১৯৯৬ সালের ২৬ জুলাই মুক্তি পাওয়া ‘প্রেমের সমাধি’ সিনেমার ক্লিপ এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল। ঈদের পোশাক থেকে ‘গান’ কিংবা ‘নাটক’-সর্বত্র চলছে ‘হেনা’ ট্রেন্ড; যে চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন চিত্রনায়িকা শাবনাজ। এ বিষয় নিয়ে প্রথমবার কোনো টেলিভিশন চ্যানেলে কথা বলেছেন গুণী এই অভিনেত্রী। মাছরাঙা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অনুষ্ঠান ‘রাঙা সকাল’-এর ঈদ আয়োজনে বিশেষ অতিথি হয়ে আসছেন শাবনাজ।

এই অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, ‘অনেকে তো এখন আমাকে ‘হেনা আপা’ নামেই সম্বোধন করছেন। বিষয়টি মজার, একই সাথে বিস্ময়কর। কারণ আজকাল তো বেশির ভাগ সময় নেতিবাচক বিষয়গুলোই ভাইরাল হয়। সে ক্ষেত্রে ২৯ বছর আগে মুক্তি পাওয়া একটি সিনেমা নতুন করে পরিচিতি পাচ্ছে, এ প্রজন্মের দর্শকরা আমাদের সিনেমা বা অভিনয় নিয়ে  ইতিবাচকভাবে চর্চা করছেন, বিষয়টি অনেক বেশি ভালো লাগার।ভালো সিনেমার শক্তি এখানেই।’ 

প্রায় দুই যুগের বেশি সময় হলো নিয়মিত অভিনয় ছেড়েছেন শাবনাজ। অথচ এখনো সিনেমার দাগ বয়ে বেড়াচ্ছেন তিনি। ১৯৯৩ সালে মুক্তি পাওয়া ‘লাভ’ সিনেমায় অভিনয় করতে গিয়ে গ্লাস ভেঙে হাত কেটে গিয়েছিল।

সেই দাগ এখনো রয়ে গেছে। একই বছর একই পরিচালক সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় অভিনয়ের জন্য অগ্রিম পারিশ্রমিকও নিয়েছিলেন সে সময়ের সবচেয়ে সফল জুটি শাবনাজ-নাঈম। 

তবে বিশেষ একটি কারণে শেষ পর্যন্ত তারা সিদ্ধান্ত নেন, সিনেমাটিতে কাজ করবেন না। পরবর্তীতে মৌসুমী-সালমান শাহের চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে এই সিনেমার মাধ্যমে। অভিনয় না করলেও ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমার মহরতের দিন নতুন জুটিকে শুভেচ্ছা জানাতে হাজির হয়েছিলেন শাবনাজ-নাঈম।

১৯৯১ সালে ‘চাঁদনী’ সিনেমার মাধ্যমে নায়িকা হিসেবে রাজকীয় অভিষেক হয়েছিল শাবনাজের। প্রথম সিনেমার জন্য সে সময় ৫০ হাজার পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন তিনি। 

এ রকম না বলা অনেক গল্পই জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাবনাজ শেয়ার করেছেন ঈদের বিশেষ ‘রাঙা সকাল’ অনুষ্ঠানে। রুম্মান রশীদ খান ও অর্চি রহমানের সঞ্চালনায়, জোবায়ের ইকবালের প্রযোজনায় ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ এই পর্বটি প্রচারিত হবে ঈদের পরের দিন সকাল ৭টায়, মাছরাঙা টেলিভিশনে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: শ বন জ ন শ বন জ ক য় মত

এছাড়াও পড়ুন:

মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়: বাংলাদেশ জাসদ

সংবিধানে মুক্তিযুদ্ধ ও ২০২৪ সালের গণ–অভ্যুত্থানকে সমান গুরুত্ব দেওয়ার চেষ্টার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয় বলে মনে করে বাংলাদেশ জাসদ। আজ শনিবার জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে আলোচনায় নিজেদের এ অবস্থান তুলে ধরে দলটি।

আজ সকালে জাতীয় সংসদ ভবনের এলডি হলে বাংলাদেশ জাসদের সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এতে দলটির সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক প্রধানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল অংশ নেয়। বৈঠকের শুরুতে নিজেদের প্রস্তাবনার সারসংক্ষেপ পাঠ করেন বাংলাদেশ জাসদের স্থায়ী কমিটির সদস্য মুশতাক হোসেন।

মুশতাক হোসেন বলেন, মুক্তিযুদ্ধকে খাটো করার প্রস্তাব গ্রহণযোগ্য নয়। অবশ্যই চব্বিশের গণ–অভ্যুত্থান উল্লেখ করার ঐতিহাসিক তাৎপর্য রয়েছে। সেই সঙ্গে দীর্ঘ লড়াই শেষে নব্বইয়ের গণ–অভ্যুত্থানও তাৎপর্যপূর্ণ। এই গণ–অভ্যুত্থানকেও সংবিধানে মর্যাদার সঙ্গে উল্লেখ করা প্রয়োজন। সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র ও ৭ মার্চের ভাষণ অপসারণ তাঁরা সমর্থন করেন না। দেশের নাম বাংলাতে পরিবর্তনকে তাঁরা অনাবশ্যক বলে মনে করেন।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের।

আলোচনার শুরুতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজ বলেন, রাষ্ট্র সংস্কারের উদ্যোগ অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষ থেকে নেওয়া হলেও এ দাবি প্রকৃতপক্ষে জনগণের। রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ের আলোচনা মে মাসের মাঝামাঝি শেষ করতে চায় কমিশন। এরপর দ্বিতীয় পর্যায়ের আলোচনা শুরু হবে। এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ঐকমত্য কমিশন রাষ্ট্র সংস্কারের একটি সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজে বের করতে পারবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি অধ্যাপক আলী রীয়াজসহ কমিশনের সদস্যরা

সম্পর্কিত নিবন্ধ