অপুর হাতে ১২ সিনেমা, ঈদে আসছে তিনটি
Published: 12th, March 2025 GMT
ওটিটি কিংবা রূপালি পর্দা, সবখানে খল অভিনেতা হিসেবে তাঁর বিচরণ। নির্মাতাদের কাছে দিনকে দিন আরও আস্থার পাত্র হয়ে উঠছেন তিনি। গেলো কয়েক বছরে তার প্রমাণও দিয়েছেন। বলছি, অভিনেতা রাশেদ মামুন অপুর কথা। নিজের অভিনয় করা ১২টি সিনেমা প্রস্তুত থাকলেনও আগামী ঈদে আসছে তার অভিনীত তিনটি সিনেমা।
রাশেদ জানান, মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে তাঁর অভিনীত এক ডজনের মতো সিনেমা। ‘দাগি’, ‘জংলী’, ‘জলরঙ’, ‘আতরবিবিলেন’, ‘দ্য রাইটার’, ‘চাদর’, ‘দ্য গেইম’, ‘নর সুন্দরী’সহ ১২টি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায়। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমায় তাঁকে দেখা যাবে খল চরিত্রে।
রাশেদ মামুন অপু সমকালকে বলেন, “বর্তমানে হাতে ১২টি সিনেমা রয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগ সিনেমা সেন্সর পেয়েছে। আবার সেন্সরে জমা দেওয়ার অপেক্ষায় আছে কয়েকটি। এখন পর্যন্ত যেটা জেনেছি, আগামী ঈদে আমার অভিনয় করা ‘দাগি’, ‘জংলি’ ও ‘আতরবিবিলেন’ সিনেমা মুক্তি পাবে। এছাড়া প্রযোজক চাইলে আরও দুই-একটি বাড়তে পারে। আশাকরি দর্শকরা আমাকে এবারও ভিন্নভাবে পর্দায় দেখতে পাবে।”
এই অভিনেতার কথায়, “আসন্ন ঈদে যে তিনটি সিনেমা আসছে সবগুলোতেই নেতিবাচক চরিত্রে হাজির হচ্ছি। এর মধ্যে ‘দাগি’ সিনেমায় আফরান নিশোর সঙ্গে দর্শক আমাকে দুই ধরণের চরিত্রে দেখতে পাবে। দুটো চরিত্রের মধ্যেই নির্মাতা টুইস্ট রেখেছেন। এছাড়া ‘জংলি’ সিনেমায় দারুণ একটি চরিত্র। আর ‘আতরবিবিলেন’ সিনেমায় আমাকে মানুষরূপী এক জানোয়ারের চরিত্রে পাওয়া যাবে।”
মামুন বলেন, “সিনেমা-ওয়েব সবই আমাকে টানে। তবে সিনেমার খল অভিনেতা হিসেবে দর্শক আমাকে বেশি চেনে। যদিও খল চরিত্রে মাত্র তিন বছরের জার্নি চলছে। এটার জন্য নির্মাতারা আমাকে বেশি ডাকেন। খল চরিত্রগুলো উপভোগ করি। এখানে অভিনয়ের বৈচিত্র্য বেশি।”
দেশে সিনেমা হল কম হলেও ঈদের সময় সিনেমা মুক্তির হিড়িক লাগে। ফলে অনেক সিনেমাই ক্ষতির মধ্যে পড়ে বলে অভিযোগ করেন অনেকেই। তবে এখানে ক্ষতির কিছু দেখন না রাশেদ মামুন।
তার কথায়, ‘আমাদের সিনেমা এখন ঈদ কেন্দ্রিক হয়ে গেছে। ফলে ঈদে সিনেমা মুক্তি দিতে চান নির্মাতা-প্রযোজকরা। কয়েক বছরে আমাদের এখানে যতগুলো সিনেমা ভালো ব্যবসা করেছে সেগুলো কিন্তু ঈদের সিনেমা। করোনার পর যদি ধরা হয় তাহলে ‘পরান’, ‘হওয়া’, ‘প্রিয়তমা’, ‘রাজকুমার’, ‘সুড়ঙ্গ’, ‘তুফান’ তো ঈদেরই সিনেমা। অনেক সিনেমার মধ্যে থেকে তো ভালো সিনেমা বেরিয়ে এসেছে। এখানে ক্ষতির কিছু নেই। সিনেমা উৎসবে কেন্দ্রিক হওয়ায় ছবিগুলো আলাদা একটা মাইলেজ পায়।’
.উৎস: Samakal
এছাড়াও পড়ুন:
পাগলা মসজিদের দানবাক্সে চিরকুট, ‘পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়’
কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদের দানবাক্সে টাকার সঙ্গে মনোবাসনা পূরণের কিছু চিঠি-চিরকুট পাওয়া গেছে। এর মধ্যে দুইটি চিরকুট সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়েছে।
ভাইরাল হওয়া একটি চিরকুটে লেখা ছিল ‘পাগলা চাচা শেখ হাসিনা কোথায়।’ অন্যটিতে ছিল- ‘ড. ইউনূস স্যারকে আরও ৫ বছর চাই- সাধারণ জনগণ। আল্লাহ তুমি সহজ করে দাও।’
শনিবার (১২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৭টায় পাগলা মসজিদের দানবাক্সগুলো খোলা হয়। এ সময় মসজিদের সভাপতি জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীসহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। নিরাপত্তার দায়িত্বে ছিল সেনাবাহিনী, পুলিশ, ও আনসার সদস্যরা। দানবক্স খোলাকে কেন্দ্র করে মসজিদটিতে কঠোর নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হয়।
আরো পড়ুন:
আমিরাতের শেখ জায়েদ মসজিদে ঈদ জামাতে লাখো মুসল্লি
পঞ্চগড়ের যে মসজিদে প্রতিদিন ইফতার করেন ৩০০ জন
এবার চার মাস ১১দিন পর খোলা হলো কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্স। মসজিদের ১১টি সিন্দুক বা দানবাক্স খুলে পাওয়া গেছে ২৮ বস্তা টাকা।
দানবক্সে টাকার পাশাপাশি পাওয়া অনেক চিঠিতে সাধারণ মানুষ তাদের মনের ভাব প্রকাশ করেছেন। প্রতিবারই দানবাক্স খুলে টাকা গণনার সময় মেলে নাম পরিচয় ছাড়া বহু চিঠি-চিরকুট।
গত বছরের ৩০ নভেম্বর সর্বশেষ খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। তখন মসজিদের ১১টি দানবাক্স খুলে পাওয়া যায় ২৯ বস্তা টাকা। দিনভর গুণে হিসেব মেলে ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। রমজান ও ঈদকে কেন্দ্র করে এবার দানবাক্সগুলো দেরিতে খোলা হয়েছে।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) জেসমিন আক্তার এর নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করছেন। তাছাড়া দুইটি মাদরাসার প্রায় আড়াইশ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে চারশ লোক টাকা গণনার কাজ করছেন।
ঢাকা/রুমন/মাসুদ