝা যায়, আমাদের হলের ইফতারের মান অনেক কম ছিল। 

শিক্ষার্থীরা আরো জানান, আবাসিক ও অনাবাসিক মোট ১ হাজার ৬২৬ শিক্ষার্থীর জন্য ইফতার আয়োজনের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। তবে হলের মধ্যে আবাসিক শিক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৮০০ জন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শুধু আবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্যই খাবারের ব্যবস্থা করা হয়। অথচ অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো খাবারের ব্যবস্থা করা হয়নি। ফলে তাদের জন্য কোনো অর্থ ব্যয়ও করা হয়নি। তাহলে খাবারের মান এত কম কেন, জানতে চেয়েছেন শিক্ষার্থীরা।

অভিযোগের বিষয়ে প্রাধ্যক্ষ কাজী মাহফুজুল হক সুপণকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি। তবে তিনি গণমাধ্যমকে বলেছেন, “১০ থেকে ১২ জন শিক্ষার্থী এসে জানালো, তারা খাবার নিয়ে খুশি না। আমরা আগে রোজা আর পহেলা বৈশাখের খাবার একসঙ্গে দিতাম। এ বছরে দুটা ভিন্ন হয়ে গেছে।”

তিনি আরো বলেন, “আমরা পহেলা বৈশাখের খাবার আলাদা দিব। পহেলা বৈশাখে যে খাবারটা দেই- একটা মুরগির রোস্ট, একটা সেদ্ধ ডিম ও একটা দই। এটা আমরা ইফতারের সঙ্গে দেইনি।”

ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

গাজায় যুদ্ধ বন্ধে এবার ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিজাত ইউনিটের পিটিশন

ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় চলমান যুদ্ধ বন্ধ এবং বন্দিদের মুক্তির আহ্বান জানিয়ে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর আরো কয়েকশ’ সদস্য নতুন একটি পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।

ইসরায়েলি টেলিভিশন চ্যানেল কান-এর বরাত দিয়ে শনিবার (১২ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু।

কান জানিয়েছে, শুক্রবার (১১ এপ্রিল) নতুন একটি চিঠিতে স্বাক্ষরকারী সৈন্যরা সেনাবাহিনীর বিভিন্ন বিভাগ এবং বিশেষায়িত বিভাগের সদস্য।যার মধ্যে রয়েছে গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০, বিশেষ বাহিনী এবং সায়েরেত মাতকাল, শায়েতেত এবং শালদাগের মতো অভিজাত ইউনিট।

আরো পড়ুন:

গাজা ‘পৃথিবীর নরকে’ পরিণত হয়েছে: রেড ক্রস

সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ‘মার্চ ফর গাজা’ শনিবার

কান আরো জানিয়েছে, স্বাক্ষরকারীদের মধ্যে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ সক্রিয় রিজার্ভ সেনা।

আনাদোলুর একটি হিসাব অনুসারে, বৃহস্পতিবার থেকে এখন পর্যন্ত ছয়টি পিটিশন স্বাক্ষরিত হয়েছে। প্রথম চিঠিতে ইসরায়েলি বিমান বাহিনীর প্রায় এক হাজার সদস্য স্বাক্ষর করেছেন। পরে এতে ১ হাজার ইসরায়েলি শিক্ষাবিদ যোগ দিয়েছেন।

দ্বিতীয় পিটিশনে ইসরায়েলি সাঁজোয়া বাহিনী এবং নৌবাহিনীর কয়েকশ’ সদস্য; তৃতীয়টিতে কয়েক ডজন রিজার্ভ সামরিক চিকিৎসক; চতুর্থটিতে সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা ইউনিট ৮২০০ এর কয়েকশ’ সদস্য, পঞ্চমটিতে প্রায় ১০০ সামরিক চিকিৎসক এবং সর্বশেষ ষষ্ঠটিতে বিশেষ এবং অভিজাত বাহিনীসহ বিভিন্ন ইউনিটের কয়েক’শ সদস্য স্বাক্ষর করেছেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বেশ কয়েকটি বিবৃতিতে যেকোনো পিটিশনে স্বাক্ষরকারী সক্রিয় সেনাদের বরখাস্ত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

দীর্ঘ ১৫ মাস সামরিক অভিযানের পর যুক্তরাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের চাপে গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় যুদ্ধবিরতিতে সম্মত হয় হামাস ও ইসরায়েল।  তবে এই যুদ্ধবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করে গত ১৮ মার্চ থেকে গাজায় ফের তীব্র হামলা শুরু করেছে ইসরায়েল।

২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলি হামলায় এ পর্যন্ত ৫১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। নিহতের বেশিরভাগই নারী ও শিশু। ইসরায়েলের ব্যাপক সামরিক অভিযানের ফলে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে এবং এটি প্রায় বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতাবিরোধী অপরাধের জন্য ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে।

গাজায় তাদের আচরণের জন্য আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যা মামলাও চলছে।

ঢাকা/ফিরোজ

সম্পর্কিত নিবন্ধ