বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনা পর্যালোচনায় আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুলকে প্রধান করে ছয় সদস্যের পর্যালোচনা কমিটি করেছ সরকার। আজ বুধবার এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

পর্যালোচনা কমিটির সদস্যরা হলেন জ্বালানি উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান; ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব, বাংলাদেশ গভর্নর আহসান এইচ মনসুর, বিমান বাংলাদেশে এয়ারলাইনসের পরিচালক আলী আশফাক ও  রূপালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান নজরুল হুদা।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, এ কমিটি ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ চুরির ঘটনার তদন্ত কাজের অগ্রগতি ও এ–সংক্রান্ত সরকারি অন্যান্য পদক্ষেপের পর্যালোচনা, এ ঘটনার দায়দায়িত্ব নির্ধারণ এবং এর পুনরাবৃত্তি রোধে প্রয়োজনীয় সুপারিশ দেবে। তিন মাসের মধ্যে কমিটিকে তাদের সুপারিশ দিতে বলা হয়েছে।

সরকারের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ এ কমিটিকে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

২০১৬ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে ৮ কোটি ১০ লাখ ডলার চুরি হয়।

অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা সুইফট পেমেন্ট পদ্ধতিতে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ থেকে এই বিপুল অর্থ হাতিয়ে নেয়।

পরে বিভিন্ন সময় ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার ফেরত আনা সম্ভব হয়। কিন্তু এখনো ৬ কোটি ৬০ লাখ ডলার উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি।

ঘটনার ৩৯ দিন পর বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে মতিঝিল থানায় মামলা করা হয়। মামলা তদন্তের দায়িত্ব পায় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।

রিজার্ভ থেকে অর্থ চুরির তথ্য এক দিন পর জানতে পারলেও বাংলাদেশ ব্যাংক তা ২৪ দিন গোপন রাখে। ৩৩তম দিনে বাংলাদেশ ব্যাংক বিষয়টি তৎকালীন অর্থমন্ত্রীকে আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত

সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার-২০০৩ (মরণোত্তর) বাতিলের সিদ্ধান্ত রহিত (বাতিল) করা হয়েছে। সেইসঙ্গে স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫ এর জন্য নির্বাচিত ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। 

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জাতীয় পর্যায়ে গৌরবোজ্জ্বল ও কৃতিত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এবার সাত জন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে ‘স্বাধীনতা পুরস্কার ২০২৫’ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

যেসব ব্যক্তিকে এ বছর স্বাধাীনতা পুরস্কার দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তারা হলেন—বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে অধ্যাপক জামাল নজরুল ইসলাম (মরণোত্তর), সাহিত্যে মীর আবদুস শুকুর আল মাহমুদ (মরণোত্তর), সংস্কৃতিতে নভেরা আহমেদ (মরণোত্তর), সমাজসেবায় স্যার ফজলে হাসান আবেদ (মরণোত্তর), মুক্তিযুদ্ধ ও সংস্কৃতিতে মোহাম্মদ মাহবুবুল হক খান ওরফে আজম খান (মরণোত্তর), শিক্ষা ও গবেষণায় বদরুদ্দীন মোহাম্মদ উমর এবং প্রতিবাদী তারুণ্যে আবরার ফাহাদ (মরণোত্তর)।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে ২০০৩ সালে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার (মরণোত্তর) সুপ্রিম কোর্টের যে রায়ের পটভূমিতে ২০১৬ সালে সরকার বাতিল করে, ওই রায়ে তাকে প্রদত্ত স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের কোনো নির্দেশনা না থাকায় মহান মুক্তিযুদ্ধে অসাধারণ অবদান বিবেচনায় তার স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিলের ওই সিদ্ধান্ত সরকার রহিত করেছে।

২০১৬ সালের আগস্টে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার প্রত্যাহার করে তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ৯ বছর পর মুক্তি, জেল গেট থেকে তুলে নিয়ে যুবককে গ্রেপ্তার দেখাল পুলিশ
  • যে অভিযোগে গ্রেপ্তার ফিলিপাইনের দুতার্তে
  • যে অভিযোগে গ্রেপ্তার হলো ফিলিপাইনে সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে
  • যে অভিযোগে গ্রেপ্তার হল ফিলিপাইনে সাবেক প্রেসিডেন্ট দুতার্তে
  • জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত
  • পুতিন এবার ট্রাম্পকে লেনিন পদক দেবেন!
  • মোংলা বন্দর উন্নয়নে ব্যয় হবে ৪০৪৬ কোটি টাকা