৭৫ শতাংশ কমানো হলো পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি
Published: 12th, March 2025 GMT
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) সম্প্রতি এক আলোচিত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তারা ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটারদের ম্যাচ কমিয়ে দিয়েছে। নতুন এই পরিবর্তনের ফলে এবারের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে অংশ নেওয়া ক্রিকেটাররা প্রতি ম্যাচে মাত্র ১০ হাজার পাকিস্তানি রুপি পাবেন, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ৩৪০ টাকা। যেখানে আগের আসরে তারা প্রতি ম্যাচে ৪০ হাজার রুপি (প্রায় ১৭ হাজার ৩৬০ টাকা) করে পেত। অর্থা গেল বছরের চেয়ে এবার ক্রিকেটারদের ম্যাচ ফি কমানো হয়েছে ৭৫ শতাংশ।
নতুন কাঠামো অনুযায়ী, বেঞ্চে থাকা রিজার্ভ খেলোয়াড়দের ম্যাচ ফি আরও কমিয়ে ৫ হাজার রুপি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ হাজার ১৭০ টাকা। তবে পিসিবির এক কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এই সিদ্ধান্তের পেছনে কোনো আর্থিক সংকট নয়, বরং ঘরোয়া ক্রিকেটের ক্যালেন্ডারে টুর্নামেন্টের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় ক্রিকেটারদের আয়ের সুযোগ বেড়েছে।
পিসিবির বর্তমান চেয়ারম্যান মহসিন নাকভির নেতৃত্বে বোর্ডের ব্যয় ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি আশ্বাস দিয়েছিলেন যে, বোর্ডের তহবিল সংকটে নেই এবং এটি পাকিস্তান ক্রিকেটের উন্নয়নে ব্যয় করা হবে। কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, স্টেডিয়াম সংস্কার, বিদেশি কোচ নিয়োগ ও বরখাস্ত, এবং পরামর্শকদের উচ্চ সম্মানী বাবদ বিপুল অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। বোর্ডের পাঁচজন পরামর্শকের জন্য প্রতিমাসে ব্যয় হচ্ছে ৫০ লাখ পাকিস্তানি রুপি, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২১ লাখ ৭০ হাজার টাকা।
আরো পড়ুন:
পাকিস্তানে সেই ট্রেন থেকে ১০৪ জিম্মি উদ্ধার, নিহত ১৬
পাকিস্তানে তালেবানের হামলায় ৪ সেনা নিহত
প্রসঙ্গত, ২০২২-২৩ মৌসুমে পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটে ম্যাচ ফি অনেক বেশি ছিল। দুই বছর আগে ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেটাররা প্রতি ম্যাচে ৬০ হাজার রুপি (প্রায় ২৬ হাজার ৪০ টাকা) পেতেন। কায়েদ-ই-আজম ট্রফির ক্ষেত্রে সেই ফি ছিল আরও বেশি, প্রতি ম্যাচে ১ লাখ রুপি। অথচ এবার সেই ফি অনেক কমিয়ে দেওয়া হয়েছে, যা ক্রিকেটারদের মধ্যে অসন্তোষ সৃষ্টি করতে পারে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে ২০২৪-২৫ মৌসুমের ন্যাশনাল টি-টোয়েন্টি কাপ, যেখানে ১৮টি দল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। টুর্নামেন্টের ৪০টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে ফয়সালাবাদ, লাহোর ও মুলতানের তিনটি স্টেডিয়ামে। ২৭ মার্চ ফয়সালাবাদের ইকবাল স্টেডিয়ামে জমকালো ফাইনালের মধ্য দিয়ে পর্দা নামবে এই প্রতিযোগিতার।
ঢাকা/আমিনুল
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
বাণিজ্য ঘাটতি নিয়ে ট্রাম্প কি সত্য বলছেন, তাঁর চিন্তা কি পশ্চাৎপদ
রাজনীতিবিদেরা সাধারণত পুরো সত্য বলেন না। যেটুকু নিজের স্বার্থে কাজে আসে, সেটুকুই বলেন। এই বিষয়ক একটি রূপক ইংরেজিভাষী অঞ্চলে বহুল ব্যবহৃত। সেটা হলো ‘গ্লাস হাফ ফুল অর হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ গ্লাসে অর্ধেক পানি থাকলে কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ ফুল’ আর কেউ বলেন ‘গ্লাস হাফ এম্পটি’। অর্থাৎ একই জিনিস দুজন দুভাবে বলেন। কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক ভরা, কেউ বলেন গ্লাসটা অর্ধেক খালি।
বাস্তবতা হলো, যুক্তরাষ্ট্রের পাল্টা শুল্ক সম্পর্কে ডোনাল্ড ট্রাম্প সেই নীতির আশ্রয় নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের সামগ্রিকভাবে বাণিজ্য ঘাটতি আছে সত্য। কিন্তু সেই ঘাটতি মূলত পণ্য বাণিজ্যে। সেবা বাণিজ্যে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র অন্যদের থেকে যোজন যোজন এগিয়ে। সেখানে তাকে ধরাছোঁয়ার মতো কেউ নেই।
সিএনএনের তথ্যানুসারে, ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের সেবা বাণিজ্যের উদ্বৃত্ত ২৯৩ বিলিয়ন বা ২৯ হাজার ৩০০ কোটি ডলারে উন্নীত হয়েছে। ২০২৩ সালের তুলনায় এই উদ্বৃত্ত বেড়েছে ৫ শতাংশ এবং ২০২২ সালের তুলনায় বেড়েছে ২৫ শতাংশ। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্রে এ তথ্য দিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
মুডিস অ্যানালিটিকসের প্রধান অর্থনীতিবিদ মার্ক জান্ডি সিএনএনকে বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রাণ হলো সেবা ব্যবসা। এটাই মার্কিন অর্থনীতির গোপন সূত্র। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বিপুল পরিমাণে সেবা রপ্তানি করে। যেসব দেশে এই সেবা রপ্তানি করা হয়, তারা আবার জানে, যুক্তরাষ্ট্র বেকায়দায় পড়লে তারা এসব আমাদের বিরুদ্ধেই ব্যবহার করতে পারবে, যেমন তারা বাণিজ্য প্রতিবন্ধকতা তৈরি থেকে এসব সেবা আমদানির ক্ষেত্রে নতুন মানদণ্ডের শর্ত দিতে পারে।
সামগ্রিকভাবে ২০২৪ সালে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ঘাটতি ছিল ৯১৮ দশমিক ৪ বিলিয়ন বা ৯১ হাজার ৮৪০ কোটি ডলার। ২০২৩ সালের তুলনায় এই ঘাটতি বেড়েছে ১৭ শতাংশ।
ঘাটতি মানেই খারাপ নয়।