তামিম ইকাবলের ব্যাটে আরেকটি সেঞ্চুরি। মোহামেডানের আরেকটি জয়। তামিম আবারো ম্যাচসেরা নির্বাচিত। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে বেশ সুসময় যাচ্ছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও তামিম ইকবালের। বুধবার (১২ মার্চ, ২০২৫) ব্রাদার্স ইউনিয়নকে ৯ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে হারিয়েছে মোহামেডান।

বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে আগে ব্যাটিং করতে নেমে ব্রাদার্স গুটিয়ে যায় মাত্র ১৮৭ রানে। ওই রান মোহামেডান তাড়া করে ৩২.

৫ ওভারে। ম্যাচসেরা নির্বাচিত হওয়া মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম ৯৬ বলে ৯ চার ও ৪ ছক্কায় ১০৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তাকে সঙ্গ দেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। দুজন ১৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে দলকে সহজেই জয় এনে দেন। তিনে নামা অঙ্কন ৯৬ বলে ৬ চার ও ৩ ছক্কায় ৭৫ রান করেন।

রনি তালুকদারের পরিবর্তে ওপেনিংয়ে নামা মেহেদী হাসান মিরাজ সুবিধা করতে পারেননি। পেসার আল-আমিন হোসেনের বলে ৬ বলে ২ রান করে আউট হন। সেখান থেকে তামিম ও অঙ্কন জুটি মোহামেডানকে উল্লাসে ভাসান।

আরো পড়ুন:

‘যেখানেই খেলি না কেন আমার একটাই ইচ্ছা থাকে’

আবারো ১০ উইকেটে জয় রূপগঞ্জের

অবশ্য প্রথম ইনিংসে তাইজুলের ঘূর্ণিতে জয়ের অর্ধেক কাজ হয়ে গিয়েছিল। বাঁহাতি স্পিনার ৩১ রানে ৪ উইকেট নেন। ১০ ওভারের বোলিংয়ে ছিল ১ মেডেনও। এছাড়া পেসার আবু হায়দার রনি ২৪ রানে ৪ ও মিরাজ ৩০ রানে ২ উইকেট পেয়েছেন।

সম্মিলিত আক্রমণে ব্রাদার্স তেমন সুবিধাই করতে পারেনি। ব্রাদার্সের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৩ রান করেন ইমতিয়াজ হোসেন। ৩২ রান আসে আইচ মোল্লার ব্যাট থেকে। চার ম্যাচে মোহামেডানের এটি তৃতীয় জয়। প্রথম ম্যাচ হারের পর টানা তিন জয় তুলেছে তারা। ব্রাদার্সের চার ম্যাচে তৃতীয় পরাজয়।

ঢাকা/ইয়াসিন/আমিনুল

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

পাগলা মসজিদের দানসিন্দুকে পাওয়া গেল রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ টাকা

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের ১১টি দানসিন্দুক খুলে এবার রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার ৬৮৭ টাকা পাওয়া গেছে। এ ছাড়া সিন্দুকে বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালংকার, বৈদেশিক মুদ্রা ও চিরকুট মিলেছে। শনিবার দিনভর গণনা শেষে সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জেসমিন আক্তার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জেসমিন আক্তার প্রথম আলোকে বলেন, এবার ১১টি সিন্দুক খুলে মোট ২৮ বস্তা টাকা পাওয়া যায়। দিনভর গণনার পর রেকর্ড ৯ কোটি ১৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা পাওয়া গেছে। গতবারের তুলনায় এবার টাকা এক বস্তা কম থাকলেও বড় নোট থাকায় টাকা বেশি পাওয়া গেছে।

এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের সিন্দুকগুলো খোলা হয়েছিল। সেবার ২৯ বস্তায় রেকর্ড ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা পাওয়া গিয়েছিল। এবার টাকা এক বস্তা কম হলেও টাকার পরিমাণ প্রায় এক কোটি টাকা বেড়েছে।

শহরের নরসুন্দা নদীতীরের এই মসজিদের দানসিন্দুকগুলো প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপর খোলা হয়। ৪ মাস ১২ দিন পর আজ সকাল সাতটায় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর নেতৃত্বে অতিরিক্ত দানবাক্স খোলা কমিটির আহ্বায়ক জেসমিন আক্তারের উপস্থিতিতে দানসিন্দুকগুলো খোলা হয়। প্রথমে টাকাগুলো সিন্দুক থেকে বের করে বস্তায় ভরা হয়।

আরও পড়ুনপাগলা মসজিদের ১১ সিন্দুকে ২৮ বস্তা টাকা, সোনা ও বৈদেশিক মুদ্রা৬ ঘণ্টা আগে

সিন্দুক খোলার সময় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারাসহ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম ও মসজিদের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। পরে আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া ও পাগলা মসজিদের এতিমখানাসহ দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াই শ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মচারী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রায় ৪০০ লোক টাকা গণনা করেন।

মসজিদ কমিটি সূত্রে জানা যায়, ছয়তলাবিশিষ্ট দৃষ্টিনন্দন পাগলা মসজিদ ও ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মাণের জন্য একটি মেগা প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। যেখানে একত্রে অর্ধলাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। পাঁচ হাজার নারীর জন্য আলাদাভাবে নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। ইতিমধ্যে কমপ্লেক্স নির্মাণে পরামর্শক হিসেবে প্রকৌশলীদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা যাচাই-বাছাই করে নকশা চূড়ান্ত করলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।

টাকার পাশাপাশি বিপুল পরিমাণ স্বর্ণালঙ্কার ও বৈদেশিক মুদ্রা পাওয়া গেছে

সম্পর্কিত নিবন্ধ