মোশাররফ ভাই বলেছিলেন, ‘আমাকে কি এতটাই পাওয়া যায় না’
Published: 12th, March 2025 GMT
মোশাররফ করিম একটা ঘোরের মধ্যে থাকেন, এটা আগেই জানতেন পরিচালক। যে কারণে অনেক সময়ই তাঁকে ফোনে খুঁজে পাওয়া কঠিন। এমনকি শুটিং লোকেশন বা বাসায় গেলেও তাঁর শিডিউল পাওয়া যায় না। এর কারণ ব্যস্ততা। সেই ঘটনাগুলোই ঘটে ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমার ঘোষণার ভিডিও বানানোর সময়ে। কোনোভাবেই মিলছিল না মোশাররফ করিমের শিডিউল। নানা চেষ্টায় মোশাররফ করিমকে খুঁজে পেতে হয়েছে। আর সেই খোঁজার ঘটনাগুলো দিয়ে পরিচালক শরাফ আহমেদ বানিয়ে ফেলেন নতুন আঙ্গিকে ‘চক্কর ৩০২’ সিনেমার ঘোষণা বা অ্যানাউন্সমেন্ট ভিডিও। সেটিই এখন প্রশংসা পাচ্ছে।
সম্প্রতি প্রকাশিত সেই প্রচারণার ভিডিওতে দেখা যায় পরিচালক শরাফ আহমেদের মুখ টেপ দিয়ে আটকে রাখা। মোশাররফ করিমকে বলতে শোনা যায়, ‘যতই উঁহু উঁহু করো, তোমাকে ছাড়া হবে না, জীবন। তুমি জীবনে অনেক মানুষকে পেইন দিছ। কিন্তু পেইন জিনিসটা কী, এটা তুমি জানো না। এই কয়েক মাসে তুমি আমারে যে পেইন দিছ, তাতে আমার উচিত তোমাকে উল্টো করে ঝোলানো।’
‘চক্কর ৩০২’ সিনেমার পোস্টার থেকে.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
রিমান্ড শেষে কারাগারে তুরিন আফরোজ
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনকালে আব্দুল জব্বার নামের এক শিক্ষার্থীকে হত্যাচেষ্টার মামলায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটর ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারাহ ফারজানা হকের আদালত শুনানি শেষে জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
চার দিনের রিমান্ড শেষে শনিবার তুরিন আফরোজকে আদালতে হাজির করে কারাগারে রাখার আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা রাজধানীর উত্তরা-পশ্চিম থানার উপ-পরিদর্শক সুমন মিয়া। আসামিপক্ষের আইনজীবী জামিন চেয়ে আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানি শেষে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উত্তরা পশ্চিম থানার আদালতের প্রসিকিউশন বিভাগের উপ-পরিদর্শক আতিকুর রহমান খান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গত ৭ এপ্রিল রাতে রাজধানীর উত্তরার একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়। ৮ এপ্রিল তার চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
গত ৫ আগস্ট দুপুর ১২টার দিকে আব্দুল জব্বার ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ওপর বিএনএস সেন্টারের সামনে গুলিবিদ্ধ হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নেন তিনি। গত ২৭ মার্চ উত্তরা পশ্চিম থানায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৫০ জনের নাম উল্লেখ এবং ১০০-১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করেন তিনি। এ মামলায় এজাহারনামীয় ৩০ নম্বর আসামি তুরিন আফরোজ।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার চলাকালে ২০১৩ সাল থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত প্রসিকিউটরের দায়িত্বে ছিলেন তুরিন আফরোজ।
ঢাকা/মামুন/রফিক