২০১৬ সালে আমির খানের ‘দঙ্গল’ ছবির মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে বলিউডে অভিষেক। বক্স অফিসে ঝড় তোলা ছবিটি দিয়ে সফলতার চূড়ায় পৌঁছে গিয়েছিলেন ফাতিমা সানা শেখ। এরপর নায়িকা হিসেবে এই ইন্ডাস্ট্রিতে আট বছর কেটে গেছে। তারপরও ফাতিমার সঙ্গে যেকোনো আলাপচারিতায় চলে আসে ‘দঙ্গল’ প্রসঙ্গ। ‘এই ছবির সফলতা আমাকে চাপের মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। সত্যি বলতে, “দঙ্গল” ছবির পর আমার ফিল্মি ভ্রমণ আরও কঠিন হয়ে যায়। আমার খালি মনে হচ্ছিল যে এই ছবির মাধ্যমে আমি যে ভাবমূর্তি এবং ‘বেঞ্চমার্ক’ তৈরি করেছি, আমি আমার পরবর্তী ছবির মাধ্যমে সবার সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারব কি না। আমি নিজেই নিজের প্রতি অনাস্থা দেখাতে শুরু করেছিলাম। “দঙ্গল” ছবির পর মানুষ হয়তো মনে করছেন, আমি ভালো অভিনেত্রী, আমি কি আদৌ তা–ই? এসব প্রশ্ন তখন আমাকে তাড়া করত। একক ছবি করার সাহস দেখাতে পারতাম না। মনে হতো, সমগ্র ছবির দায়ভার আমার ওপর পড়বে। আর ছবিটা যদি ভালো না হয় বা দর্শক পছন্দ না করেন, আমি তাহলে কী করব? কোনো প্রকল্প নেওয়ার সময় আমাকে তখন একরাশ ভয় এবং অনিশ্চয়তা ঘিরে ধরত। আমার বুঝে উঠতে সময় লেগেছিল যে ব্যর্থতা আসতেই পারে আর ভুলভ্রান্তি হতেই পারে,’ অনেকটা এক নিশ্বাসেই কথাগুলো বললেন ফাতিমা।

আরও পড়ুনআপত্তিকর প্রস্তাব পেয়েছিলেন ফাতিমা শেখ২৮ জানুয়ারি ২০২৫

অনুরাগ বসুর ‘লুডো’ ছবির প্রসঙ্গ টেনে ফাতিমা বলেন, ‘“লুডো” আমার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছিল। “থাগস অব হিন্দুস্তান” ছবির পর আমি “লুডো”র শুটিং করেছিলাম। আমার তখন নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাসের চরম অভাব ছিল। তবে “লুডো”র শুটিংয়ের সময় আমি ভেবেছিলাম, যা হবে হোক, আমাকে আমার কাজ করে যেতে হবে। আর আমার নিজের প্রতি আস্থা বাড়াতে হবে।’

ফাতিমা সানা শেখ। অভিনেত্রীর ইনস্টাগ্রাম থেকে.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

সোনালী ব্যাংকের নতুন ডিএমডি হলেন নূরুন নবী

সোনালী ব্যাংক পিএলসির ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর (ডিএমডি) বা উপব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে পদোন্নতি পেয়েছেন মো. নূরুন নবী। ১০ এপ্রিল অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের এক প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে তাঁকে এই ব্যাংকের জেনারেল ম্যানেজার (জিএম বা মহাব্যবস্থাপক) থেকে ডিএমডি পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়। মো. নূরুন নবী ১৯৯৫ সালে সোনালী ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার বা জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা হিসেবে কর্মজীবন শুরু করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, দীর্ঘ তিন দশকের কর্মজীবনে মো. নূরুন নবী সোনালী ব্যাংকের বিভিন্ন শাখার ব্যবস্থাপক ও প্রধান কার্যালয়ের বিভিন্ন শাখার প্রধান হিসেবে দক্ষতা ও সফলতার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি সোনালী ব্যাংক পিএলসির ইন্ডিয়া অপারেশন ও সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে সফলতা ও দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন।

মো. নূরুন নবী জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। তিনি দ্য ইনস্টিটিউট অব ব্যাংকার্স, বাংলাদেশ থেকে ডিএআইবিবি ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি দেশ–বিদেশে বিভিন্ন প্রশিক্ষণ ও কর্মশালায় অংশ নেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মৌ চাষেই বদলে গেল নাহিদের জীবন
  • তওবার অশ্রু সবচেয়ে পবিত্র অশ্রু
  • সোনালী ব্যাংকের নতুন ডিএমডি হলেন নূরুন নবী