রাজশাহীতে অতিথি বরণ করতে গিয়ে সংঘর্ষে বিএনপি নেতার ভাই নিহত
Published: 12th, March 2025 GMT
প্রতীকী ছবি
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘চোখের সামনে আমার স্বামীর হেডের মইধ্যে ছুরি ঢুকাই দিছে’
চোখের সামনে আমার স্বামীর হেডের মইধ্যে ছুরি ঢুকাই দিছে গো। স্বামী আমার মুরগার মতো ধড়ফড় করতে করতে মরি গেছে। আমি এখন দুই মাইয়্যা লইয়া কই যামু। কে আঁর মাইয়্যাগোরে দেখি রাইখব’।
স্বামী রাকিব উদ্দিনের (৩২) জন্য বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন নোয়াখালীর হাতিয়ার সোনাদিয়া ইউনিয়নের পূর্ব লক্ষ্মীদিয়া কাজিরবাজার এলাকার গৃহবধূ তাজমা বেগম। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ছুরিকাঘাতে নিহত হন রাকিব। তাঁর ছোট ভাই সাকিব হোসেনের (২৩) বিরুদ্ধে ছুরিকাঘাতের অভিযোগ উঠেছে। সাকিব হোসেনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছেন এলাকাবাসী।
নিহত রাকিব উদ্দিনের স্ত্রী তাজমা বেগম বলেন, তাঁর দেবর সাকিব উদ্দিন গতকাল উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়নের আলাদিগ্রাম থেকে বিয়ে করেন। সন্ধ্যায় স্থানীয় একটি মসজিদে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয়। সেখানে তাঁর স্বামী রাকিবও ছিলেন।
বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পর রাতে দুজনের মধ্যে ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে তাঁর স্বামীর পেটে ছুরিকাঘাত করেন সাকিব। এ সময় ঘটনাস্থলেই রাকিব উদ্দিনের মৃত্যু হয়।
তাজমা বেগম আরও বলেন, সাকিব আগেও তিনটি বিয়ে করেছেন। পরে স্ত্রীদের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়। এসব বিয়ের কথা গোপন রেখে গতকাল চতুর্থ বিয়ে করেছেন। বিয়ের অনুষ্ঠানে বিষয়টি বুঝতে পেরে বাড়ি ফেরার পর ভাইকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তাঁর স্বামী রাকিব। এ সময় তর্কাতর্কির মধ্যে রাকিব তাঁর ছোট ভাই সাকিবকে কয়েকটি চড়থাপ্পড় দেন ও তাঁর দিকে জুতা নিক্ষেপ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সাকিব ঘরে থাকা ছুরি দিয়ে তাঁর স্বামীর পেটে আঘাত করেন।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে লাশটি উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ সাকিব হোসেনকে আটক করে থানায় নিয়ে এসেছে। ঘটনাস্থল থেকে রক্তমাখা একটি ছোরা উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।