সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ও অ্যাপেক্স গ্রুপের চেয়ারম্যান সৈয়দ মঞ্জুর এলাহীর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছে মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক পিএলসি (এমটিবি) এবং এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান এমটিবি ক্যাপিটাল লিমিটেড এবং এমটিবি সিকিউরিটিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান। 

বুধবার এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, মঞ্জুর এলাহী বাংলাদেশের বাণিজ্য খাতে এক অনন্য পথিকৃৎ। তিনি নেতৃত্ব, সততা ও অদম্য নিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের কর্পোরেট খাত বিকাশে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তার অসাধারণ পেশাদারিত্ব তাকে দুইবার (১৯৯৬ এবং ২০০১) বাংলাদেশের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নিযুক্ত হওয়ার বিরল সম্মান এনে দেয়। যা তার রাষ্ট্রনায়কত্ব এবং জাতির প্রতি অঙ্গীকারের প্রমাণ। এই অপূরণীয় শূন্যতায় এমটিবি তার শোকসন্তপ্ত পরিবার, প্রিয়জন ও শুভানুধ্যায়ীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায়। 

এতে আরও বলা হয়, মঞ্জুর এলাহীর স্মৃতি, আদর্শ ও কর্ম ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য আগামীতে প্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে। আমরা এমটিবি পরিবার তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। 

বুধবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান মঞ্জুর এলাহী। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: এমট ব

এছাড়াও পড়ুন:

ব্যতিক্রমী চ্যাম্পিয়ন বোলোনিয়া এবং ৪৮ বছর ও ৪৮ ম্যাচ

সিরি ‘আ’ যেখানে আলাদাইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে দুই বা এর বেশি দলের পয়েন্ট সমান হলে সবার আগে দেখা হয় গোল পার্থক্য। জার্মান বুন্দেসলিগা ও ফ্রেঞ্চ লিগ আঁতেও আগে দেখা হয় গোল পার্থক্য। স্পেনের লা লিগায় আবার এ ক্ষেত্রে প্রথমেই দেখা হয় মুখোমুখি ম্যাচের ফল। মুখোমুখি ফলের হিসাব প্রথমে দেখা হয় ইতালির সিরি ‘আ’তেও। তবে ইতালিতে মৌসুম শেষে শীর্ষ দুই দলের পয়েন্ট সমান হলে মুখোমুখি বা হেড টু হেড হিসাব করা হয় না। সেই দুই দলকে খেলতে হয় প্লে-অফ। জয়ী দল হয় চ্যাম্পিয়ন। প্লে-অফ জিতে অবশ্য একবারই সিরি ‘আ’ জিতেছে কোনো দল। ১৯৬৩-৬৪ মৌসুমে ইন্টার মিলান ও বোলোনিয়ার পয়েন্ট সমান হওয়ার পর প্লে-অফে ২-০ গোলে জিতে চ্যাম্পিয়ন হয় বোলোনিয়া। এবার ইন্টার মিলান ও নাপোলি যেভাবে সমান গতিতে এগোচ্ছে, আরেকবার প্লে-অফ দেখার প্রস্তুতি নিয়ে রাখতে পারেন।৪৮-৪৮অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, নিউজিল্যান্ড—টেস্ট অভিষেকের ক্রম এটা। ইতিহাসের পঞ্চম দল হিসেবে ১৯৩০ সালে টেস্ট অভিষেক নিউজিল্যান্ডের। অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো নিউজিল্যান্ডেরও প্রথম টেস্টে প্রতিপক্ষ ছিল ইংল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চে ১০ জানুয়ারি শুরু সেই ম্যাচে ৮ উইকেটে হারে নিউজিল্যান্ড। সেই শুরু, এর পরের ৪৭ বছরে টেস্টে নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড মুখোমুখি হওয়া মানেই ছিল হয় ইংল্যান্ডের জয় অথবা ড্র। কিউইরা টেস্টে ইংল্যান্ডকে প্রথম হারায় ১৯৭৮ সালের ফেব্রুয়ারিতে। ওয়েলিংটনের সেই ম্যাচটা ৭২ রানে জেতে নিউজিল্যান্ড। ১৩৭ রানের লক্ষ্য ছুঁতে নেমে রিচার্ড হ্যাডলির তোপে ৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় ইংলিশরা। ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন টেস্ট ইতিহাসে ৪০০ উইকেটের মাইলফলকে প্রথম হ্যাডলি। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম টেস্ট খেলার ৪৮ বছর পর প্রথম জয়ের দেখা পেয়েছিল নিউজিল্যান্ড। মজার ব্যাপার ওয়েলিংটনে সেই টেস্ট ছিল নিউজিল্যান্ড-ইংল্যান্ড টেস্ট দ্বৈরথের ৪৮তম ম্যাচ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ