চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ভীষণ দুর্ভাগা অ্যাতলেটিকো মাদ্রিদ। এই টুর্নামেন্টের নকআউটে কোনোভাবেই নগর প্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদের সঙ্গে পেরে ওঠে না তারা। স্পেনের রাজধানীর এই দুই দল চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে নকআউটে এখন পর্যন্ত পাঁচবার মুখোমুখি হয়েছে। প্রতিবারই জয় পেয়েছে রিয়াল।

এবার শেষ ষোলোর লড়াইয়ে সান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে প্রথম লেগে ২-১ গোলে জিতেছে রিয়াল। অ্যাতলেটিকোর মাঠ ওয়ান্ডা মেট্রোপলিটানোতে দিয়াগো সিমিওনির শিষ্যরা কী পারবে এই ব্যবধান ঘুচিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে যেতে! এজন্য ন্যূনতম দুই গোলের ব্যবধানে জিততে হবে তাদের।

রিয়াল মাদ্রিদ হলো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের রাজা। ১৫ বার তারা মর্যাদাপূর্ণ এ টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছে। কিন্তু অ্যাতলেটিকো একবারও জিততে পারেনি। এর মধ্যে অ্যাতলেটিকোর জন্য সবচেয়ে যন্ত্রণার ছিল ২০১৪ ও ২০১৬ সালের ফাইনাল। ২০১৪ সালে লিসবনের ফাইনালে প্রথমার্ধেই দিয়াগো গডিনের গোলে এগিয়ে গিয়েছিল অ্যাতলেটিকো। ৯৩ মিনিটে সার্জিও রামোস হেড করে সমতা ফেরানোর পর অতিরিক্ত সময়ে গ্যারেথ বেল, মার্সেলো ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো গোল করলে ৪-১ ব্যবধানে জিতে রিয়াল।

দুই বছর পর মিলানে নির্ধারিত সময়ে ১-১ গোলে ড্র থাকার পর টাইব্রেকারে ৫-৩ ব্যবধানে জয় পায় রিয়াল। ফাইনালে সেটি ছিল অ্যাতলেটিকোর তৃতীয় হার। এর আগে ১৯৭৪ সালে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ফাইনালে হেরেছিল স্পেনের ক্লাবটি। 

২০১৭ সালে সেমিফাইনালে বার্নাব্যুতে ৩-০ গোলে হারার পর ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে জিতেও বাদ পড়তে হয়। এ ছাড়া ২০১৫ সালে দ্বিতীয় লেগে ৮৮ মিনিটে গোল হজম করে ছিটকে যেতে হয়েছিল তাদের। এই আসরে দুই দলের প্রথম দেখা ১৯৫৯ সালে। সেমির প্লেঅফে ২-১ গোলে জিতেছিল রিয়াল। 

পরাজয়ের এই বৃত্ত ভাঙতে মরিয়া অ্যাতলেটিকো বস দিয়াগো সিমিওনে, ‘আমাদের সমর্থকরা দারুণভাবে উৎসাহিত করছে। তারা আমাদের শক্তি জোগাচ্ছে, সাহস দিচ্ছে। এভাবেই তাদের পাশে চাই। আমাদের সম্ভাবনা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আশা করছি, বুধবার আমাদের জন্য দারুণ একটি রাত হবে।’

কঠিন পরীক্ষা যে দিতে পারে সেটা রিয়াল বস কার্লো আনচেলত্তিও মানছেন, ‘ভীষণ কঠিন একটি রাত গেছে (বার্নাব্যুতে)। তাহলে চিন্তা করেন বুধবার কী হবে!’ প্রথম লেগে রিয়ালের দুই তারকা ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে ও ভিনিসিয়ুস জুনিয়র কিছুই করতে পারেননি। তবে লা লিগায় ভায়েকানোর বিপক্ষে তারা দু’জনই গোল করেছেন। আর লা লিগায় গেটাফের কাছে ২-১ গোলে হেরেছে অ্যাতলেটিকো।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব যবধ ন ফ ইন ল আম দ র প রথম

এছাড়াও পড়ুন:

ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলো হামাস

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে ইসরায়েলের সর্বশেষ যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে। হামাস জানিয়েছে, অবিলম্বে তারা এমন একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত যেখানে যুদ্ধের অবসান এবং ফিলিস্তিনি বন্দিদের মুক্তির বিনিময়ে বাকি সমস্ত জিম্মিদের মুক্তি দেওয়া হবে। শুক্রবার বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

এক ভিডিও বিবৃতিতে হামাসের প্রধান আলোচক খলিল আল-হায়া বলেছেন, “আমরা (ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর রাজনৈতিক এজেন্ডা পূরণের আংশিক চুক্তি গ্রহণ করব না।”

হামাসের কাছে এখনো ৫৯ জন জিম্মি রয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জন জীবিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলের সর্বশেষ প্রস্তাবে ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেওয়ার বিনিময়ে ৪৫ দিনের যুদ্ধবিরতি অন্তর্ভুক্ত ছিল।

খলিল আল-হায়া বলেছেন, “সব বন্দিকে বলি দিয়ে হলেও নির্মূল ও অনাহারের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপর ভিত্তি করে নেতানিয়াহু এবং তার সরকার তাদের রাজনৈতিক এজেন্ডার আবরণ হিসেবে আংশিক চুক্তিকে ব্যবহার করে।”

তিনি আরো বলেন,  হামাস ‘ইসরায়েলের হাতে বন্দি নির্দিষ্ট সংখ্যক ফিলিস্তিনির বিনিময়ে জিম্মিদের মুক্তির জন্য অবিলম্বে একটি চুক্তির জন্য আলোচনা করতে প্রস্তুত’ এবং যুদ্ধের অবসান ঘটাতে প্রস্তুত।

হামাস এর আগে জানিয়েছিল, তারা যুদ্ধের অবসানের জন্য একটি সামগ্রিক চুক্তির কথা বিবেচনা করবে।

হামাসের এই ঘোষণার পর অতিডানপন্থী ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোট্রিচ জানিয়েছেন, হামাসের উপর ‘নরকের দরজা খুলে দেওয়ার’ সময় এসেছে।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ