কলারোয়ায় প্রতিবন্ধী শিশু ধর্ষণের অভিযোগে যুবক আটক
Published: 12th, March 2025 GMT
সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী এক শিশু ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় স্থানীয় জনতা ইব্রাহিম নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে।
বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে কলারোয়া পৌরসভাধীন গোপীনাথপুর যুগীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক যুবক মো. ইব্রাহিম গাজী (২১) গোপীনাথপুর গ্রমের মৃত শহর আলী গাজী ও ফাতেমা বেগমের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, ধর্ষণের শিকার শারীরিক ও বাক প্রতিবন্ধী ১২ বছর বয়সী ওই শিশুর পিতা কয়েক বছর আগে মারা গেছেন। গিতা মারা যাওয়ার পর তার মা অন্যত্র বিয়ে করে বর্তমান স্বামীর সংসার নিয়ে সেখানে বসবাস করছেন। মায়ের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় বাক প্রতিবন্ধী ওই শিশু তার নানার বাড়ি গোপীনাথপুরে থাকে। ধর্ষক ইব্রাহিম গাজীর বাড়িও ওই শিশুটির নানার বাড়ি পাশে।
বুধবার (১২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে বাক প্রতিবন্ধী ওই শিশুকে কৌশলে নিজের বাড়িতে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
বিষয়টি শিশুটির নানিসহ আশেপাশের লোকজন জানতে পেরে ধর্ষক ইব্রাহিম গাজীকে আটক করে কলারোয়া থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করেন।
কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ভিকটিমকে আদালতের মাধ্যমে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। আটককৃত ধর্ষকের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
ঢাকা/শাহীন/এস
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কল র য় ওই শ শ
এছাড়াও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ
সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে দলটি।
আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন।
মুশতাক হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান উল্লেখ করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। এই গণ–অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশের নাম বাংলাতে পরিবর্তনকে তাঁরা অনাবশ্যক বলে মনে করেন।
আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের।আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা