ইউরোপের এক নম্বর হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানির সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এসি
Published: 12th, March 2025 GMT
গরমের দিনগুলোতে সবাই একটি আরামদায়ক, স্বাস্থ্যকর ও শক্তিশালী এয়ার কন্ডিশনার বা এসি চান; যা শুধু শীতল বাতাস দেয় না, বরং সুরক্ষিত এবং সতেজ পরিবেশও সৃষ্টি করে। এ জন্য অনেকেই বেছে নেন ‘বেকো’ এসি, যা ইউরোপের এক নম্বর হোম অ্যাপ্লায়েন্স কোম্পানির একটি ব্র্যান্ড। বেকো এসির আধুনিক প্রযুক্তি এবং উন্নত ফিচারের মাধ্যমে সেরা শীতল পরিবেশ তৈরি করে, যা স্বাস্থ্যের জন্যও অত্যন্ত উপকারী।
বেকো এসির বৈশিষ্ট্য১.
অত্যাধুনিক অ্যানিয়ন প্রযুক্তি: বেকো এসিতে রয়েছে অ্যানিয়ন প্রযুক্তি, যা আয়নাইজেশনের মাধ্যমে ঘরের বাতাসে থাকা ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাস দূর করে শারীরিক সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করে। এর ফলে শুধু ঠান্ডা বাতাসই নয়, পাওয়া যায় পরিষ্কার এবং স্বাস্থ্যকর বাতাস।
২. ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি: বেকো এসির মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবহার করে যেকোনো জায়গা থেকে এসির তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করা যায়। ফলে আপনি যেখানেই থাকুন, এসির তাপমাত্রা নিয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারবেন।
৩. জোন ফলো প্রযুক্তি: ‘জোন ফলো’ স্মার্ট সেন্সরের মাধ্যমে বেকো এসি ঘরের নির্দিষ্ট স্থানে প্রয়োজনমতো ঠান্ডা বাতাস ছড়িয়ে দেয়। ফলে আপনার ঘরের প্রতিটি কোনায় সমান ঠান্ডা বাতাস পৌঁছায়।
৪. ফোর-ডি অটো-সুইং ডিজাইন: বেকো এসিতে থাকা বিশেষ এ ডিজাইন ঠান্ডা বাতাসের প্রবাহ ঘরের চতুর্দিকে সমানভাবে ছড়িয়ে দেয়, যার ফলে ঠান্ডা বাতাসে ঘর সারা দিন শীতল থাকে।
৫. সুপার মোড এবং কোয়াইট মোড: বেকো এসিতে রয়েছে ‘সুপার মোড’, যা দ্রুত রুম ঠান্ডা করে এবং ‘কোয়াইট মোড’ চালু করলে এসি চলে কোনো বাড়তি শব্দ ছাড়াই। বিশেষ করে ঘুমানোর জন্য এটি অত্যন্ত উপযোগী।
৬. ডিমার ফিচার: এ ফিচারের মাধ্যমে এসির সামনের প্যানেলের লাইট বন্ধ হয়ে ঘুমের পরিবেশকে আরও প্রশান্তিময় করে তোলে, যা আপনার আরামদায়ক বিশ্রামের জন্য একটি দারুণ সুবিধা।
পরিবেশবান্ধব এবং স্বাস্থ্যসম্মত প্রযুক্তিবেকো এসি শুধু শক্তিশালী নয়, এটি পরিবেশবান্ধবও। এর উচ্চ ঘনত্বসম্পন্ন ‘হাইজিন ফিল্টার’ এসি থেকে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত ধুলাবালু অপসারণ করতে পারে। ফিল্টারটি সহজেই পরিষ্কার করা যায়। এ ছাড়া এতে থাকা ‘হেপা ফিল্টার’ বাতাসে থাকা ক্ষতিকারক সূক্ষ্ম কণাগুলোকে ৯৯.৯৮ শতাংশ পর্যন্ত দূর করে। ফলে আপনি প্রতিদিন সতেজ এবং পরিষ্কার বাতাস উপভোগ করতে পারেন।
স্বয়ংক্রিয় পরিষ্কার ফাংশনবেকো এসির ‘অটো-ক্লিন ফাংশন’ স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফ্রস্টিং ও ডি-ফ্রস্টিং চক্রের মাধ্যমে এসির ভেতরের ধুলাবালু, ময়লা, ভাইরাস এবং ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার করে বিশুদ্ধ বাতাস নিশ্চিত করে। এই প্রযুক্তি এসির পরিষ্কার রাখার ঝামেলাকে কমিয়ে আনে এবং এসির কার্যক্ষমতাও বাড়ায়।
নিরাপত্তাপ্রযুক্তিনিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে বেকো এসিতে রয়েছে ‘অটো-ডায়াগনোসিস অ্যান্ড সেফটি’ প্রযুক্তি। এর মাধ্যমে কোনো লিকেজ থাকলে এসি অটোমেটিকভাবে বন্ধ হয়ে যায় এবং ডিসপ্লেতে ত্রুটির কোড প্রদর্শিত হয়, ফলে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
টেকসই ও দীর্ঘস্থায়ী উপকরণবেকো এসিতে ব্যবহৃত ‘গোল্ড হাইড্রোফিলিক ফিনস’ কনডেন্সার বৃষ্টি, নোনতা পানি, বাতাসের বাষ্প এবং অন্যান্য ক্ষয়কারী উপাদান থেকে এসিকে সুরক্ষিত রাখে এবং মরিচা প্রতিরোধ করে। এই ফিচারের ফলে এসি দীর্ঘ সময় ধরে কার্যক্ষম থাকে।
বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী প্রযুক্তিবেকো এসি বিদ্যুৎ খরচ সাশ্রয়ী। এর ‘ইনভাটার কম্প্রেসার’ এবং ‘আল্ট্রা-লো এনার্জি কনজামশন টেকনোলজি’ বিদ্যুৎ অপচয় রোধ করে, ফলে আপনি কম খরচে দীর্ঘ সময় শীতল বাতাস উপভোগ করতে পারেন। এ ছাড়া বেকো এসিতে ব্যবহৃত পরিবেশবান্ধব ‘আর-৩২’ গ্যাস এসি চালানোর সময় পরিবেশের ক্ষতি কমায়।
অফার ও ওয়ারেন্টিআসন্ন ঈদ উপলক্ষে আকর্ষণীয় অফার দিচ্ছে বেকো এসি। মাত্র ৪ হাজার ৩৮২ টাকার মাসিক কিস্তিতে বেকো এসি কিনতে পারবেন, যা ১২ মাস পর্যন্ত কোনো ইন্টারেস্ট ছাড়াই পাওয়া যাবে। তা ছাড়া নির্দিষ্ট মডেলের ওপর রয়েছে মূল্যছাড়।
এ ছাড়া বেকো এসি দিচ্ছে ৮ বছরের কম্প্রেসার ওয়ারেন্টি এবং ৩ বছরের পার্টস ও সার্ভিস ওয়ারেন্টি, সঙ্গে ইনস্টলেশন সম্পূর্ণ ফ্রি।
……………………..
ছবির ক্যাপশন
উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
শাহবাগ গণজাগরণ মঞ্চ–সংশ্লিষ্টদের বিচারের দাবিতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ
রাজধানীর শাহবাগে ২০১৩ সালের গণজাগরণ মঞ্চের নেতৃত্বস্থানীয় ব্যক্তিদের বিচার এবং মঞ্চটির সংগঠক লাকী আক্তারকে গ্রেপ্তারের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। একই সঙ্গে বিক্ষোভকারীরা মঙ্গলবার ‘ধর্ষণ ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ’ প্ল্যাটফর্মের কর্মসূচি থেকে পুলিশের ওপর হামলার বিচারের দাবি জানিয়েছেন।
বুধবার সন্ধ্যায় রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় অবস্থিত নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (এনএসইউ) ৮ নম্বর গেটের সামনে একদল শিক্ষার্থী এ বিক্ষোভ করেন। এতে এনএসইউর পাশাপাশি ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ এবং আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের কিছু শিক্ষার্থীও অংশ নেন। আয়োজকদের কোনো ব্যানার ছিল না। তাঁরা নিজেদের বিভিন্ন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী বলে দাবি করেছেন।
বিক্ষোভকারীরা প্রথমে এনএসইউর ৮ নম্বর গেটের সামনে জড়ো হন। সেখানে কয়েকজন বক্তৃতা করেন। বক্তৃতার ফাঁকে ফাঁকে স্লোগান চলে। তাঁরা ‘শাহবাগীরা বাংলা ছাড়’, ‘শাহবাগ না বাংলাদেশ, বাংলাদেশ, বাংলাদেশ’ প্রভৃতি স্লোগান দেন। এরপর এনএসইউ গেট থেকে একটি মিছিল বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার দু-একটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে এসে শেষ হয়।
ইনডিপেনডেন্ট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশের ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের শেষ বর্ষের শিক্ষার্থী সালাহউদ্দিন ওমর সাম্য বলেন, ‘২০১৩ সালে বাংলাদেশের বিভাজন শুরু হয় এই শাহবাগ থেকে, শাপলা চত্বরে গণহত্যার মাধ্যমে। এখন তারা আবারও নতুন করে ষড়যন্ত্র করছে, বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল রাষ্ট্র বানাতে চক্রান্ত করছে। তারা আবারও ফিরে আসুক আমরা তা চাই না। আমরা তাদের বিচার চাই।’
এদিকে একই ধরনের দাবিতে বুধবার বিকেল শাহবাগে জাতীয় জাদুঘরের সামনে একটি মানববন্ধন করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। সেখানে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদী বলেন, লাকী আক্তার ও গণজাগরণ মঞ্চের সাবেক মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকারকে মবতন্ত্রের সূচনাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। মতিঝিলের শাপলা চত্বরে সংঘটিত হত্যাকাণ্ডের বৈধতা দিয়েছিলেন তাঁরা।
ইনকিলাব মঞ্চের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শাখার সদস্যসচিব ফাতিমা আক্তার বলেন, সরকার ধর্ষণের ঘটনায় দোষীদের গ্রেপ্তার করেছে। তারপরও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলন করা অযৌক্তিক।
আরও পড়ুনপুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ এনে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা৫ ঘণ্টা আগেএ সময় ইনকিলাব মঞ্চ থেকে সরকারের উদ্দেশে বেশ কিছু দাবি জানানো হয়। দাবিগুলো হলো জাতিসংঘকে অন্তর্ভুক্ত করে শাপলা চত্বর ও পিলখানা গণহত্যার স্বাধীন বিচারিক তদন্ত কমিশন গঠন করে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করা, জুলাই গণহত্যার দৃশ্যমান বিচারিক কার্যক্রম শুরু করে আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা।