বন্দরে রাতের বেলা বেপরোয়া গতিতে বালুবাহী বাল্কহেড চালানোর অপরাধে এমবি তানজিল নামের একটি বালু বোঝাই বাল্কহেড জব্দ ও বাল্কহেডের সুকানী ও গ্রীজারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গত মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে বন্দর উপজেলার চরধলেশ্বরী এলাকার শীতলক্ষ্যা নদী  থেকে বাল্কহেড জব্দ ও দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

ধৃতরা হলো সুদূর শরীয়তপুরের গোসাইর হাট থানার মাছুয়াখালী মাতবর বাড়ি গ্রামের আবদুর রশিদ মাতবরের ছেলে ও বাল্কহেডের সুকানী মোঃ দুলাল হোসেন(৪২) ও নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁ থানার গজারিয়া পাড়া গ্রামের মৃত শাহ আলম মাতবরের ছেলে বাল্কহেডের গ্রীজার জয়নাল আবেদীন মাতবর(৪৬)। বুধবার (১২ মার্চ) গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতে প্রেরণ করে পুলিশ। 

কলাগাছিয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির এসআই  মোঃ রফিকুল ইসলাম জানান, গ্রেফতারকৃতরা মঙ্গলবার রাতে বালু বোঝাই একটি বাল্কহেড নিয়ে বেপরোয়া গতিতে মেঘনা ব্রীজের দিকে যাচ্ছিল। পুলিশের একটি টহল দল স্পীড বোট নিয়ে ধাওয়া করে তাদের আটক করে। 
 

.

উৎস: Narayanganj Times

কীওয়ার্ড: ন র য়ণগঞ জ ম তবর

এছাড়াও পড়ুন:

পাকিস্তানে ট্রেনে জিম্মিদশার অবসান, ৩৩ হামলাকারীসহ নিহত ৫৮

পাকিস্তানের বেলুচিস্তানে যাত্রীবাহী একটি ট্রেনে সশস্ত্র গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে জিম্মি ব্যক্তিদের উদ্ধার করেছে নিরাপত্তা বাহিনী। উদ্ধার অভিযানে ৩৩ হামলাকারীর সবাই নিহত হয়েছেন। এর আগে হামলাকারীরা ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন। আর অভিযানে নিরাপত্তা বাহিনীর চার সদস্য নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) এসব তথ্য জানিয়েছে।

বুধবার আইএসপিআরের পরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল আহমেদ শরিফ চৌধুরী বলেন, অভিযানে ৩৩ সন্ত্রাসীর সবাইকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, চূড়ান্ত অভিযানের সময় কোনো যাত্রী নিহত হননি। তবে এর আগেই ২১ যাত্রীকে হত্যা করেন হামলাকারীরা।

আইএসপিআর পরিচালক বলেন, এ অভিযানে সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, ফ্রন্টিয়ার কোর ও এসএসজি সদস্যরা অংশ নেন এবং জিম্মিদের উদ্ধার করেন। আত্মঘাতী হামলাকারীকে স্নাইপার সদস্যরা হত্যা করেন।

কোয়েটা থেকে পেশোয়ারগামী জাফর এক্সপ্রেস নামের যাত্রীবাহী ট্রেনে গত মঙ্গলবার দুপুরে হামলা চালায় সশস্ত্র একটি গোষ্ঠী। বেলুচিস্তানের বোলান এলাকার কাছে তারা এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়ে যাত্রীদের জিম্মি করে। ওই সময় ট্রেনের নয়টি বগিতে প্রায় ৪৫০ জন যাত্রী ছিলেন। বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠী বেলুচিস্তান লিবারেশন আর্মি (বিএলএ) এ হামলার দায় স্বীকার করেছে।

নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো জানায়, হামলাকারীরা স্যাটেলাইট ফোনের মাধ্যমে ‘বিদেশি সহায়তাকারী’দের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন। তাঁদের মধ্যে আফগানিস্তানে থাকা একজন ‘মাস্টারমাইন্ড’ রয়েছেন। এ ছাড়া তাঁরা ট্রেনে থাকা নারী ও শিশুদের মানবঢাল হিসেবে ব্যবহার করেন। এ কারণে অভিযানে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা হয়।

এদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনে ‘সন্ত্রাসী হামলার’ তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ও প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। এক বিবৃতিতে শাহবাজ শরিফ বলেন, এই পবিত্র রমজান মাসে নিরীহ যাত্রীদের লক্ষ্যবস্তু বানানো প্রমাণ করে, ওই সশস্ত্র ব্যক্তিদের ইসলাম, পাকিস্তান ও বেলুচিস্তানের সঙ্গে কোনো সম্পর্ক নেই।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন পাকিস্তান পিপলস পার্টির (পিপিপি) নেতা বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী আলী আমিন গান্ধাপুর, আওয়ামী ন্যাশনাল পার্টির (এএনপি) প্রেসিডেন্ট আমাল ওয়ালি খানও।

সম্পর্কিত নিবন্ধ