অন্তর্বর্তী সরকারের সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনের সক্ষমতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান জি এম কাদের।  

তিনি বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে বৈষম্য করে করে সরকার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। মিছিল, সমাবেশ ও ইফতারের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। সাধারণ মানুষের বিশ্বাস এই সরকার গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারবে না। এই সরকারের কোন নির্বাচনই বিশ্বাসযোগ্য হবে না।

বুধবার বনানীতে জাপা চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে এসব কথা বলেন জি এম কাদের। জাপা কার্যালয়ে হামলা, ইফতার মাহফিল পণ্ডু করে দেওয়া হয় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মীর পরিচয়ে। 

জি এম কাদের বলেন, অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি ও দুঃশাসন টিকিয়ে রাখতে আওয়ামী লীগ সরকার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর অপব্যবহার করেছিল। বর্তমান সরকারও রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলোকে ভেঙে তছনছ করে ফেলেছে। ঢালাওভাবে সবাইকে আওয়ামী লীগের দোসর বানিয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মনোবল ভেঙে দেওয়া হয়েছে। দেশের নিরাপত্তারক্ষীদেরই জীবনেরই নিরাপত্তা নেই। 

গত চার নির্বাচনে আওয়ামী লী‌গের স‌ঙ্গে সম‌ঝোতা ক‌রে অংশ নেয় জাপা। একতরফা, রা‌তের ভোট ও ডা‌মি ভোটখ‌্যাত তিন নির্বাচনে জাপা বি‌রোধীদল হয় সংসদে। শেখ হা‌সিনার পত‌নের পর অতীতের ভূমিকার জন‌্য জাপারও বিচার দা‌বি কর‌ছে অভ‌্যুত্থানকারীরা। ছাত্র-জনতার অভ‌্যুত্থা‌নের পর মামলা হ‌য়ে‌ছে জাপা নেতা‌দের বিরুদ্ধেও। অন্তর্বর্তী সরকারও কোথাও ডাক‌ছে না জাপা‌কে। দলটিও সরকারের সমালোচক হয়ে উঠেছে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: জ এম ক দ র এম ক দ র সরক র র

এছাড়াও পড়ুন:

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হলেন অধ্যাপক নার্গিস বেগম

যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক অধ্যাপক নার্গিস বেগম দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান মনোনীত হয়েছেন। বুধবার রাতে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

নার্গিস বেগম বিএনপির স্থায়ী কমিটির প্রয়াত সদস্য তরিকুল ইসলামের পত্নী ও বিএনপির খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অনিন্দ্য ইসলাম অমিতের মা। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যশোর জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান পদে মনোনীত করা হয়েছে। ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি দলকে সুসংবদ্ধ ও শক্তিশালী করতে সক্ষম হবে বলে দল আশা রাখে।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ২০ মে যশোর জেলা বিএনপির মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি ভেঙে ৫৩ সদস্য বিশিষ্ট আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়। আহ্বায়ক হন অধ্যাপক নার্গিস বেগম। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে দলের দুর্দিনে দলকে আন্দোলন সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। সর্বশেষ গত ২২ ফেব্রুয়ারি যশোর জেলা বিএনপির সম্মেলনে সভাপতি প্রার্থী হওয়ার গুঞ্জন থাকলেও একেবারে শেষের দিকে জানিয়ে দেন তিনি প্রার্থী হচ্ছেন না। ফলে নেতাকর্মীরা ভেবে নেন বয়সজনিত কারণে রাজনীতি থেকে বিদায় নিচ্ছেন জেলার বর্ষিয়ান এই রাজনীতিবিদ। 

তবে নতুন চমক দেখিয়ে ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ায় উচ্ছ্বসিত নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, কঠিন সময়ে দলকে ধরে রাখার পুরস্কার হিসেবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন অধ্যাপক নার্গিস বেগম।

রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান অধ্যাপক নার্গিস বেগম স্কুলজীবন থেকেই রাজনীতির সহচর্যে ছিলেন। ‘৬০-এর দশকে আইয়ুববিরোধী ছাত্র আন্দোলনে যোগদানের মধ্য দিয়ে রাজনীতিতে তার আনুষ্ঠানিক প্রবেশ। বিএনপির জন্মলগ্ন থেকে সম্পৃক্ত হন দলটির সঙ্গে। শিক্ষকতাজীবনে আনুষ্ঠানিকভাবে দলের পদপদবী গ্রহণ না করলেও সক্রিয় ছিলেন বিএনপির নেতৃত্বে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ