ঘোড়া রোগে ধরেছিল পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি)। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আয়োজক ছিল তারা। একটি সেমিফাইনাল, ফাইনালসহ ভারত আসরটির ম্যাচ খেলেছে দুবাইতে। ‘অর্ধেক’ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনে সাধ্যের বাইরে অর্থ খরচ করেছে পিসিবি। 

যে কারণে আর্থিক সংকটে পড়ে গেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড। খরচ বাঁচাতে দেশটির ঘরোয়া ন্যাশনাল টি-২০ কাপের ম্যাচ ফি ৯০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জিও নিউজের আরফা ফিরোজ জাকি দিয়েছে এই খবর। 

তার মতে, ন্যাশনাল টি-২০ কাপে খেলা ঘরোয়া ক্রিকেটারদের বেতন ৯০ শতাংশ কমানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এতে করে আগে যে ক্রিকেটার ম্যাচ প্রতি ফি বাবদ ৪০ হাজার পাকিস্তানি রুপি পেতেন, তিনি এবার মাত্র ১০ হাজার পাকিস্তানি রুপি পাবেন। রিজার্ভ ক্রিকেটাররা পাবেন মাত্র ৫ হাজার পাকিস্তানি রুপি। 

পাকিস্তান ১৬ মার্চ থেকে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-২০ সিরিজ খেলবে। ১৪ মার্চ থেকে শুরু হওয়া টি-২০ কাপে ওই দলের বাইরে থাকা ক্রিকেটারদের খেলার কথা ছিল। পাকিস্তান সফরে না থাকা বাবর আজম, নাসিম শাহর টি-২০ লিগ খেলার কথা ছিল। কিন্তু পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম দাবি করেছে, পারিশ্রমিক কম হওয়ায় বাবর, নাসিম, রিজওয়ান এই টুর্নামেন্টে খেলবেন না।

পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি আয়োজনের জন্য তিনটি স্টেডিয়ামে সংস্কার কাজ করেছে, ঢেলে সাজিয়েছে। যে কারণে অনেক অর্থ খরচ করতে হয়েছে তাদের। কিন্তু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পাকিস্তান অংশে তেমন দর্শক না আসায়, ভালো স্পন্সরশিপ না পাওয়ায় ও পাকিস্তানের পারফরম্যান্স খারাপ হওয়ায় প্রত্যাশা মতো রেভিনিউ অর্জন করতে পারেনি পিসিবি।  যে কারণে আর্থিক সংকটে পড়ে গেছে বোর্ডটি। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: প ক স ত ন ক র ক ট দল

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ

সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে দলটি।

আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন।

মুশতাক হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান উল্লেখ করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। এই গণ–অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশের নাম বাংলাতে পরিবর্তনকে তাঁরা অনাবশ্যক বলে মনে করেন।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ