পবিত্র রমজানে দিনের বেলা রোজা না রেখে খাবার হোটেলে গিয়ে পানাহার করায় লক্ষ্মীপুরে জেলা শহরে কয়েকজন ব্যক্তিকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। আজ বুধবার বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ তাঁর দলবল নিয়ে শহরের চকবাজার এলাকায় বিভিন্ন দোকান গিয়ে বেশ কয়েকজনকে রোজার সময় পানাহার করায় হেনস্তা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবদুল আজিজের নেতৃত্বে বণিক সমিতির লোকজন কয়েকটি হিন্দু দোকানে গিয়ে কোনো মুসলিম পানাহার করছেন কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেন। পরে কয়েকজনকে পানাহার করায় তাঁদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন। এ ছাড়া দিনের বেলায় খাবারের হোটেল খোলা না রাখার বিষয়েও হুঁশিয়ারি দেন আবদুল আজিজ।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সমালোচনা করে নানান ধরনের মন্তব্য করেছেন।

বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ বলেন, ‘হিন্দুদের দোকানে পর্দার আড়ালে রোজা না রেখে কিছু মুসলমান পানাহার করে। এ জন্য তাদের সতর্ক করে কান ধরানো হয়। তবে হিন্দুদের জন্য খেতে কোনো বাধা নেই।’

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ব্যক্তির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। ভুক্তভোগী কেউ যদি প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প ন হ র কর য়

এছাড়াও পড়ুন:

লক্ষ্মীপুরে দিনের বেলায় পানাহার করায় লোকজনকে ‘শাস্তি’ দিলেন ব্যবসায়ী নেতা

পবিত্র রমজানে দিনের বেলা রোজা না রেখে খাবার হোটেলে গিয়ে পানাহার করায় লক্ষ্মীপুরে জেলা শহরে কয়েকজন ব্যক্তিকে হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে। আজ বুধবার বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ তাঁর দলবল নিয়ে শহরের চকবাজার এলাকায় বিভিন্ন দোকান গিয়ে বেশ কয়েকজনকে রোজার সময় পানাহার করায় হেনস্তা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আবদুল আজিজের নেতৃত্বে বণিক সমিতির লোকজন কয়েকটি হিন্দু দোকানে গিয়ে কোনো মুসলিম পানাহার করছেন কি না, সে বিষয়ে খোঁজ নেন। পরে কয়েকজনকে পানাহার করায় তাঁদের সঙ্গে আপত্তিকর আচরণ করেন। এ ছাড়া দিনের বেলায় খাবারের হোটেল খোলা না রাখার বিষয়েও হুঁশিয়ারি দেন আবদুল আজিজ।

এ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে সমালোচনা করে নানান ধরনের মন্তব্য করেছেন।

বণিক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আবদুল আজিজ বলেন, ‘হিন্দুদের দোকানে পর্দার আড়ালে রোজা না রেখে কিছু মুসলমান পানাহার করে। এ জন্য তাদের সতর্ক করে কান ধরানো হয়। তবে হিন্দুদের জন্য খেতে কোনো বাধা নেই।’

জানতে চাইলে লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জামশেদ আলম রানা বলেন, ‘ঘটনাটি আমি শুনেছি। ব্যক্তির স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। ভুক্তভোগী কেউ যদি প্রতিকার চেয়ে অভিযোগ করেন, তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ