বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন বন্দর থানা উত্তরের উদ্যোগে ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার বিকালে বন্দর ২৭ নং ওয়ার্ড লালখার বাগ এলাকায় এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। 

ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জামায়াতে ইসলামী কেন্দ্রেীয় কর্ম পরিষদের সদস্য মাওলানা মঈনুদ্দিন আহমদ বলেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও মর্যাদাপূর্ন হলো তাকাওয়া অর্জন করা যিনি আল্লাহকে বেশি ভয় পান আল্লাহ তাকেই বেশি পছন্দ করেন। 

এসময় তিনি আরো বলেন রমজান শুধু আমাদের জন্যই ফরজ হয়নি এটি আমাদের পূর্ববর্তী লোকদের জন্যও ফরজ ছিল। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহানগরী শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সহ সভাপতি মুন্সি আবদুল্লাহ মুহাম্মদ ফয়সাল,  বন্দর উত্তর থানা জামায়াতের আমীর মুফতি  মাওলানা আতিকুর রহমান।

বন্দর থানা উত্তর শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি শহিদুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে সেক্রেটারি মহিউদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের বন্দর উত্তর থানা সেক্রেটারি জহুরুল ইসলাম, ২৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি জহিরুল ইসলাম সহ অন্যায়কে জামায়াতে নেতৃবৃন্দ ।
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ইফত র ইসল ম

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মিদশার অবসান, ৩৩ হামলাকারীসহ নিহত ৫৮

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। উদ্ধার অভিযানে ৩৩ হামলাকারীর সবাই নিহত হয়েছেন। এর আগে হামলাকারীরা ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন। আর অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, অভিযানে ৩৩ সন্ত্রাসীর সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, চূড়ান্ত অভিযানের সময় কোনো যাত্রী নিহত হননি। তবে এর আগেই ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন হামলাকারীরা।

আইএসপিআর পরিচালক বলেন, এ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কোর ও এসএসজি সদস্যরা অংশ নেন এবং জিম্মিদের উদ্ধার করেন। আত্মঘাতী হামলাকারীকে স্নাইপার সদস্যরা হত্যা করেন।

কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী ট্রেনে গত মঙ্গলবার দুপুরে হামলা চালায় সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী। বেলুচিস্তানের বোলান এলাকার কাছে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ওই সময় ট্রেনের নয়টি বগিতে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, হামলাকারীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ‘বিদেশি সহায়তাকারী’দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাঁদের মধ্যে আফগানিস্তানে থাকা একজন ‘মাস্টারমাইন্ড’ রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁরা ট্রেনে থাকা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। এ কারণে অভিযানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।

এদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো প্রমাণ করে, ওই সশস্ত্র ব্যক্তিদের ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্ধাপুর, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) প্রেসিডেন্ট আমাল ওয়ালি খানও।

সম্পর্কিত নিবন্ধ