বান্দরবানের লামায় স্বামীর সহায়তায় স্ত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার মিরিঞ্জায় অবস্থিত ‘মিরিঞ্জা ভ্যালী’ ও ‘মিরিঞ্জা ভ্যালী এগেইন’ নামে দুটি রিসোর্টে নিয়ে স্বামীর সহায়তায় ছয়জন মিলে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে ভিকটিম নিজেই বাদী হয়ে লামা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

বুধবার (১২ মার্চ) ধর্ষণের শিকার ওই নারীর দায়েরকৃত এজাহারের পর ওই নারীর স্বামী রুবেল (৩২) ও তার বন্ধু সাগরকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

থানায় দায়েরকৃত এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মিরিঞ্জা পর্যটন এলাকায় অবস্থিত রিসোর্ট ‘মিরিঞ্জা ভ্যালী’র নাইট গার্ড লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার আবুল কাশেম (বোবা) এর ছেলে রুবেল (৩২) তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে গত শনিবার রিসোর্টে যায়। সেখানে ওই নারীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে চারদিন আটকে রেখে ছয়জনে মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। 

গত মঙ্গলবার দুপুরে ধর্ষণের শিকার নারী রিসোর্ট থেকে পালিয়ে লামা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে চিকিৎসা গ্রহণ করেন।

প্রাথমিক চিকিৎসার পর ঐ নারী থানায় গিশে পুলিশের নিকট পুরো ঘটনা বর্ণনা দেন। এই ঘটনায় চারজনকে এজাহার নামীয় ও দুইজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে ধর্ষণের শিকার নারী নিজেই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৩)/৩০ ধারায় মামলা দায়ের করেছেন। 

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- লামা পৌরসভার মধুঝিরি এলাকার দানু মিয়ার ছেলে জহির (৪০) ও লাইনঝিরি এলাকার কবিরের ছেলে মামুন (২৮)। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা দুই জনকে আসামি করা হয়েছে। 

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) আব্দুল করিম মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, লামা উপজেলার মিরিঞ্জা ভ্যালী ও মিরিঞ্জা এগেইন দুইটি রিসোর্টেই স্বামীর সহায়তায় এক নারীকে ছয়জন মিলে ধর্ষণ করেছে। দুইজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

ঢাকা/চাইমং/এস

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

গুলিবিদ্ধ মদনটাক জবাই করে মাংস ভাগাভাগি, ইউপি সদস্যসহ ছয়জনের নাম মামলা

বরগুনায় গুলিবিদ্ধ মদনটাক উদ্ধার করে জবাই ও মাংস ভাগাভাগির ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) এক সদস্যসহ ছয়জনের নামে বন প্রাণী ও নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে সদর উপজেলার রেঞ্জ কর্মকর্তা আকতারুজ্জামান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকাল ১০টার দিকে বরগুনা সদর উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া এলাকায় একটি ফসলি মাঠের পাশে শিশুরা খেলছিল। এ সময় সেখানে ডানায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি মদনটাক পাখি এসে বসে। শিশুরা বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের জানান। পরে বদরখালী ইউপির সদস্য সাইফুল ইসলামসহ কয়েকজন পাখিটি উদ্ধার করেন। এর মাথা ও ডানায় আঘাতের চিহ্ন ছিল। পরে এলাকার লোকজন জড়ো হলে পাখিটি জবাই করে তাঁরা মাংস ভাগাভাগি করে নেন।

এ বিষয়ে ইউপি সদস্য সাইফুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘মদনটাক পাখিটিকে কে বা কারা জবাই করেছে, তা আমি জানি না। আমাকে বন বিভাগের লোকজন ডেকে নিয়ে গেছে ঘটনাস্থলে। এখন শুনি আমাকে পাখি হত্যা মামলার আসামি করা হয়েছে।’

সদর উপজেলার ভেটেরিনারি সার্জন বীথি দেবনাথ বলেন, ‘বন বিভাগের কর্মীরা মদনটাক পাখির জবাই করা কিছু অংশ আমাদের কাছে নিয়ে আসেন। পাখিটিকে কোনো পেশাদার শিকারি গুলি করেছেন। এর মাথায় গুলির চিহ্ন রয়েছে।’

আরও পড়ুনগুলিবিদ্ধ মদনটাক পাখি উদ্ধার করে জবাই, মাংস ভাগাভাগির অভিযোগ১০ মার্চ ২০২৫

বরগুনা সদর থানার ভারপাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জগলুল হাসান বলেন, পাখি জবাই করে মাংস ভাগাভাগি করার ঘটনায় থানায় বন প্রাণী ও নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়েছে। আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • আটক ২ বাংলাদেশিকে ফেরত দিল বিএসএফ
  • গুলিবিদ্ধ মদনটাক জবাই করে মাংস ভাগাভাগি, ইউপি সদস্যসহ ছয়জনের নাম মামলা