বরগুনায় স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করার এক সপ্তাহ পর বাবার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার গভীর রাতে বাড়ির পেছন থেকে লাশটি উদ্ধার করা হয়। নিহত ওই ব্যক্তি (৪০) বরগুনা পৌর বাজারের একটি মুরগির দোকানে কাজ করতেন।

পরিবারের স্বজনরা জানান, স্কুলপড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫ মার্চ মামলা করেন ওই ব্যক্তি। মামলার আসামিকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। মামলার জেরে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ করেছেন তারা।

নিহতের স্ত্রী বলেন, স্বামী মোবাইলফোনে জানিয়েছিলেন, ফিরতে একটু দেরি হবে। অনেক রাতেও বাড়ি না ফিরলে মোবাইলে কল করি। কিন্তু তিনি রিসিভ করেননি। এক পর্যায়ে বাড়ির পেছনে মোবাইলের রিংটোন শোনা যায়। পরে সেখানে গিয়ে দেখি তার মরদেহ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

বরগুনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেওয়ান জগলুল হাসান বলেন, বাড়ির পেছন থেকে কাদামাখা লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পরে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

পরিবারের অভিযোগের বিষয়ে ওসি বলেন, ওই ব্যক্তির সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে ৫ মার্চ মামলা হয়েছে। একমাত্র আসামিকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরিবার দাবি করতেই পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: বরগ ন মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

চারবার হার্টবিট বন্ধ, মাগুরার শিশুটির অবস্থা সংকটাপন্ন

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আটবছর বয়সী শিশুটির জীবন সংকটাপন্ন। বুধবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় চারবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’ (আকস্মিকভাবে হৃৎস্পন্দন বন্ধ হয়ে যাওয়া) হয়েছে। পাশাপাশি অন্যান্য শারীরিক জটিলতাও রয়েছে। 

বুধবার বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এক ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছে। শিশুটির সুস্থতার জন্য সেনাবাহিনী দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে।

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের শিশুরোগের চিকিৎসাসংক্রান্ত নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (পিআইসিইউ) শিশুটির চিকিৎসা চলছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা এবং সে অনুযায়ী তাকে সর্বোচ্চ চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।

সেনাবাহিনীর ফেসবুক পোস্টে বলা হয়েছে, শিশুটি আজ (বুধবার) চারবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হয়েছে। সিপিআর (কার্ডিও পালমোনারি রিসাসিটেশন) দিয়ে তার শারীরিক অবস্থা স্থিতিশীল করা হয়েছে। তার রক্তে লবণের ভারসাম্যহীনতার কারণে ডায়ালাইসিস করা হচ্ছে। অন্যান্য জটিলতার পাশাপাশি শিশুটির রক্তচাপ ৬০/৪০ মিমি পারদ কিংবা তার চেয়ে নিম্নমুখী।

আট বছরের শিশুটি গত বুধবার (৫ মার্চ) বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। পরে বৃহস্পতিবার রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে শুক্রবার রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। অবস্থার আরও অবনতি হলে শনিবার বিকেলে শিশুটিকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) স্থানান্তর করা হয়। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ