মাগুরার সেই শিশুর অবস্থার অবনতি, সবার কাছে দোয়া চাইলেন প্রেস উইং
Published: 12th, March 2025 GMT
মাগুরার সেই শিশুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে শিশুটির স্বাস্থ্যের এই অবস্থার কথা জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
প্রেস সচিব বলেন, ‘আমরা দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, তার (মাগুরার শিশুটি) শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে আজ। তার গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) চার থেকে তিনে নেমেছে। সিএমএইচের চিকিৎসকেরা প্রাণান্তকর চেষ্টা করছেন। আমরা সবাই মিলে প্রার্থনা করি, সে যেন সম্পূর্ণ সুস্থ হয়। আমরা সবার কাছে তার জন্য দোয়া চাচ্ছি।’
শিশুটি ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে আছে। বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে, তবে উন্নতি খুব সামান্য: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং১০ মার্চ ২০২৫৬ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
আরও পড়ুনমাগুরার শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি, দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’৭ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: অবস থ র
এছাড়াও পড়ুন:
মাগুরার শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি
মাগুরার সেই শিশুর শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তার ‘মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন’ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক।
মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার সামান্য উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু আজ শিশুটির মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে। ঘটনার সময় শিশুটিকে যখন ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। পরদিন বেলা ১১টায় হাসপাতালে নেওয়ার আগপর্যন্ত ওই অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। ফলে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পেয়ে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি হয়েছে।
আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে, তবে উন্নতি খুব সামান্য: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং২০ ঘণ্টা আগেশিশুটির মামাতো ভাই প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসক তাঁদের জানিয়েছেন, আজ অবস্থা ভালো নয়।
শিশুটির চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে গঠিত বোর্ডের এক চিকিৎসক ও শিশুটির স্বজনের সঙ্গে আজ সকালে কথা বলে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানা গেছে।
চিকিৎসক জানান, গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) (মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা পরিমাপ করা হয়) আবারও ৩–এ নেমে এসেছে। স্বাভাবিক মাত্রা ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়। গতকাল সকাল থেকে তার জিএসএস ৩ থেকে উন্নতি হয়ে ৫–এ উঠেছিল বলে অবস্থার কিছুটা উন্নতি ধরে নেওয়া হয়েছিল।
বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুনবোনের স্বামীর সহায়তায় শিশুটিকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর, মামলার এজাহারে অভিযোগ০৮ মার্চ ২০২৫গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শিশুটিকে এখনো লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটির মা বললেন, ‘ইশ্! ক্যান যে পাঠাইছিলাম’০৯ মার্চ ২০২৫সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে রয়েছেন সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদ্রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ ও থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকেরা।
আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটি এখনো লাইফ সাপোর্টে, অবস্থা অপরিবর্তিত১০ মার্চ ২০২৫