মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধের শিকার বেসামরিক নাগরিকদের মানবিক সহায়তা এবং বাণিজ্যিক কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মিকে ‘মানবিক করিডর’ দিতে বলেছে ফোর্টিফাই রাইটস। থাইল্যান্ডভিত্তিক মানবাধিকার সংগঠনটি গতকাল মঙ্গলবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই আহ্বান জানিয়েছে।

তথ্য–প্রমাণ বিশ্লেষণ করে ফোর্টিফাই রাইটস বলছে, মিয়ানমারের সামরিক জান্তা নিয়মতান্ত্রিক উপায়ে রাখাইনে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা প্রবেশে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। ফলে সাধারণ জনগণের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস আসন্ন বাংলাদেশ সফরে সীমান্তের দুই পাশের মানবিক চাহিদা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মিয়ানমারের জান্তা সরকার এবং বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন আরাকান আর্মির মধ্যে সংঘাত শুরুর পর মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৫ লাখ ১৯ হাজারের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়ে পড়েছেন। আর ২০ লাখের বেশি মানুষের জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও মানবিক সহায়তার প্রয়োজন। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বৈদেশিক সহায়তা হ্রাসের ঘোষণা মানবিক সংকটকে আরও জটিল করে তুলেছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপ প্রকারান্তরে মিয়ানমারের সামরিক জান্তার স্বার্থকে রক্ষা করছে।

ফোর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার সহযোগী এজাজ মিন খান্ত বলেন, অধিকার রক্ষাকারী দেশগুলোর উচিত মিয়ানমারে যে জনগোষ্ঠী সংকটে আছে তাদের কাছে জীবন রক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহ সহজতর করার জন্য সকল সম্ভাবনার সুযোগ যাচাই করে দেখা। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি ‘মানবিক করিডর’ চালু করা সব সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ পদক্ষেপ না নিলে প্রাণহানি ঘটতে থাকবে।

কীভাবে মিয়ানমারের সামরিক জান্তা মানবিক সহায়তার ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে, তা নথিভুক্ত করেছে ফোর্টিফাই রাইটস। ওই বিধিনিষেধের ফলে বেসামরিক লোকজন প্রাণ হারাচ্ছেন। সামরিক জান্তা বাণিজ্যের পথও বন্ধ করে দিয়েছে। এতে রাখাইনে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি প্রকট হয়ে উঠেছে। ট্রাম্প প্রশাসন ২০২৫ সালে মিয়ানমারের প্রত্যাশিত সাহায্য ২৫৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার কমিয়েছে বলে জানা গেছে। যার মধ্যে মানবিক ত্রাণের জন্য নির্ধারিত ১৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারও রয়েছে। যা দেশের সংঘাতপূর্ণ অঞ্চলে আটকা পড়া বেসামরিক নাগরিকদের জীবনের ওপর ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনতে পারে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: ফ র ট ফ ই র ইটস র খ ইন

এছাড়াও পড়ুন:

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রীর সঙ্গে উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের সাক্ষাৎ

তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মো. মাহফুজ আলম। শুক্রবার তুরস্কে ‘আন্টালিয়া কূটনীতি ফোরাম, ২০২৫’-এর এক ফাঁকে এই সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়।

সাক্ষাতে তুরস্ক ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সম্পর্কের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় উপদেষ্টা মাহফুজ আলম বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করার জন্য তুরস্কের বিনিয়োগকারীদের আমন্ত্রণ জানান।

দুই দেশের বন্ধুত্ব ও ভ্রাতৃত্বের ঐতিহাসিক সম্পর্কের কথা উল্লেখ করে তুরস্কের বাণিজ্য মন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক উন্নয়নে তুরস্ক সরকারের আগ্রহ রয়েছে।

সাক্ষাতে ড. ওমর বেলাত এ বছর ঢাকায় তুরস্ক-বাংলাদেশ যৌথ অর্থনৈতিক কমিশনের সভা করার আগ্রহ প্রকাশ করেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ