১২০০ টাকায় স্বাস্থ্যপরীক্ষা ইনসাফ বারাকায়
Published: 12th, March 2025 GMT
মহান স্বাধীনতা দিবস ও ১৩ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষে মাসব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের আয়োজন করেছে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি অ্যান্ড জেনারেল হাসপাতাল। ক্যাম্পে চিকিৎসকরা বিনামূল্যে রোগীদের চিকিৎসা পরামর্শ দেবেন। কিডনি সম্পর্কিত সিরাম ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা ফ্রি করা হবে।
হাসপাতালটি জানায়, এ উপলক্ষে মাত্র ১২০০ টাকায় পাঁচটি পরীক্ষা প্যাকেজে (আল্ট্রাসনোগ্রাম, ইসিজি, সিবিসি, ইউরিন আরই এবং সিরাম ক্রিয়েটিনিন) হেলথ চেকআপ করবে তারা। পাঁচজন হতদরিদ্র রোগীকে এক বছর পর্যন্ত ডায়ালাইসিস ফ্রি করা হবে (মেডিসিন ছাড়া)।
আগামীকাল ১৩ মার্চ সারা বিশ্বে কিডনি দিবস পালন করা হবে। প্রতি বছর এ দিবসটি আনুষ্ঠানিকভাবে কিডনি দিবস হিসেবে পালন করে থাকে। এ বছর বিশ্ব কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য হলো ‘আপনার কিডনি ঠিক আছে তো? তাড়াতাড়ি পরীক্ষা করুন, কিডনির স্বাস্থ্য রক্ষা করুন’ (‘Are Your Kidneys OK? Detect early, protect kidney health’.
সবার সাথে কণ্ঠ মিলিয়ে ইনসাফ বারাকাহ কিডনি হাসপাতাল বিভিন্ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের উদ্যোগ নিয়েছে। মাসব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প উপলক্ষে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতাল বিভিন্ন চিকিৎসা সেবামূলক নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পোস্টার প্রদর্শন ও লিফলেট বিতরণ, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সচেতনতামূলক ভিডিও প্রচার।
কিডনি বিষয়ক বিভিন্ন আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কিডনি রোগীর সংখ্যা প্রায় ৮৫ কোটি। বাংলাদেশে প্রায় ২ কোটির বেশি লোক কোনো না কোনোভাবে কিডনি রোগে আক্রান্ত। দিন দিন কিডনি রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়েই চলেছে।
ইনসাফ বারাকাহ কিডনি হাসপাতালে গত বছর ১৫ দিনব্যাপী ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ১৩৯৩ জন রোগীর সিরাম ক্রিয়েটিনিন এবং ইউরিন আর/ই পরীক্ষা সম্পূর্ণ বিনামূল্যে করা হয়। এর মধ্যে ১৪৯ জন রোগীর রক্ত ও প্রস্রাব পরীক্ষায় কোনো না কোনো কিডনি সম্পর্কিত জটিলতা পাওয়া যায়। এতে দেখা যায় গড়ে প্রায় ১১ শতাংশ মানুষ কিডনির সমস্যায় আছে।
ঢাকা/এনএইচ
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইনস ফ ব র ক হ পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
ভারতে হোলির ব্যবসা হতে পারে ৬০ হাজার কোটি রুপির
ধর্মীয় উৎসব অর্থনীতিতে গতি নিয়ে আসে। উৎসবকেন্দ্রিক নির্দিষ্ট কিছু কার্যক্রম থাকে। তাতে নির্দিষ্ট কিছু পণ্যের বেচাকেনা বাড়ে। হিন্দু সম্প্রদায়ের অন্যতম উৎসব এই হোলি। কনফেডারেশন অব অল ইন্ডিয়া ট্রেডার্সের (সিএআইটি) প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, হোলি উপলক্ষে এবার ভারতে ৬০ হাজার কোটি রুপির ব্যবসা হবে।
সারা ভারতে ধুমধাম করে উদ্যাপিত হয় রঙের উৎসব হোলি। শুধু হিন্দু সম্প্রদায় নয়, অন্য সম্প্রদায়ের লোকজনও এই উৎসবে মেতে ওঠেন। ফলে স্বাভাবিকভাবেই অর্থনীতিতে তার ইতিবাচক প্রভাব পড়ে। উৎসব মানেই খাওয়াদাওয়া, কেনাকাটা, উপহার দেওয়া-নেওয়া। এর জেরে বিক্রিও বাড়ে। হোলিতেও তার ব্যতিক্রম হয় না। রং ও আবির থেকে শুরু করে মিষ্টি বা জামাকাপড়ের বিক্রি বেড়ে যায় হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে। খবর লাইভ মিন্ট।
এ বছর ১৪ মার্চ ভারতে হোলি উৎসব। তবে সব জায়গায় এক দিনে এই উৎসব হবে না, কোনো কোনো অঞ্চলে ভিন্ন দিনে উদ্যাপিত হবে এই উৎসব। এখন থেকেই সেই উৎসব উপলক্ষে কেনাকাটা শুরু হয়েছে। এসব মিলিয়েই ব্যবসার পরিমাণ ৬০ হাজার কোটিতে পৌঁছে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। গত বছর এই অঙ্ক ছিল ৫০ হাজার কোটি রুপি। অর্থাৎ গত বছরের তুলনায় হোলিতে ব্যবসা বাড়বে প্রায় ২০ শতাংশ, এমনটাই আশা করছে সিএআইটি। এর মধ্যে ভারতের রাজধানী দিল্লিতেই ব্যবসা হতে পারে আট হাজার কোটি রুপির।
গত কয়েক বছরের মতো এবার হোলিতে চীনের জিনিস বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ভারতীয় ব্যবসায়ীদের একাংশ। এর জেরে ভারতে তৈরি হারবাল রং, আবির, পিচকারি, বেলুন, পূজার জিনিস বিক্রি বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে মিষ্টি, শুকনা ফল, ফুল ও উপহারসামগ্রীর বিক্রি গতবারের চেয়েও বেশি হবে বলে আশা করা হচ্ছে। মুদিপণ্য, দীর্ঘস্থায়ী ভোগ্যপণ্যের চাহিদাও বাড়বে বলে উঠে এসেছে ওই প্রতিবেদনে। হোলিকেন্দ্রিক পোশাকের বিক্রিও চাঙা থাকবে। এসব মিলিয়েই হোলিতে ভারতের অর্থনীতিতে বেশ গতি আসবে বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
হোলির দিন মানুষ একে অপরের গায়ে রং মাখিয়ে দেন। সে কারণে সেদিন একাধিক জামাকাপড়ের প্রয়োজন হয়। এই বাস্তবতায় ভারতের বাজারে ইতিমধ্যে টি-শার্ট, কুর্তা-পাজামা ও সালোয়ার কামিজের বিক্রি বেড়েছে। একই সঙ্গে হ্যাপি হোলি লেখা টি-শার্টের চাহিদা বাড়ছে।
সিএআইটির পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, এ বছর রং বা আবির কেনার ক্ষেত্রে ক্রেতাদের মধ্যে হারবাল বা প্রাকৃতিক রং কেনার চাহিদা বেড়েছে। রাসায়নিক রং পরিহার করার চেষ্টা করছেন তাঁরা।