ওয়ানডের মাহমুদউল্লাহ যেখানে আলাদা
Published: 12th, March 2025 GMT
আলোচনাটা কদিন আগে শুরু হয়েছিল রাচিন রবীন্দ্রকে নিয়ে। ‘জেন জি’র ফ্যাবুলাস ফোরের একজন রবীন্দ্র ওয়ানডেতে এখন পর্যন্ত করেছেন পাঁচটা সেঞ্চুরি, পাঁচটিই বৈশ্বিক টুর্নামেন্টে। সেটাও মাত্র ১৪ ইনিংসে। এখন একই ধরনের আলোচনায় আসছে মাহমুদউল্লাহর নাম। মাহমুদউল্লাহরও চার ওয়ানডে সেঞ্চুরির চারটিই যে আইসিসি টুর্নামেন্টে!
হঠাৎ এমন আলোচনার কারণ নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন। কিছুক্ষণ আগে ফেসবুকে এক পোস্টে মাহমুদউল্লাহ জানিয়ে দিয়েছেন, বাংলাদেশের জার্সিতে আর কখনো খেলবেন না।
টেস্ট ক্রিকেটকে তিনি নাটকীয়ভাবে বিদায় বলে দিয়েছেন সেই ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টি থেকে অবসর নিয়েছেন গত বছর ভারতের বিপক্ষে সিরিজ শেষে। বাংলাদেশের জার্সিতে শুধু ওয়ানডেটাই খেলে যাচ্ছিলেন। আজ এই সংস্করণকেও বিদায় বলে দেওয়ায় তিনি এখন বাংলাদেশের সদ্য সাবেক ক্রিকেটার। সে কারণেই তাঁর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের সর্বোচ্চ রানের ইনিংসগুলোকে আরেকবার মনে করিয়ে দেওয়া।
চার সেঞ্চুরির চারটিই যেহেতু আইসিসি ইভেন্টে, ওয়ানডেতে তাঁর সর্বোচ্চ চারটি ইনিংসই যে তাই, সেটা আর না বললেও চলছে। তিনটি সেঞ্চুরি ওয়ানডে বিশ্বকাপে, একটি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে। এখানেও অভিজ্ঞতা অম্লমধুর। কারণ, তাঁর দুটি সেঞ্চুরি বাংলাদেশকে জিতিয়েছে, দুটিতে থাকতে হয়েছে পরাজিত দলে।
১০৩৯ মার্চ ২০১৫, অ্যাডিলেড
অ্যাডিলেডে মাহমুদউল্লাহর এই সেঞ্চুরি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের প্রথম.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
চারবার হার্টবিট বন্ধ, মাগুরার শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন
মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আটবছর বয়সী শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও রয়েছে।
বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।
সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
সেনাবাহিনীর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, শিশুটি আজ (বুধবার) চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ মিমি পারদ কিংবা তার চেয়ে নিম্নমুখী।
আট বছরের শিশুটি গত বুধবার (৫ মার্চ) বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।