চাঁদপুর শহরের নতুনবাজার এলাকায় চলকেটের প্রলোভন দেখিয়ে ৯ বছরের এক কন্যা শিশুকে কিডন্যাপের সময় জনতার হাতে আটক হয়েছেন মো. কামাল বেপারী (৩৫) নামে এক ব্যক্তি।

বুধবার (১২ মার্চ) সন্ধ্যায় আটকের তথ্য নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) মো. বাহার মিয়া।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কামাল নামের ওই ব্যক্তি অসৎ উদ্দ্যেশে দুই বার একটি কন্যা শিশুকে হাজী মহসীন রোড এলাকায় একা পেয়ে গতিরোধ করে। তাকে চকলেটের প্রলোভন দেখায়। পরে শিশুটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার সময় সে ভয় পেয়ে কান্না শুরু করলে স্থানীয়রা এগিয়ে আসে। শিশুটি ঘটনাটি জানালে লোকজন দৌড়ে গিয়ে ওই কিডন্যাপারকে ধরে ফেলে। পরে উত্তম মাধ্যম দিয়ে পুলিশে সপোর্দ করে।

এদিকে এ ঘটনার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে শিশুটির কান্না বিজড়িত কণ্ঠে স্থানীয়দের কাছে ঘটনার আদ্যোপান্ত জানাতে দেখা গেছে এবং ঘটনা শুনে স্থানীয়রা কামাল নামে ওই কিডন্যাপারকে রাগে ক্ষোভে উত্তম মাধ্যম গণধোলাই দিচ্ছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার ওসি মো.

বাহার মিয়া বলেন, “আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং কিডন্যাপার কামালকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।”

ঢাকা/অমরেশ/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

সাজেক যাওয়ার পথে ৮ পর্যটককে অপহরণের ঘটনায় নারীসহ গ্রেপ্তার ৪

খাগড়াছড়িতে পর্যটক অপহরণের ঘটনায় এক নারীসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল রোববার রাতে দীঘিনালা উপজেলার চিটিং টিলা এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহরণকারীদের গ্রেপ্তার করা হয়।

রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার নন্দনপুরের বাসিন্দা মো. খলিলুর রহমান ৮ বন্ধু মিলে সাজেক ঘোরার জন্য ২ মার্চ খাগড়াছড়ির উদ্দেশে রওনা হন। ৩ মার্চ তাঁরা যাত্রা করেন খাগড়াছড়ি থেকে সাজেকের পথে। সকাল সাড়ে ১০টায় দীঘিনালার ৯ মাইল এলাকায় পৌঁছালে অপহরণকারী মো. বেলাল ও আজিবুর রহমান তাঁদের গাড়ির গতিরোধ করে একটি আমবাগানের নিয়ে যান। এরপর আটকে রেখে মুক্তিপণ দাবি করেন।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, পর্যটকদের সারা রাত আটকে রেখে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ চায় বেলাল ও আজিজুর। অভিযুক্তরা অপহরণের শিকার পর্যটকদের কাছ থেকে ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায় করেন। বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে এই টাকা জমা হওয়ার বিষয়টি পুলিশ জানতে পেরে রোববার রাতে দীঘিনালার চিটিং টিলায় অভিযান শুরু করে। অভিযানে মো. বেলাল, আজিবুর রহমান, মো. সহিদুল, সুফিয়া বেগমকে চিটিং টিলার বিভিন্ন জায়গা থেকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪ জনসহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অপহরণের শিকার মো. খলিলুর রহমান দীঘিনালা থানায় একটি মামলা করেন।

ওসি বলেন, গ্রেপ্তার চারজন অপহরণের দায় প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে আটকদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‘বাবাকে বলেছিলাম মামলা করে বিচার পাব না, এখন বাবাকেই হারালাম’
  • স্কুলছাত্রী অপহরণ ও ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে মামলা, আসামি ছাত্রদল নেতাসহ ২
  • মাদ্রাসা শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর হত্যা, আটক ৩
  • খাগড়াছড়িতে পর্যটক অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪
  • ৮ পর্যটককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ, নারীসহ গ্রেপ্তার ৪
  • সাজেক যাওয়ার পথে ৮ পর্যটককে অপহরণের ঘটনায় নারীসহ গ্রেপ্তার ৪
  • মুক্তিপণের ২৫ লাখ দিয়েও ছেলেকে ফেরত পাননি বাবা, মিলন কোথায় ?