মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
Published: 12th, March 2025 GMT
মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর এলাকায় মসজিদে ঢুকে তিন ভাইকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত মো. হোসেন সরদার (৬০) ও মামলার এজাহারভুক্ত আরেক আসামি সুমন সরদারকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। পৃথক দুটি অভিযানে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
র্যাব- ৮ সদর দপ্তরে বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার চিত্রাশাইল এলাকায় কাঠালতলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ থেকে মঙ্গলবার হোসেন সরদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি নিহতদের সম্পর্কে চাচা হন। শরীয়তপুরের পালং থানার আরিগা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয় সুমন সরদারকে।
র্যাব-৮ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল নিস্তার আহমেদ বলেন, প্রাথমিকভাবে যেটুকু জানা গেছে মারামারি ঘটনায় উভয়পক্ষ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল। সম্প্রতি উভয়পক্ষের মধ্যে বালুর ব্যবসা নিয়ে বিরোধ দেখা দিলে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
৮ মার্চ গ্রেপ্তার হোসেন সরদারের নেতৃত্বে এজাহারনামী ৪৯ জন এবং অজ্ঞাতনামা ৮০-৯০ জন আসামি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সাইফুল সরদারের বাড়িতে হামলা চালায়। এ সময় সাইফুল সরদার ও তার দুই ভাই প্রাণ বাঁচাতে সরদার বাড়ি মসজিদে আশ্রয় নেন। আসামিরা মসজিদে ঢুকে সাইফুল সরদার ও তার ভাই আতাউর সরদারকে কুপিয়ে হত্যা করে। আরও কয়েকজনকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত অবস্থায় ফেলে রেখে যায়। হামলার সময় আসামিরা চারটি বাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট করে। আহত পলাশ সরদার (১৮) ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর ন সরদ র মসজ দ
এছাড়াও পড়ুন:
নড়াইলের কালিয়ায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ১
নড়াইলের কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ফরিদ মোল্যা (৫০) নামে একজন নিহত হয়েছে। নিহত ফরিদ মোল্যা কাঞ্চনপুর গ্রামের মৃত সুরত মোল্যার ছেলে।
শুক্রবার (১১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় কালিয়া উপজেলার বাবরা-হাচলা ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামে এ সংঘর্ষ ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়দের থেকে জানা যায়, সংঘর্ষের পর গুরুতর আহত অবস্থায় ফরিদ মোল্যাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১০টার দিকে মারা যান।
এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য নড়াইল আধুনিক সদর হাসপাতাল ও খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। আহতদের মধ্যে বশির মুন্সি নামে আরেকজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
জানা যায়, উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের মিলন মোল্যা ও আফতাব মোল্যার মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে গ্রাম্য আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। ইতোপূর্বে একাধিক সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে দু’পক্ষের মধ্যে। এ নিয়ে থানায় উভয়পক্ষের একাধিক মামলাও রয়েছে। ঈদের দিন থেকেই গ্রামটিতে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো। নিহত ফরিদ মোল্যা আফতাব মোল্যা গ্রুপের সমর্থক ছিলেন।
পুলিশ জানায়, বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) বিকালে মিলন মোল্যা পক্ষের সানোয়ার রহমান নড়াইল আদালত থেকে হাজিরা দিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাকে একা পেয়ে আফতাব মোল্যার লোকজন মারপিট করে। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে মিলন মোল্যা পক্ষের লোকজন আফতাব মোল্যার বাড়িতে হামলা করে। এ খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে উভয়পক্ষ স্কুল মাঠে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ঘণ্টাব্যাপি সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এসময় উভয় পক্ষের কমপক্ষে ৩০ জন আহত হয়।
আফতাব মোল্যা পক্ষের আহতদের মধ্যে রয়েছেন- করিম মুন্সি (৪৯), হুসাইন শেখ (১৮), আশরাফ মোল্যা (৫০), বশির মুন্সি (৪৫), করিম মুন্সী (৩৭), জালাল মুন্সি (৪৭), নাহিদ মোল্যা (২৫), করিম মোল্যা (১৬), সহিদ মুন্সি (৪০)।
মিলন মোল্যা পক্ষের দের মধ্যে রয়েছেন- তৌহিদ মোল্যা (৫০), আলমিস শেখ (৩৫) নিরব মোল্যা (১২), হাসিব মোল্যা (১৫), কিবরিয়া শেখ (২৮), ওসমান মোল্যা (১৫), কামাল কাজী (৪০), তরিক শেখ (২৪), জাকারিয়া শেখ (২৫) ও দিদার শেখ (১৮), হুমায়ন কাজী (৩৫), ওহাব কাজী (৪৫), পিয়ার মোল্যা (৩৪)।
ঘটনার পরপরই সেনাবাহিনী অভিযান চালিয়ে ১৫ জনকে গ্রেপ্তার করে কালিয়া থানায় হন্তান্তর করে।
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকালে কালিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রাশিদুল ইসলাম বলেন, “এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ ও সেনাবাহিনী মোতায়েন রয়েছে। পরিস্থিতি এখন শান্ত রয়েছে। এ ঘটনায় আইনুগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
ঢাকা/শরিফুল/টিপু