সোনারগাঁয়ে আইনজীবীর বাড়িতে হামলা-ভাঙচুর-লুটপাটের অভিযোগ
Published: 12th, March 2025 GMT
মাদক ব্যবসার কাজে বাধা দেওয়ায় নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে মোগরাপাড়া ইউনিয়নের কামারগাঁও এলাকায় আইনজীবী মো.শরীফুল ইসলামের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আইনজীবী বাদী হয়ে ওই এলাকার মো. সোহাগ (২৫), মো. মাহফুজ মিয়া (২১), আমান মিয়া (৫০), অয়ন (১৯) ও মোসা. মুন্নীকে আসামি করে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে বলা হয়েছে, 'গত শনিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে সন্ত্রাসী সোহাগের নেতৃত্বে অস্ত্রসস্ত্র নিয়ে আইনজীবীর বাড়িতে ঢুকে বাড়ির গেইট, দরজা, জানালা ভাঙচুর করে ক্ষতি সাধন করেন। তারা এলাকায় চুরি ও ছিনতাইসহ মাদক ব্যবসা করে থাকে।
এ ছাড়া এলাকার বিভিন্ন লোকজনের কাছে চাঁদা দাবি করলে চাঁদা না দিলে মারধরসহ হুমকি দেয়। এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের সঙ্গে বিবাদীদের মৌখিকভাবে প্রতিবাদ করে বাধা নিষেধ করলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
একই দিন দুপুরে আমি এবং আমার স্ত্রী বাড়ি ফেরার পথে চাপাতি, চাকু, লোহার রড ও হাতুড়ি নিয়ে আমাদের পথরোধ করে। আমার স্ত্রী বিবাদীদের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করলে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করার চেষ্টা করে এবং আমাকে মারধর করে টাকা ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়।'
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল বারী বলেন, হামলা ও ভাঙচুরের বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
.উৎস: Narayanganj Times
কীওয়ার্ড: স ন রগ ও ন র য়ণগঞ জ আইনজ ব আইনজ ব স ন রগ
এছাড়াও পড়ুন:
শিশু যৌন নিপীড়ন ধাপাচাপা দিতে সাংবাদিককে আইনজীবীর চাপ
মানিকগঞ্জে এক বিয়ের অনুষ্ঠানে গিয়ে তিন বছরের শিশু যৌন নিপীড়নের শিকার হওয়ার ঘটনা ধামাচাপা দিতে সাংবাদকিকে চাপ প্রয়োগ করার অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল জজ কোর্টের আইনজীবী চিত্তরঞ্জন দাস নুপুরের বিরুদ্ধে।
সোমবার (১০ মার্চ) রাতে যৌন নিপীড়নের বিষয়ে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে খোঁজ নিতে যান কয়েকটি মিডিয়ার সাংবাদিকরা। এর সত্যতা পেয়ে সাংবাদিকরা যখন ফিরে যাচ্ছিলেন সেসময় আইনজীবী চিত্তরঞ্জন দাস নুপুর মুঠোফোনে ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক সোহেল তালুকদারকে ফোন করে নিউজ না করতে চাপ প্রয়োগ করেন।
ফোনে আইনজীবী চিত্তরঞ্জন দাস নুপুর বলেন, “নারী শিশু কোর্টের বিচারক অথবা টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপারকে বলে বিষয়টি মীমাংসা করা হবে। কোন মামলা যাতে না হয়, সেই বিষয়টিও আমি দেখছি।” বিষয়টি এত সহজে মীমাংসা করা যায় কিনা উল্টো প্রশ্ন করলে বিভিন্ন আইন দেখানোর চেষ্টা করেন তিনি।
এদিকে ঘটনার শাস্তি দাবি করলেও অস্বস্তি প্রকাশ করে সাংবাদিকদের সামনে আসেনি শিশুটির মা ও বাবা।
এর আগে গত শুক্রবার (৭ মার্চ) মানিকগঞ্জে বিয়ের দাওয়াতে গিয়ে ওই শিশু ১৪ বছরের এক স্কুলছাত্রের মাধ্যমে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। বিষয়টি ওই শিশুর মা টের পেয়ে টাঙ্গাইল চলে আসেন। রবিবার (৯ মার্চ) শিশুটিকে টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। সেখানে শিশুকে চিকিৎসক দেখার পর সোমবার (১০ মার্চ) উন্নত চিকিৎসার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে শিশুটিকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে ভর্তি করা হয়।
শিশুরটি মা বলেন, “বিয়ের অনুষ্ঠানের রাতে শিশুটির সাথে অন্যায় কাজ করা হয়। পরে মেয়ে আমাকে জানায় সে গোপনাঙ্গে ব্যাথা অনুভব করছে। পরে ঘটনার বিস্তারিত জানতে পারি আমার মেয়ের সাথে আমাদেরই আত্মীয়ের ১৪ বছরের একটি ছেলে খারাপ কাজ করেছে। বিষয়টি নিয়ে পারিবারিকভাবেও অশান্তিতে আছি।”
এ বিষয়ে ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক সোহেল তালুকদার বলেন, “বিজ্ঞ আইনজীবী ধর্ষকের পক্ষে একজন গণমাধ্যমকর্মীকে সংবাদ না করার জন্য হুমকি দিতে পারেন এটাই বিষ্মিত করেছে। তিনি এই ঘটনা মীমাংসা করতে পারেন কি না এমন কথায় ওই আইনজীবি বলেন, আদালতের জজ ও পুলিশ সুপারের সাথে কথা বলে সমাধান করবেন তিনি।”
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে দায়িত্বরত নার্সরা জানায়, শিশুটির সাথে খুবই অন্যায় করা হয়েছে। ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য সোয়াব টেস্ট করা হয়েছে।
টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাধায়ক ডা. সাদিকুর রহমান জানান, গোপানাঙ্গের বাইরে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রাথমিকভাবে এটিকে ধর্ষণের চেষ্টা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। সোয়াব টেস্ট করা হয়েছে। সেটির রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিস্তারিত তথ্য জানা যাবে।
ঢাকা/কাওছার/এস