জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা চায় বাজুস
Published: 12th, March 2025 GMT
সাম্প্রতিক সময়ে সারাদেশে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই ও ব্যবসায়ীদের ওপর সরাসরি আক্রমণের ঘটনা বাড়ছে। এসব অপরাধ সংগঠনের ক্ষেত্রে সন্ত্রাসীদের হাতে জুয়েলারি ব্যবসায়ী খুন ও হত্যাচেষ্টার ঘটনাও বাড়ছে। এমন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্ন জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জান-মালের নিরাপত্তা প্রদানে সরকারের সহায়তা চেয়েছেন। পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে জুয়েলারি ব্যবসা-প্রতিষ্ঠান ঘিরে সংগঠিত অপরাধ ও অপরাধীদের দমনে বর্তমান সরকারের নেওয়া কার্যকর উদ্যোগের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন দেশের পণ্যভিত্তিক সর্ববৃহৎ বাণিজ্য সংগঠন বাংলাদেশ জুয়েলার্স এসোসিয়েশন-বাজুস।
গণমাধ্যমের তথ্য পর্যালোচনা করে বাজুস বলছে, সাম্প্রতিক সময়ে চুরি, ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের ঘটনা উদ্বেগজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। চোর ও ডাকাত চক্রের মূল লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
পরিসংখ্যানে দেখা যায়, গত ৮ মাসে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ১৭টি প্রতিষ্ঠানে চুরি ও ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। যাতে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৪০ কোটি টাকা। এই ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানগুলো।
এ প্রসঙ্গে বাজুসের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি গুলজার আহমেদ বলেন, বারবার টার্গেট করা হচ্ছে জুয়েলারি প্রতিষ্ঠানের ওপর। এই সব ঘটনায় আতঙ্ক বিরাজ করছে ব্যবসায়ীদের মাঝে। এই পরিস্থিতিতে জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এই পরিস্থিতি দ্রুত উন্নতির জন্য মাননীয় স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সহযোগিতা কামনা করছি।
বাজুসের সাধারণ সম্পাদক বাদল চন্দ্র রায় বলেন, এ ধরনের অপরাধের পুনরাবৃত্তি রোধে দেশের জুয়েলারি প্রতিষ্ঠান ও স্বর্ণ ব্যবসায়ীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি। একই সাথে জুয়েলারি ব্যবসায়ীদের লাইসেন্সকৃত বৈধ অস্ত্র অনতিবিলম্বে ফেরত প্রদানে করা জন্য তিনি অনুরোধ করেন।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব যবস য় দ র অপর ধ
এছাড়াও পড়ুন:
বিচার না হওয়ায় বাড়ছে শিশু ও নারী নির্যাতন
বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে দেশে শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও খুনের ঘটনা বাড়ছে। শিশুদের রক্ষা করতে হলে সামাজিকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে এবং দোষী ব্যক্তিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। খুন, ধর্ষণ ও শিশু নির্যাতনের ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবিতে প্রতিবাদী সমাবেশে এসব কথা বলা হয়েছে।
কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের আয়োজনে আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর শাহবাগের জাতীয় জাদুঘরের সামনে এই প্রতিবাদ সমাবেশ হয়। স্লোগান ছিল, খেলাঘর চায় না ‘শিশুদের কান্না’। ছবি এঁকে এবং স্লোগান দিয়ে খেলাঘর আসরের সদস্য শিশুরা অংশ নেয় সমাবেশে। শিশুরা তাদের বক্তব্যে বলে, নিরাপদে স্কুল যেতে চাই, নিরাপদে খেলার মাঠে যেতে চাই।
প্রতিবাদ সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আবু সাঈদ। তিনি বলেন, ‘শিশুদের সঙ্গে নিয়ে আজ আমরা পথে দাঁড়িয়েছি। অথচ এই শিশুরা এখনো অনেকে জানেই না এসব ভয়াবহ ঘটনার সত্যিকার অর্থ। খেলাঘর দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের অধিকার নিয়ে কাজ করছে। দেশজুড়ে যেসব অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা শুরু হয়েছে, আমরা এর প্রতিকার চাই।’
শিশুদের মুখে হাসি ফোটানোর প্রত্যয় নিয়ে ১৯৫২ সালে খেলাঘর প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল বলে উল্লেখ করেন সংগঠনের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য রথীন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘আপনারা সবই জানেন কী চলছে এখন। শিশু থেকে মাঝবয়সী নারীরা ধর্ষণের শিকার হচ্ছে। বিচারহীনতার সংস্কৃতির ফলাফল এসব ঘটনা। আমরা এর নিন্দা জানাই এবং প্রতিকার চাই।’
সভা সঞ্চালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রেজাউল কবীর। তিনি বলেন, ত্বকী থেকে শুরু করে তিশা হত্যার ঘটনা দেশের বিচারহীনতার সংস্কৃতিরই ফল।
শিশুদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় প্রত্যেকের জায়গা থেকে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তারা। তাঁদের বক্তব্যে উঠে আসে প্রযুক্তির প্রতি আসক্তিতে শিশুদের বইয়ের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হওয়ার কথা। শিশুর প্রতি অন্যায়ে রাষ্ট্রের ছাড় দেওয়ার অভিযোগ। শিশুদের ভবিষ্যৎ রক্ষায় এসব দিকে গুরুত্ব দেওয়ার দাবি জানান বক্তারা। সমাবেশে কেন্দ্রীয় খেলাঘর আসরের সদস্যরাও ছাড়াও অংশ নেন বিভিন্ন শ্রেণি–পেশার মানুষ। তাঁরা শিশু ও নারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানান এবং ন্যায়বিচারের দাবিতে একযোগে কাজ করার কথা ব্যক্ত করেন।