ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে আইএসইউ শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
Published: 12th, March 2025 GMT
দেশব্যাপী সন্ত্রাস, ধর্ষণ ও বিচারহীনতার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যান্ডার্ড ইউনিভার্সিটির (আইএসইউ) শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মহাখালী ক্যাম্পাসের সামনে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বলেন, এ বাংলায় ধর্ষকের কোন ঠাঁই হতে পারে না। ভয় থেকে নারী ও শিশুদের নিরাপত্তা দিয়ে অস্থির পরিবেশ থেকে পরিত্রাণ দিতে হবে। ফ্যাসিস্টের প্রেত্মাতারা এ ধরনের নিকৃষ্ট কাজের মাধ্যমে সমাজকে অস্থিতিশীল করার ঘৃণ চক্রান্ত করছে।
আরো পড়ুন:
মাগুরায় শিশুকে ধর্ষণের প্রতিবাদে যবিপ্রবিতে মানববন্ধন
২৭টি বিচারবহির্ভূত হত্যায় জড়িত থাকার অভিযোগ
সাতক্ষীরার সাবেক ডিসি নাজমুল আহসানের গ্রেপ্তার দাবিতে মানববন্ধন
এজন্য সরকারকে এসব অপরাধীদের দমনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ জানাচ্ছি এবং দ্রুত আছিয়ার ধর্ষকের বিচার দাবি করছি।
মানববন্ধনে শিক্ষার্থীরা তিনদফা দাবি ঘোষণা করেন। দাবিগুলো হলো- ধর্ষকের সর্বনিম্ন শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দিতে হবে; সাতদিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্ত এবং ৩০ দিনের মধ্যে বিচার প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে; ভুক্তভোগী পরিবারকে নিরাপত্তা দিতে হবে এবং সরকারকে পরিবারের দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।
শিক্ষার্থীদের এ আয়োজনে আইএসইউ শিক্ষক ও কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রতিবাদী পদযাত্রা করেন।
ঢাকা/মেহেদী
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
কুয়েট ভিসির পদত্যাগ দাবিতে মশাল মিছিল
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ভিসি অধ্যাপক মোহান্মদ মাছুদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে শিক্ষার্থীরা মশাল মিছিল করেছে।
বৃহস্পতিবার (১৭ এপ্রিল) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্বার বাংলা পাদদেশ থেকে মিছিল শুরু হয়ে প্রধান ফটক সংলগ্ন কুয়েট উড পাদদেশে বিক্ষোভ মিছিল করে। এরপর সেখান থেকে তারা মশাল মিছিল সহকারে বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে গিয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ের মাধ্যমে শেষ করে।
শিক্ষার্থীদের পক্ষে প্রেস ব্রিফিং করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০ ব্যাজের শিক্ষার্থী রাহাতুল ইসলাম, ১৯ ব্যাচের শিক্ষার্থী শেখ জাহিদ ও একই ব্যাচের শিক্ষার্থী গালিব রাহাত।
আরো পড়ুন:
টাঙ্গাইলে নকল সরবরাহের অভিযোগে শিক্ষক গ্রেপ্তার
গাজীপুরে ওসির প্রত্যাহারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
প্রেস ব্রিফিংয়ে তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘‘বুধবার (১৭ এপ্রিল) কতিপয় শিক্ষক আমাদের বিরুদ্ধে কর্মচারী-কর্মকর্তাদের সঙ্গে মানববন্ধনে দাঁড়িয়েছেন। আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই, আমাদের সংগ্রাম আমাদের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে নয়। তারা আমাদের পিতৃতুল্য। আমাদের যদি ভুল হয়ে থাকে আপনারা আমাদের ক্ষমা করবেন। কিন্তু আমরা ব্যথিত আজ দুই মাস ধরেও আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে যারা হামলা করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে কোনো মানববন্ধন করলেন না। আমাদের নামে মিথ্যা মামলা হলো তাও আমাদের পক্ষে দাঁড়িয়ে মানববন্ধন করলেন না। আর এখন আপনারা আমাদের বিরুদ্ধে কীভাবে গেলেন? যেখানে সারা দেশ আমাদের পক্ষে দাঁড়াচ্ছে।’’
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, ‘‘আমরা ব্যথিত। কারণ ৫৮ দিন পরও অন্তর্বর্তী সরকার আমাদের দিকে এখনো তাকাচ্ছে না। আমাদের ক্যাম্পাসে রামদা, চাপাতি; এমনকি আগ্নেয়াস্ত্র তাক করে গুলি করা হলেও সরকার নিশ্চুপ ভূমিকা পালন করে। আমাদের নামে মামলা, বহিষ্কার হওয়ার পরও তারা আমাদের দিকে তাকায়নি। যেই আসিফ মাহমুদের জন্য আমরা রাস্তায় নেমে রক্ত দিয়েছি। ওই আসিফ মাহমুদ আমাদের দিকে তাকাননি। আমরা কিন্তু এখনো রাজপথ ছাড়িনি।’’
ঢাকা/নুরুজ্জামান/বকুল