Samakal:
2025-04-12@06:29:30 GMT

দুই ভাগ হচ্ছে এনবিআর

Published: 12th, March 2025 GMT

দুই ভাগ হচ্ছে এনবিআর

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান জানিয়েছেন, রাজস্ব কার্যক্রম সংস্কারের লক্ষ্যে এনবিআর ভেঙে রাজস্বনীতি ও রাজস্ব ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম আলাদা করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে ঈদের আগেই দুই ভাগ হয়ে যাবে এনবিআর। কার্যক্রম শুরু হবে নতুন অর্থবছরের প্রথম থেকেই। বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এনবিআর ভবনে বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (ট্যাক্সেশন) অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত ‘আয়কর আইন, ২০২৩: সংস্কার ও প্রেক্ষিত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ তথ্য জানান। এতে সভাপতিত্ব করেন বিসিএস ট্যাক্সেশন ক্যাডার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যরিস্টার মুতাসিম বিল্লাহ ফারুকী, স্বাগত বক্তব্য দেন মহাসচিব সৈয়দ মহিদুল হাসান। মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ মামুন।

এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, ‘টক অব দ্য কান্ট্রি- ট্যাক্স পলিসি এবং কর ব্যবস্থাপনা আলাদা হচ্ছে। এটা এতদিন অনুমান ছিল। সামনে বাস্তবে রূপ পাচ্ছে। প্রধান উপদেষ্টা বুধবারও ডেকে জানিয়েছেন, ঈদের আগেই আলাদা হওয়ার বিষয়টি পাস হবে। আগামী ১ জুলাই থেকেই এর কার্যকম শুরু হবে।’

বিষয়টা চ্যালেঞ্জিং হতে পারে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘এর যে কাঠামো, সফটওয়্যার, সেটা তৈরি করার জন্য যথেষ্ট সময় লাগে। তবে দ্রুত করতে পারলে অসম্ভব বলে কিছু নেই। এনবিআর সেদিকেই এগোচ্ছে।’

আব্দুর রহমান খান বলেন, ‘উপদেষ্টা পরিষদের নীতিগত সিদ্ধান্ত আগেই হয়েছিল। আইনের একটা খসড়া করা হয়েছে। সেটি অচিরেই উপদেষ্টা পরিষদে উঠবে এবং জারি হবে। সেখানে বিশদভাবে এনবিআর যা চাচ্ছে বা সরকার যে নির্দেশনা দিয়েছে, সেটা হলো রাজস্ব নীতি একটা বিভাগ হবে। রাজস্ব ব্যবস্থাপনা, যেটা এনবিআরের প্রধান কাজ, আইন প্রয়োগ করা, সেটার জন্য আলাদা একটা বিভাগ হবে। এই দুটো বিভাগ স্বাধীনভাবে কাজ করবে। কিছু সমন্বয়ের ব্যবস্থা থাকবে। কিছু বাইরের লোকও থাকবে। অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য। রাজস্ব ব্যবস্থাপনায় যাঁরা অভিজ্ঞ, তাঁরাই এই কাজগুলো করবেন।’

মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কর কমিশনার ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ মামুন। তিনি বলেন, দেশের কর-জিডিপি অনুপাত খুবই কম যা ৩ দশমিক ২ শতাংশ। এর অন্যতম কারণ, অনেক বেশি কর অব্যাহতি দিতে হয়। যার কারণে কর ব্যয় অনেক বেশি। কর ব্যবস্থাপনায় অসঙ্গতি দূর করতে প্রশাসনিক সংস্কার, তথ্য ও প্রযুক্তি নির্ভর আয়কর বিভাগ বিনির্মাণের সংস্কার, আইন ও বিধি সংস্কার এবং সকল অংশীজনের দৃষ্টিভঙ্গির সংস্কার প্রয়োজন। 

আয়কর আইনের অসঙ্গতির বিষয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, কর-জিডিপির হার অত্যন্ত কম, এটা সত্য। জিডিপির হিসাব নিয়ে অনেকেই বলেন, এটি অতিরঞ্জিত। তবে কর অব্যাহতির কারণে রাজস্ব কম আহরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে কর অব্যাহতির সংস্কৃতিটা চর্চা চলছে। এখান থেকে ধীরে ধীরে বের হতে হবে। 

আব্দুর রহমান বলেন, দেশে যে পরিমাণ সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ হচ্ছে তা প্রতিযোগিতামূলক দেশগুলোর তুলনায় অনেক কম। এর কারণ, সুশাসনের অভাব। এখানে গুরুত্ব দিতে হবে। যদি বলা হয়, কর দিতে হবে না। উল্টো সরকারি কোষাগার থেকে প্রণোদনা দেওয়া হবে, তারপরও দেশে বিনিয়োগ আসবে কি না সন্দেহ। কারণ, তাদের যে ধরনের সেবা প্রয়োজন, সেটা ঠিক মতো দিতে পারি না। আইনের শাসন একেবারেই অনুপস্থিত। 

রাজস্ব আয় বাড়াতে আইন প্রয়োগের ওপর জোর দিয়ে এনবিআর চেয়ারম্যান বলেন, যাঁরা করদাতা নন, তাঁরাও কর দেন। গৃহিণী, ছাত্রছাত্রী, তাঁরাও ব্যাংকে টাকা রাখেন। তাঁদের মুনাফা থেকেও কর আদায় হয়। এটা প্রত্যক্ষ কর। এখনও রাজস্ব আয়ের দুই-তৃতীয়াংশ আসে পরোক্ষ কর থেকে। তার মানে এখনও গরিব মানুষেরা বাংলাদেশে কর দেয়। এটাই সত্য। ৫৩ বছর ধরে ঘাটতি বাজেট চলছে। প্রচুর ঋণ হয়েছে। ঋণের কিস্তি ও সুদ পরিশোধ করা এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। 

অনুষ্ঠানে এনবিআর সদস্য জি এম আবুল কালাম কায়কোবাদ বলেন, ব্যবসার পরিধি অনুযায়ী উৎসে কর নির্ধারণ করা হয়। সব ব্যবসার আয় ও মুনাফা এক রকম নয়। মুনাফার ভিত্তিতে উৎসে কর বিভিন্ন রকম করা হয়েছে। এগুলোর পুনর্বিবেচনা করা হবে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব ব যবস ন বল ন

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনা ওয়াসা: প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ 

পানির লাইনের সংযোগ দেওয়ার কথা বলে গ্রাহকদের কাছ থেকে অর্থ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে খুলনা ওয়াসার উপ-সহকারী প্রকৌশলী চিন্ময় মহলদারের বিরুদ্ধে। 

তবে অর্থ দিয়েও পানির লাইন না পাওয়ায় খুলনা ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর ছয় জন গ্রাহক লিখিত অভিযোগ করেছেন। কিন্তু অভিযোগ করেও কোন প্রতিকার মেলেনি। 

লিখিত অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, খুলনা মহানগরীর ১৮নং ওয়ার্ডের নবীনগর এলাকার মুহাম্মদীয়া জামে মসজিদ সংলগ্ন চৌরাস্তার মোড়ের উত্তর দিকের গলিতে এই ছয় জন গ্রাহকের বসবাস। ওয়াসার পানির সংযোগ লাইন দেওয়ার কথা বলে খুলনা ওয়াসার উপ-সহকারী প্রকৌশলী চিন্ময় মহলদার ২০২৪ সালের ২৩ এপ্রিল আ. লতিফ চিশতির নিকট থেকে ১৩ হাজার, এস এম কামরুজ্জামানের কাছ থেকে ১৪ হাজার, নজরুল ইসলামের কাছ থেকে ১৪ হাজার, আলম খানের কাছ থেকে ১৪ হাজার, মো. তৈয়বুর রহমানের কাছ থেকে ১৪ হাজার ও নূরজাহান বেগমের কাছ থেকে ১৪ হাজার টাকা গ্রহণ করেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত তারা কেউ পানির লাইন পাননি। 

গ্রাহক আ. লতিফ চিশতি বলেন, “ওয়াসার উপ সহকারী প্রকৌশলী চিন্ময় মহলদার ১৫ দিনের ভিতরে পানির লাইন দেওয়ার কথা বলে আমাদের কাছ থেকে টাকা নিয়েছে। কিন্তু ৯ মাসের মধ্যে এখনও পর্যন্ত আমরা পানির লাইন পাইনি।”

অপর গ্রাহক এস এম কামরুজ্জামান বলেন, “পানির লাইন পাওয়ার জন্য আমরা আবেদন করেছি। আজ দেবে-কাল দেবে এভাবে বলে ঘোরাচ্ছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত পানির লাইন দেয়নি।” 

এদিকে অভিযোগ স্বীকার করে ওয়াসার উপ-সহকারী প্রকৌশলী চিন্ময় মহলদার বলেন, “অনেক সময় লাইন বসানোর পর গ্রাহক টাকা জমা দিতে গড়িমসি করে। অনেককে খুঁজে পাওয়া যায় না। এ কারণে গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম টাকা নিয়েছি। তবে তার পরিমাণ ৮৩ হাজার নয়, ৬৯ হাজার টাকা। ৯ মাস ধরে এ টাকা আমার কাছেই আছে, অফিসে জমা দেওয়া হয়নি।” 

তিনি জানান, বিধি বহির্ভূতভাবে তিনি এ অর্থ গ্রহণ করেছেন। তবে আগামী ৮-১০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট গ্রাহকরা পানির লাইন পাবেন এবং তাদের কাছ থেকে গ্রহণকৃত টাকার অতিরিক্ত তাদের ফেরত দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ওয়াসার সচিব প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, “গ্রাহকদের কাছ থেকে ওয়াসার কোন কর্মকর্তা-কর্মচারীর নগদ টাকা গ্রহণের সুযোগ নেই। যদি কারও বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হয় তবে বিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”

ঢাকা/নুরুজ্জামান/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এখনও পুরনো যেসব রীতিতে চৈত্রসংক্রান্তি পালন করেন রংপুরের মানুষ
  • এখনও পুরনো রীতিতে চৈত্রসংক্রান্তি পালন করেন রংপুরের মানুষ
  • রাশিয়া সফরে ট্রাম্পের দূত, ইউরোপের উদ্বেগ
  • ট্রাম্পের বাণিজ্যযুদ্ধ থামলেও প্রভাব হবে সুদূরপ্রসারী
  • রাজস্ব আহরণে আমাদের ওপর চাপ বাড়ছে
  • বামপন্থার পুনর্জাগরণ হচ্ছে না কেন
  • রাজস্ব আহরণে আমাদের ওপর চাপ বাড়ছে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • ব্যবসাবান্ধব করতে এনবিআরকে অটোমেশন করা হচ্ছে: এনবিআর চেয়ারম্যান
  • খুলনা ওয়াসা: প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে অর্থ বাণিজ্যের অভিযোগ 
  • ‘আমার জন্য কেউ আগাইয়া আসলো না’