ছেঁউড়িয়ায় আখড়াবাড়িতে লালন স্মরণোৎসব শুরু কাল, থাকছে না মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান
Published: 12th, March 2025 GMT
কুষ্টিয়ায় কুমারখালী উপজেলার ছেঁউড়িয়ায় লালন শাহের আখড়াবাড়িতে কাল বৃহস্পতিবার থেকে লালন স্মরণোৎসব শুরু হচ্ছে। মূল আখড়াবাড়ির ভেতরে সাধু–বাউলেরা অষ্টপ্রহরব্যাপী (এক দিন) রীতিনীতি মেনে তাঁদের আচার–আচরণ করবেন। তবে এবারের স্মরণোৎসবে আখড়াবাড়ির পাশে কালী নদীর পাড়ে মেলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকছে না।
লালন স্মরণোৎসব সফল করতে আজ বুধবার লালন আখড়াবাড়িতে লালন একাডেমির সভাকক্ষে কোর কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে গত ৫ মার্চ লালন স্মরণোৎসব-২০২৫ উদ্যাপন উপলক্ষে প্রস্তুতিমূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
ফকির লালন শাহ তাঁর জীবদ্দশায় ছেঁউড়িয়ার আখড়াবাড়িতে প্রতিবছর চৈত্রের দৌলপূর্ণিমা রাতে বাউলদের নিয়ে অষ্টপ্রহরব্যাপী সাধুসঙ্গ উৎসব করতেন। তাঁর মৃত্যুর পরও এ উৎসব চালিয়ে আসছেন ভক্ত-অনুসারীরা। তবে বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে লালন একাডেমি তিন দিনের আয়োজন করে আসছে। আবার কোনো বছর পাঁচ দিনের উৎসবও হয়েছে।
গত বছর পবিত্র রমজান মাসের কারণে এক দিনের আয়োজন করেছিল লালন একাডেমি। সে বছর সাধুসঙ্গ হলেও ছিল না গ্রামীণ মেলা ও সংগীতানুষ্ঠান। এবারও রমজানের কারণে কালী নদীর পাড়ে মেলা ও সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজন থাকছে না।
এবারের প্রস্তুতিমূলক সভায় সবার সম্মতিক্রমে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রস্তুতি সভায় জেলা প্রশাসক ও লালন একাডেমির সভাপতি মো.
সভার সিদ্ধান্ত মতে, বৃহস্পতিবার বিকেলে আখড়াবাড়ির ভেতরে সাধুসঙ্গ শুরু হবে। অষ্টপ্রহরব্যাপী সাধুসঙ্গ পরের দিন বিকেলে শেষ হবে। এ সময়ের মধ্যে সেখানে সাধু–বাউলেরা তাঁদের রীতিনীতি মেনে আচার অনুষ্ঠান করবেন। তবে কালী নদীর পাড়ে কোনো আয়োজন থাকবে না।
আজ বেলা ১১টায় লালন আখড়াবাড়িতে লালন স্মরণোৎসবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে লালন একাডেমির সভাকক্ষে জেলা কোর কমিটির সভার আয়োজন করা হয়। সভায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সেনাবাহিনী ও র্যাবের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান বলেন, কাল বেলা তিনটায় লালন আখড়াবাড়িতে লালন একাডেমির মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে প্রধান অতিথি ও মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থাকবেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আখড় ব ড় র আখড় ব ড় ত অন ষ ঠ
এছাড়াও পড়ুন:
মারমাদের মাহা সাংগ্রাইয়ের ছয় দিনব্যাপী উৎসবের শুরু
খাগড়াছড়িতে মারমা জনগোষ্ঠীর বর্ষবিদায় ও নতুন বছর উপলক্ষে ছয় দিনব্যাপী মাহা সাংগ্রাই উৎসব শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে জেলা সদরের পানখাইয়া পাড়ার বটতলা এলাকায় মারমাদের ঐতিহ্যবাহী খেলার আয়োজন করে মারমা উন্নয়ন সংসদ।
উৎসব উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার ও পুলিশ সুপার মো. আরেফিন জুয়েল। উদ্বোধনের আগে মারমাদের ঐতিহ্যবাহী নৃত্য প্রদর্শন করেন মারমা নৃত্যশিল্পীরা।
সভায় জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘সাংগ্রাই উৎসবের মধ্য দিয়ে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে যুক্ত হয়েছেন। গোটা বাংলাদেশের জন্য এটি অনুকরণীয়। এটি বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের প্রতিচ্ছবি। অন্তর্ভুক্তিমূলক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে এই ধরনের উৎসব সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
মারমা উন্নয়ন সংসদের সভাপতি মংপ্রু চৌধুরী বলেন, ‘মারমা সংস্কৃতি লালন, পালন, উৎকর্ষ ও সুরক্ষার জন্য আমরা প্রতিবছরই এমন আয়োজন করি। ছয় দিনব্যাপী আয়োজনের মধ্যে ১৪ এপ্রিল রি-আকাজা বা মৈত্রী পানিবর্ষণ অনুষ্ঠিত হবে। মারমাদের খুবই সমৃদ্ধ ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রয়েছে। আমাদের সংস্কৃতি ও ক্রীড়াকে সমুন্নত ও ধরে রাখার জন্য এই প্রয়াস।’