এবার শ্রীলঙ্কায় ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করল ওয়ালটন এসি
Published: 12th, March 2025 GMT
এবার দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র শ্রীলঙ্কার বাজারে নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করল দেশের নাম্বার ওয়ান এয়ারকন্ডিশনার ব্র্যান্ড ওয়ালটন। সেইসঙ্গে দেশটিতে বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো কমার্শিয়াল এসি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু করেছে ওয়ালটন।
বিশ্বের সেরা ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড হয়ে ওঠার লক্ষ্যে ইউরোপ, এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য ও আাফ্রিকার নতুন নতুন দেশে প্রতিনিয়ত নিজস্ব ব্র্যান্ড বিজনেস সম্প্রসারণ করে চলেছে ওয়ালটন। এরই ধারাবাহিকতায় দক্ষিণ এশিয়ার দেশ শ্রীলঙ্কায় ব্র্যান্ড নামে এসি রপ্তানি করল গ্লোবাল এই ইলেকট্রনিক্স ব্র্যান্ড।
ওয়ালটনের গ্লোবাল বিজনেস শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুর রউফ জানিয়েছেন, চলতি মাসের প্রথম সপ্তাহে ওয়ালটনের রেসিডেন্সিয়াল এবং কমার্শিয়াল এসির প্রথম শিপমেন্ট শ্রীলঙ্কায় পাঠানো হয়েছে। ওয়ালটনের হাত ধরে বাংলাদেশ থেকে কমার্শিয়াল এসি রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শ্রীলঙ্কার বাজারে ওয়ালটন এসি বিক্রয় এবং বিপণন কার্যক্রম পরিচালনা করবে দেশটির খ্যাতনামা প্রতিষ্ঠান মনিক ট্রেডিং প্রাইভেট লিমিটেড।
ওয়ালটন এসির চিফ বিজনেস অফিসার মো.
ওয়ালটন এসির সর্বোচ্চ গুণগত মান, পরিবেশবান্ধব সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার অল্প সময়ের মধ্যেই শ্রীলঙ্কার ক্রেতাদের আস্থা অর্জন করবে বলে তিনি দৃঢ় আশা ব্যক্ত করেছেন।
গাজীপুরের চন্দ্রায় ওয়ালটন হাই-টেক পার্কে আন্তর্জাতিক মানের ম্যানুফ্যাকাচারিং প্ল্যান্টে বিশ্বের সর্বাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচারের টেকসই পরিবেশবান্ধব বিদ্যুৎসাশ্রয়ী স্প্লিট, ক্যাসেট, সিলিং, চিলার ও ভিআরএফ এসি উৎপাদন করা হচ্ছে। এসব এসিতে আছে ফ্রস্ট ক্লিন, এয়ার প্লাজমা, থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টার টেকনোলজি, স্মার্ট কন্ট্রোলসহ নানা অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ও ফিচার। এছাড়াও আছে অফলাইন ভয়েস কন্ট্রোল এসি, ব্লুটুথ ও এয়ার প্লাজমা ফিচারের থ্রি-ইন-ওয়ান কনভার্টার প্রযুক্তির এসি। ওয়ালটনের ক্যাসেট টাইপ এসি ইন্টারনেট ছাড়াই ব্লুটুথের মাধ্যমে স্মার্টফোন থেকে নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
ওয়ালটন এসির কম্প্রেসারে ব্যবহার করা হচ্ছে বিশ্বস্বীকৃত সম্পূর্ণ পরিবেশবান্ধব আর-২৯০ গ্যাস। আন্তর্জাতিক মানের টেস্টিং ল্যাব নাসদাত-ইউটিএস থেকে মান নিয়ন্ত্রণ সনদ পাওয়ার পরই ওয়ালটনের প্রতিটি এসি স্থানীয় ও বৈশ্বিক বাজারে ছাড়া হয়।
ঢাকা/একরাম/রফিক
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
শুধু দুই মোটিফে আগুন লাগাকে ‘রহস্যজনক’ বলছে ফায়ার সার্ভিস, তদন্তে পুলিশ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদে এবারের বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রার জন্য বানানো দুটি মোটিফে আগুন লাগার ঘটনাকে রহস্যজনক বলছে ফায়ার সার্ভিস। এ ঘটনায় তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের নিয়ন্ত্রণকক্ষ জানায়, আজ শনিবার ভোর ৫টা ৪ মিনিটে আগুন লাগার খবর পায় ফায়ার সার্ভিস। পুরান ঢাকার সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট ৫টা ২২ মিনিটে আগুন নেভায়।
আগুনের সূত্রপাত নিয়ে সিদ্দিকবাজার ফায়ার স্টেশনের কর্মকর্তা রুহুল আমিন মোল্লা বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য অনেকগুলো মোটিফ সেখানে রয়েছে। এর মধ্যে কেন শুধু দুটি মোটিফে আগুন লেগেছে, সেটি রহস্যজনক।
ফায়ার সার্ভিস সদর দপ্তরের মিডিয়া সেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উপসহকারী পরিচালক মো. শাহজাহান শিকদার বলেন, পূর্ণাঙ্গ তদন্ত না করে আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে বলা সম্ভব নয়। তদন্ত করে আগুন লাগার রহস্য উদ্ঘাটন করা হবে।
এদিকে শাহবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খালিদ মনসুর বলেন, নববর্ষের শোভাযাত্রা উদ্যাপনের জন্য অনেকগুলো মোটিফের মধ্যে ‘ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতি’ ও ‘শান্তির পায়রায়’ কীভাবে আগুন লাগল, সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলামত সংগ্রহ শুরু করেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রক্টরসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। নববর্ষ উদযাপনের আগে ফ্যাসিবাদের আর কোনও মোটিফ কিংবা সাদৃশ্য স্বল্প সময়ে তৈরি করা হবে কি না, সে বিষয়ে এখনও কিছু জানায়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদ।
এদিকে আজ সকালে চারুকলা অনুষদ দুঃখ প্রকাশ করে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, নববর্ষের শোভাযাত্রা উপলক্ষ্যে বানানো ফ্যাসিবাদের মুখাকৃতির মোটিফটি কে বা কারা আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
এ ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়েছে। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।