হজযাত্রী প্রতিস্থাপন ১৮ এপ্রিলের মধ্যে
Published: 12th, March 2025 GMT
বেসরকারি ব্যবস্থাপনার হজযাত্রী প্রতিস্থাপন কার্যক্রম আগামী ১৮ এপ্রিলের মধ্যে শেষ করতে হবে। এ বিষয়ে হজ পরিচালককে অবহিত করতে হবে।
এই নির্দেশনা দিয়ে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয় থেকে হজ এজেন্সিগুলোর মালিকদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, চলতি হজ মৌসুমে নিবন্ধিত কোনো হজযাত্রী গুরুতর অসুস্থতা বা মৃত্যুর কারণে হজে গমনে অপারগ হলে সংশ্লিষ্ট এজেন্সি ‘হজ ও ওমরা ব্যবস্থাপনা বিধিমালা ২০২২’ এর বিধি ১৩ অনুযায়ী হজযাত্রী প্রতিস্থাপন করতে পারবে।
আরো পড়ুন:
মায়ের শাড়িতে বধূ সাজেন মেহজাবীন
বিয়ের আসরে কাঁদলেন মেহজাবীন-রাজীব
তবে হজযাত্রীকে না জানিয়ে বা তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে প্রতিস্থাপনের কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে হজ ও ওমরাহ ব্যবস্থাপনা আইন অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে চিঠিতে হুঁশিয়ার করা হয়েছে।
চাঁদ দেখাসাপেক্ষে আগামী ৫ জুন পবিত্র হজ পালিত হওয়ার কথা। এবার বাংলাদেশ থেকে ৮৭ হাজার ১০০ জন হজযাত্রী হজ পালন করার সুযোগ পাবেন।
ঢাকা/নঈমুদ্দীন/রাসেল
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর হজ ব যবস থ হজয ত র
এছাড়াও পড়ুন:
পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মিদশার অবসান, ৩৩ হামলাকারীসহ নিহত ৫৮
পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। উদ্ধার অভিযানে ৩৩ হামলাকারীর সবাই নিহত হয়েছেন। এর আগে হামলাকারীরা ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন। আর অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে।
বুধবার আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, অভিযানে ৩৩ সন্ত্রাসীর সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, চূড়ান্ত অভিযানের সময় কোনো যাত্রী নিহত হননি। তবে এর আগেই ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন হামলাকারীরা।
আইএসপিআর পরিচালক বলেন, এ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কোর ও এসএসজি সদস্যরা অংশ নেন এবং জিম্মিদের উদ্ধার করেন। আত্মঘাতী হামলাকারীকে স্নাইপার সদস্যরা হত্যা করেন।
কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী ট্রেনে গত মঙ্গলবার দুপুরে হামলা চালায় সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী। বেলুচিস্তানের বোলান এলাকার কাছে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ওই সময় ট্রেনের নয়টি বগিতে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, হামলাকারীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ‘বিদেশি সহায়তাকারী’দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাঁদের মধ্যে আফগানিস্তানে থাকা একজন ‘মাস্টারমাইন্ড’ রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁরা ট্রেনে থাকা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। এ কারণে অভিযানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।
এদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো প্রমাণ করে, ওই সশস্ত্র ব্যক্তিদের ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।
এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্ধাপুর, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) প্রেসিডেন্ট আমাল ওয়ালি খানও।