বরগুনায় মেয়েকে অপহরণের পর ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করায় মেয়ের বাবাকে হত্যার পর এবার এক যুবকের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুজনকে হত্যার ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে এলাকাজুড়ে। 

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে আপগ্রেড বিল থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধারের পর সনাক্ত করেছে স্বজনরা। 

উদ্ধার হওয়া মৃতদেহটি বরগুনা সদরের বাওয়ালকর এলাকার মুদি ব্যবসায়ী মো.

মিরাজ (৩০) এর। মিরাজ বাওয়ালকর এলাকার হোসেন মিয়ার ছেলে। 

এর আগে মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতের কোন‌ এক সময়ে বদরখালী ইউনিয়নের আপগ্রেড বিলে তাকে কুপিয়ে ফেলে রেখে যায় দুর্বৃত্তরা।

বরগুনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল হালিম সাংবাদিকদের জানান, স্থানীয়দের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মিরাজের রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে মঙ্গলবার রাতেই তাকে কুপিয়ে নির্জন বিলে ফেলে রেখে গেছে। 

নিহত মিরাজের মাথায় একাধিক কোপের চিহ্ন রয়েছে। ক্লুলেস এই হত্যা মামলার গভীরতম তদন্ত শুরু করেছে তারা। এই হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তারে পুলিশি অভিযান অব্যাহত আছে বলেও জানান তিনি।

ঢাকা/ইমরান/এস

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর বরগ ন

এছাড়াও পড়ুন:

বাংলাদেশ ও আরাকান আর্মিকে করিডোর দিতে বলল ফোর্টিফাই রাইটস

মিয়ানমারের রাখাইনে যুদ্ধাক্রান্ত বেসামরিক নাগরিকদের জন্য মানবিক সহায়তা এবং আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্য নিশ্চিত করতে এখনই করিডোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা ফোর্টিফাই রাইটস। বাংলাদেশ সরকার ও আরাকান আর্মির প্রতি বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এ আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

সংস্থাটি বলছে, তথ্যপ্রমাণ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকার পদ্ধতিগতভাবে রাখাইনে জীবন রক্ষাকারী মানবিক সহায়তা ঢুকতে দিচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষের প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হচ্ছে না। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের আসন্ন বাংলাদেশ সফরে সীমান্তের উভয় পাশে মানবিক চাহিদা নিয়ে আলোচনা করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

জাতিসংঘের তথ্য অনুযায়ী, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে ৫ লাখ ১৯ হাজারেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। আর ২০ লাখেরও বেশি মানুষ জরুরি খাদ্য, ওষুধ ও প্রয়োজনীয় সরবরাহের চাহিদায় রয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের সাম্প্রতিক মার্কিন বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস মানবিক সংকট আরও বাড়িয়ে তুলেছে, যা মিয়ানমারের সামরিক জান্তার স্বার্থকে রক্ষা করছে।

ফোর্টিফাই রাইটসের মানবাধিকার সহযোগী এজাজ মিন খান্ত বলেন, অধিকার রক্ষাকারী দেশগুলোর উচিত মিয়ানমারের চাহিদাসম্পন্ন সম্প্রদায়ের কাছে জীবন রক্ষাকারী সাহায্য সরবরাহ সহজ করার জন্য সব সম্ভাবনা খোঁজা। বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি মানবিক করিডোর চালু করা সব সম্প্রদায়ের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এ পদক্ষেপ না নিলে প্রাণহানি হবে।

ফোর্টিফাই রাইটস নথিভুক্ত করেছে, কীভাবে মিয়ানমারের জান্তা সাহায্য সরবরাহের ওপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। এর ফলে বেসামরিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। জান্তা বাণিজ্য পথও বন্ধ করে দিয়েছে, রাখাইন রাজ্যে খাদ্য ও ওষুধের ঘাটতি আরও বাড়িয়েছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ