শান্তিনগরে রিভলভারসহ ‘চিহ্নিত চাঁদাবাজ’ নুরুজ্জামান গ্রেপ্তার
Published: 12th, March 2025 GMT
রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে রিভলভারসহ ‘চিহ্নিত চাঁদাবাজ’ নুরুজ্জামান বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শান্তিনগরের নভেল হাউজের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।
পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল বলেন, শান্তিনগর এলাকা থেকে বিদেশি রিভলভারসহ এক চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়।
বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হুসাইন মুহাম্মদ ফারাবী বলেন, পল্টন থানার টহল দল শান্তিনগর এলাকায় এক ব্যক্তিকে দৌড়ে আসতে দেখে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় তাকে আটক করে। ওই সময় মাহফুজ মীর নামের এক ব্যক্তি জানান, চাঁদার টাকার জন্য তার বাবাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বিপ্লব। পরে তার দেহ তল্লাশি করে একটি ০.
এসি ফারাবী বলেন, নুরুজ্জামান একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। জিজ্ঞাসাবাদে পল্টন ও শান্তিনগর এলাকার অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় অস্ত্র ও চাঁদাবাজি আইনে মামলা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত শুনানি শেষে আসামি নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিললো ৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা
কিশোরগঞ্জ শহরের ঐতিহাসিক ও আলোচিত পাগলা মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে এবারও পাওয়া গেল বিপুল পরিমাণ অর্থ। শনিবার সকাল ৭টা থেকে শুরু হয় গণনা। গণনায় দুপুর ১২টা পর্যন্ত ২৮ বস্তা থেকে প্রায় ৬ কোটি ৩৪ লাখ টাকা পাওয়া গেছে।
মসজিদ চত্বরেই টাকা গণনার এই কার্যক্রম চলছে জেলা প্রশাসনের কঠোর নিরাপত্তা ও তত্ত্বাবধানে। কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান,পুলিশ সুপার মো. হাছান চৌধুরী, ব্যাংক ও প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
রূপালী ব্যাংকের কিশোরগঞ্জ শাখার সহকারী মহাব্যবস্থাপক মো. রফিকুল ইসলাম জানিয়েছেন, গণনার প্রাথমিক পর্যায়ে পাওয়া সব টাকা ব্যাংকের হিসাবে জমা করা হয়েছে। এছাড়া দেশি মুদ্রার পাশাপাশি পাওয়া গেছে বিদেশি মুদ্রা ও স্বর্ণালঙ্কার।
জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, বিদেশি মুদ্রা ও অলংকার পরবর্তীতে মূল্য নির্ধারণ করে ব্যাংকে জমা দেওয়া হবে।
এর আগেরবার গত বছর ৩০ নভেম্বর পাগলা মসজিদের একই সংখ্যক দানবাক্স থেকে পাওয়া গিয়েছিল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা, যা ছিল একটি রেকর্ড পরিমাণ দান। দানের এই ব্যতিক্রমী ধারা প্রতি তিন থেকে চার মাস পরপরই গণনা করা হয়।
ধর্মপ্রাণ মানুষের অগাধ বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা থেকেই পাগলা মসজিদে এতো বিপুল দান আসে বলে মনে করেন স্থানীয়রা।