নেতাকে বরণ করা নিয়ে সংঘর্ষে আহত বিএনপি কর্মীর মৃত্যু
Published: 12th, March 2025 GMT
ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল ছিল মঙ্গলবার। প্রধান অথিতিকে বরণ করা নিয়ে সংঘর্ষ হয়। এতে আহত এক কর্মী বুধবার বিকেলে মারা গেছেন। এটি ঘটেছে রাজশাহীর তানোর উপজেলার পাঁচন্দরে। নিহত গনিউল ইসলাম (৫৭) পাঁচন্দর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তিনি ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতির বড় ভাই।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকেলে ইফতার মাহফিলের আগে তানোরের কৃষ্ণপুর মোড়ে দুই পক্ষে হাতাহাতি ও মারামারি ঘটে। এক পক্ষে ছিলেন পাঁচন্দর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি প্রভাষক মুজিবুর রহমান ও উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক গোলাম মোর্তুজা এবং তাদের অনুসারীরা। আরেক পক্ষে ছিলেন ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আব্দুল মোমিন ও তাঁর লোকজন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইফতার মাহফিল শুরুর আগে উভয় পক্ষের নেতাকর্মী-সমর্থকরা কৃষ্ণপুর মোড়ে প্রধান অতিথিকে বরণ করার জন্য রাস্তায় অপেক্ষা করছিলেন। প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের সাবেক সামরিক সচিব ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শরীফ উদ্দিন। মোমিনের পক্ষ থেকে প্রধান অতিথিকে বরণ করে নিয়ে যেতে চাইলে বাধা দেন মুজিবুর। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মোমিন ও তাঁর অনুসারীরা মুজিবুর ও মোর্তুজার ওপর চড়াও হয়। তাদের লাঞ্ছিত করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে মুজিবুরের নেতাকর্মীরা মোমিন ও গনিউলের ওপর হামলা চালায়। এতে গনিউল গুরুতর আহত হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এ বিষয়ে মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) শরীফ উদ্দিন সমকালকে বলেন, ‘ইফতার মাহফিলে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার জন্য আমি মর্মাহত। ইফতারির স্থান থেকে অনেক দূরে এসব ঘটেছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে। আমরা দলীয়ভাবে অপরাধীদের বিষয়ে কঠোর অবস্থান নেব।’
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালের জরুরি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ডা.
এ বিষয়ে তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফজাল হোসেন বলেন, মারামারির ঘটনায় একজন মারা গেছেন। থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব এনপ ন ব এনপ ত কর ম
এছাড়াও পড়ুন:
সচিব করার দাবি অবসরে যাওয়া ‘বঞ্চিত’ অতিরিক্ত সচিবদের, জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানের সঙ্গে দেখা করে সচিব করার দাবি জানিয়েছেন অবসরে যাওয়া ‘বঞ্চিত’ অতিরিক্ত সচিবেরা।
‘বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সচিব ফোরাম’–এর উদ্যোগে আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে বেশ কিছুসংখ্যক অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিব সচিবালয়ে জনপ্রশাসন সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এ দাবি জানান। তাঁদের দাবি, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তাঁরা বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রায় ১৬ বছরে জনপ্রশাসন থেকে অবসরে যাওয়া ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে গত ৯ ফেব্রুয়ারি ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতি দিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। উপসচিব থেকে সচিব পর্যন্ত এই পদোন্নতি দেওয়া হয়। তাঁদের মধ্যে ১১৯ জন সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন।
আজ দাবি জানাতে আসা অবসরপ্রাপ্ত অতিরিক্ত সচিবেরা সাংবাদিকদের কাছে বলেন, ইতিমধ্যে অবসরে যাওয়া যে ৭৬৪ জন কর্মকর্তাকে ‘ভূতাপেক্ষ’ পদোন্নতিতে দেওয়া হয়েছে, তাতে নিয়ম ভঙ্গ করা হয়েছে। এ–সংক্রান্ত কমিটির আহ্বানে কমিটির কাছে মোট ১ হাজার ৫৪০টি আবেদন জমা পড়েছিল। তাঁদের মধ্যে অতিরিক্ত সচিব আবেদন করেন ৫১২ জন। তাঁদের মধ্যে ৫১ জনকে অতিরিক্ত সচিব থেকে সচিব করা হয়েছে। কিন্তু তাঁদের মধ্যে ৩৮ জন অতিরিক্ত সচিব হওয়ার ক্ষেত্রে কখনো পদোন্নতিবঞ্চিত হননি। এ ছাড়া আবেদন না করেও পদোন্নতি পাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। আবার অনেক ক্ষেত্রে পদোন্নতিতে মেধাক্রমকে আমলে নেওয়া হয়নি।
‘বঞ্চিত’ এই অতিরিক্ত সচিবদের দাবি, তাঁরা ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বারবার পদোন্নতিবঞ্চিত হয়েছেন। এখন আবার পদোন্নতিবঞ্চিত হওয়ায় পরিচয় সংকটে পড়েছেন। তাঁদের ভাষ্য, চাকরিতে সবাই সচিব হিসেবে পদোন্নতি পাবেন না, এটি তাঁরা জানেন। কিন্তু সামাজিক মর্যাদার জন্য তাঁরা সচিব পদে পদোন্নতি চান।
এ বিষয়ে বঞ্চিত অবসরপ্রাপ্ত সচিব ফোরামের আহ্বায়ক মো. নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের বলেন, তাঁরা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিবকে বলেছেন, আর্থিকসংকটের বিষয়টি বিবেচনা করে তাঁরা কোনো বকেয়া বা আর্থিক সুবিধা চাচ্ছেন না। তাঁরা কেবল একটি পরিচয় ও মর্যাদা চান। এ জন্য সচিব পদে পদোন্নতি চান। এ বিষয়ে জনপ্রশাসনের জ্যেষ্ঠ সচিব তাঁদের বলেছেন, বিষয়টি (ইতিমধ্যে দেওয়া ভূতাপেক্ষ পদোন্নতি) পর্যালোচনা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে সারসংক্ষেপ পাঠিয়েছেন।