বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘রামাদান ও ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ শুরু
Published: 12th, March 2025 GMT
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘রামাদান ও ঈদ ফেস্টিভ্যাল’ শুরু হয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক ইফতারসামগ্রী, উৎসবের পোশাক, গৃহস্থালি পণ্য এবং জীবনধারাসংক্রান্ত বিভিন্ন পণ্য নিয়ে ২০০ স্টল অংশ নিয়েছে এ উৎসবে।
আজ বুধবার সকালে এ ফেস্টিভ্যালের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। আগামী ২৬ মার্চ পর্যন্ত প্রতিদিন দুপুর ১২টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত উৎসব সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উৎসবের আয়োজন করেছে এক্স-গ্রুপ চেইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যসচিব মাহবুবুর রহমান বলেন, এসএমই ফাউন্ডেশন উদ্যোক্তাদের উৎসাহ দেওয়ার পাশাপাশি বছরে একটি করে মেলার আয়োজন করে। তবে এসএমইদের মার্কেটপ্লেস মেলানির্ভর হয়ে গেছে। এটা টেকসই না। বছরে একবার এবং এর সঙ্গে এ ধরনের অনুষ্ঠান ধরলে বছরে দুবার। বছরে দুটি মেলার মাধ্যমে একটা পুরো খাত, এটা পর্যাপ্ত না।
বাণিজ্যসচিব আরও বলেন, বাকি সময়ে উদ্যোক্তাদের মার্কেট খোঁজা এবং মার্কেটে পণ্য বিপণন করতে হয়। এটা তাদের জন্য কঠিন। তাই এ দুই ধরনের প্ল্যাটফর্ম তৈরিতে এসএমই ফাউন্ডেশনের ভূমিকা থাকা উচিত।
আয়োজকেরা জানিয়েছেন, উৎসবের মূল লক্ষ্য হলো রমজান ও ঈদের আবহকে একত্রিত করে দর্শনার্থীদের জন্য এক ব্যতিক্রমী অভিজ্ঞতা তৈরি করা। যেখানে থাকছে ঐতিহ্যবাহী ও আধুনিক ইফতারসামগ্রী, উৎসবের পোশাক, গৃহস্থালি পণ্য এবং জীবনধারাসংক্রান্ত বিভিন্ন দ্রব্যাদি। এ উৎসব পরিবার, খাদ্যপ্রেমী ও ব্যবসায়ীদের জন্য এক অনন্য মিলনমেলা হয়ে উঠবে বলে প্রত্যাশা তাদের।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এক্স-গ্রুপ চেইন রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট ও বিসিএফসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো.
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে অতিথিরা ফিতা কেটে উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে সম্মেলনকেন্দ্রের বাইরে করা উৎসবের স্টলগুলো অতিথিরা ঘুরে দেখেন।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অন ষ ঠ ন উৎসব র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
বান্দরবানে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মাধ্যমে সাংগ্রাই শুরু
বান্দরবান পার্বত্য জেলায় বসবাসরত ১১টি জাতিগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে অন্যতম প্রাণবন্ত ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যে ভরপুর ‘সাংগ্রাই’ উৎসব শুরু হয়েছে।
রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকাল ৮ টার দিকে বান্দরবানের রাজার মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।
উৎসব উদ্বোধন করেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শামীম আরা রিনি। তিনি শোভাযাত্রায় অংশ নিয়ে শুভ সূচনা করেন।
বান্দরবানে বসবাসরত চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা, তঞ্চঙ্গ্যা, চাক, ম্রো, খিয়াং, খুমি, বমসহ ১১টি জাতিগোষ্ঠী এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। শোভাযাত্রায় অংশ নেওয়া বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর মানুষ তাদের নিজস্ব ঐতিহ্যবাহী পোশাক পরে সারিবদ্ধভাবে হাতে ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড নিয়ে, গানের সুর ও তালের সঙ্গে আনন্দঘন পরিবেশে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে শোভাযাত্রাটি ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউটে এসে শেষ হয়।
এই উৎসবটি প্রতিটি জাতিগোষ্ঠী নিজ নিজ নামে উদযাপন করে থাকে। মারমারা একে বলে সাংগ্রাই, চাকমারা বিজু, ত্রিপুরারা বৈসু, তঞ্চঙ্গ্যারা বিষু, আর অন্যান্যরা চাংক্রান নামে অভিহিত করে। বান্দরবানের সংস্কৃতি, ঐতিহ্য ও সম্প্রীতির অনন্য প্রতীক এই উৎসব পার্বত্য এলাকার মানুষের জীবনে এনে দেয় নতুন আনন্দ, মিলন ও আশাবাদের বার্তা।
বান্দরবান জেলা উৎসব উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে এ সাংগ্রাই উৎসব ১৩ এপ্রিল থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত সাপ্তাহব্যাপী নানা কর্মসূচী রয়েছে। সাংগ্রাই বর্ণাঢ্য র্যালি, বয়োজ্যেষ্ঠ পূজা, বুদ্ধস্নান, পাড়া ভিত্তিক পিঠা উৎসব, ঐতিহ্যবাহী বলী খেলা, তৈলাক্ত বাঁশে আরোহণ, সর্বশেষ টানা তিনদিন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মৈত্রীয় পানি বর্ষণ বা জলকেলি উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।
উৎসব উদযাপন পরিষদের কমিটির সভাপতি চনুংমং মার্মা বলেন, বর্ষবরণ ও বর্ষবিদায় উৎসব সাংগ্রাই। আজ শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে। সাংগ্রাই উৎসব উপলক্ষে আজ থেকে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বিভিন্ন খেলাধুলা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। এসব অনুষ্ঠানে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ও পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যাপক থানজামা লুসাইসহ অনেকেই উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন।
ঢাকা/চাই মং/টিপু