লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে প্রথম পাঁচ উইকেটের অমৃত স্বাদ পেলেন মাহফুজুর রাব্বী। তার স্পিন বিষে নীল হয়েছে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আবাহনী লিমিটেডের এই স্পিনার একাই ধসিয়ে দিয়েছেন পারটেক্সকে। আগে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১০০ রানে গুটিয়ে যায় তারা। মাহফুজুর ৯ ওভারে ২ মেডেনে ১৮ রানে নেন ৫ উইকেট। সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আবাহনী ১৪.

৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয়।

পারভেজ হোসেন ইমন ৫০ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৫৫ রান করেন। মোসাদ্দেক ২৭ বলে করেন ৩৭ রান। সাজঘরে ফেরেন জিসান আলম (৬) ও মুমিনুল হক (২)। এর আগে মাহফুজুরের ঘূর্ণিতে স্রেফ দিশেহারা হয়ে যান পারটেক্সের ব্যাটসম্যানরা। ওপেনিংয়ে জয়রাজ সর্বোচ্চ ৩৬ রান করেন। তিনে নামা অধিনায়ক সাব্বির রহমান করেন ২৩ রান। আদিল ১৩ রানে অপরাজিত থাকেন। বাকিরা কেউ দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেনি। এর আগে কখনোই ফাইফারের স্বাদ না পাওয়া মাহফুজুর এবার অপেক্ষা দূর করেছেন।

এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক ও রাকিবুল হাসান। চতুর্থ ম্যাচে আবাহনীর এটি তৃতীয় জয়। রান রেটে মোহামেডানকে পেছনে ফেলে টেবিলে দুইয়ে অবস্থান তাদের। সমান ম্যাচে পারটেক্সের এটি তৃতীয় পরাজয়।

আরো পড়ুন:

তামিমের আরেকটি সেঞ্চুরিতে মোহামেডানের সহজ জয়

‘যেখানেই খেলি না কেন আমার একটাই ইচ্ছা থাকে’

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

খুলনায় হাসপাতালের প্রিজন সেলে আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে অন্য নেতাদের সাক্ষাতের অভিযোগ

আটকের পর খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে চিকিৎসাধীন আওয়ামী লীগ নেতা খালিদ আহমেদের সঙ্গে অন্য নেতারা সাক্ষাৎ করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে প্রিজন সেলে সাক্ষাতের বিষয়টি জানাজানি হলে দ্রুত শটকে পড়েন নেতারা।

খালিদ আহমেদ খুলনার খালিশপুর থানা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক। তিনি সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার দুপুরের দিকে নগরের খালিশপুর থানার পদ্মা অয়েল রোডের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে খালিদ আহমেদকে আটক করা হয়। অভিযানের সময় পালাতে গিয়ে বাড়ির ছাদ থেকে পড়ে তিনি আহত হন। পরবর্তী সময়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলে ভর্তি করা হয়। ওই প্রিজন সেলের মধ্যেই আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে খালিদ আহমেদের বৈঠক করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের প্রিজন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) শামিম রেজা প্রথম আলোকে বলেন, ‘আপনারা যা শুনেছেন তা সত্য। আমি আসলে কিছু বলার জন্য রেডি না।’ এ কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন। পরে ফোন দিলেও তিনি আর ধরেননি।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, নেতাদের সাক্ষাতের সময় প্রিজন সেলের গেটে তালা মারা ছিল। গেটে একজন পুলিশ সদস্যও দায়িত্বরত ছিলেন। আর ভেতরে বৈঠক করেন আওয়ামী লীগ নেতারা। ওই বৈঠকে যাঁরা উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের বিরুদ্ধেও নাশকতাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার দুপুরের দিকে প্রিজন সেলের মধ্যে ও বাইরে ২০-২৫ জন আওয়ামী লীগ নেতাকে দেখা গেছে। ভেতরে পুলিশি পাহারায় আসামির সঙ্গে বসে গল্প করেন ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি ও ৭ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এনাম মুন্সী। প্রিজন সেলের ভেতরেই খালিদ হোসেনের কক্ষে ছিলেন আত্মীয়স্বজন ছাড়াও বেশ কয়েকজন আওয়ামী লীগ নেতা। ব্যাপারটি জানাজানি হওয়ার পর আওয়ামী লীগ নেতারা সেখান থেকে শটকে পড়েন।

খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, খালিদের বিরুদ্ধে বিএনপি অফিস ভাঙচুর ও নেতা–কর্মীদের মারধরের অভিযোগে খালিশপুর থানায় তিনটি এবং খুলনা সদর ও আড়ংঘাটা থানায় একটি করে মামলা রয়েছে। এনাম মুন্সীর বিরুদ্ধেও একাধিক নাশকতার মামলা রয়েছে। তাঁকে পুলিশ খুঁজছে।

খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালটি পড়েছে নগরের সোনাডাঙ্গা থানার মধ্যে। সেই হিসেবে সেখানকার নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করে সোনাডাঙ্গা থানা–পুলিশ। সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘বিভিন্ন মাধ্যমে ঘটনাটি শুনেছি। প্রিজন সেলে যিনি দায়িত্ব ছিলেন তিনি এসেছিলেন পুলিশ লাইন থেকে। এ কারণে ওই সময় কি ঘটেছিল তা বিস্তারিত বলতে পারব না। তবে ঘটনার পর সেখানে নিরাপত্তা ব্যবস্থা কঠোর করা হয়েছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ