রাজধানীর শান্তিনগর এলাকা থেকে রিভলবারসহ ‘চিহ্নিত চাঁদাবাজ’ নুরুজ্জামান বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় শান্তিনগরের নভেল হাউজের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ রয়েছে।

পল্টন থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) জাহিদুল বলেন, শান্তিনগর এলাকা থেকে বিদেশি রিভালবারসহ এক চাঁদাবাজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরে তাকে থানা হেফাজতে রাখা হয়।

বুধবার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) হুসাইন মুহাম্মদ ফারাবী বলেন, পল্টন থানার টহল দল শান্তিনগর এলাকায় এক ব্যক্তিকে দৌড়ে আসতে দেখে আশপাশের লোকজনের সহযোগিতায় তাকে আটক করে। ওই সময় মাহফুজ মীর নামের এক ব্যক্তি জানান, চাঁদার টাকার জন্য তার বাবাকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যাচ্ছিলেন বিপ্লব। পরে তার দেহ তল্লাশি করে একটি ০.

৩২ বোরের রিভালভার উদ্ধার করা হয়।

এসি ফারাবী বলেন, নুরুজ্জামান একজন চিহ্নিত চাঁদাবাজ। জিজ্ঞাসাবাদে পল্টন ও শান্তিনগর এলাকার অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চাঁদা দাবিসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করে আসছিল বলে স্বীকার করেছেন। গ্রেপ্তার নুরুজ্জামানের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় অস্ত্র ও চাঁদাবাজি আইনে মামলা হয়েছে। বুধবার তাকে আদালতে তোলা হয়। পরে আদালত শুনানি শেষে আসামি নুরুজ্জামানকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। 

উৎস: Samakal

এছাড়াও পড়ুন:

আইপিএল কি তাহলে ভারতীয় ক্রিকেটে বিষাক্ত সংস্কৃতির জন্ম দিচ্ছে

‘দ্য ডার্ক সাইড অব ফ্যানডম’ শিরোনামে লেখাটি প্রকাশিত হয়েছে ক্রিকেটবিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকেট.ওয়ান-এ। সেখান থেকে চুম্বক অংশ ভাষান্তর পাঠকদের জন্য

ভারতে ক্রিকেট শুধু একটি খেলা নয়, যেন একটা ধর্ম। সেই ধর্মের অনুসারীদের আবেগে কখনো কখনো যুক্তির চিহ্ন মেলে না। আর এই আবেগ যখন সীমা ছাড়ায়, তখন তা রূপ নেয় বিষাক্ততায়। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটকে বাণিজ্যিকভাবে এক নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিলেও, এর ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক কাঠামো হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবেই জন্ম দিয়েছে এমন এক সংস্কৃতির, যেখানে খেলোয়াড়দের অপমান করাটাও যেন আবেগ প্রকাশের একটা নতুন উপায়।

অপমানজনক নামে ডাকা

ভারতীয় ক্রিকেটের তিন মহারথী—বিরাট কোহলি, মহেন্দ্র সিং ধোনি ও রোহিত শর্মা। শুধু ভারত নয়, ক্রিকেট ইতিহাসেই যাঁরা প্রত্যকে আলাদা জায়গা নিয়ে থাকবেন। অথচ আইপিএল আসার পর তাঁদের এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ডাকা হচ্ছে ‘চোকলি’, ‘ধোবি’ ও  ‘বড়পাও’ ইত্যাদি নামে। কাজটা আসলে করছেন এই ক্রিকেটাররা যে দলে খেলেন, তার প্রতিপক্ষ দলের সমর্থকেরা।

কোহলিকে ইদানীং ‘চোকলি’ নামে ডাকছেন অনেক প্রতিপক্ষ সমর্থক

সম্পর্কিত নিবন্ধ