সাতক্ষীরার কলারোয়ায় শারীরিক ও বাকপ্রতিবন্ধী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ইব্রাহিম গাজী (২১) নামে এক যুবককে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা।

আজ বুধবার সকাল ১০টার দিকে কলারোয়া পৌরসভাধীন গোপীনাথপুর যুগীবাড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

কলারোয়া থানা সূত্র জানিয়েছে, ধর্ষণের শিকার শিশুর বয়স ১২ বছর। কয়েক বছর আগে তার বাবা মারা যান। তার মায়ের অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় বর্তমান স্বামী নিয়ে সেখানে বসবাস করে। ফলে ওই শিশু তার নানা বাড়ি গোপীনাথপুরে থাকে। অভিযুক্ত ইব্রাহিম গাজীর বাড়ি ও ভুক্তভোগী শিশুর নানার বাড়ি পাশাপাশি।

অভিযোগ সূত্রে পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল ১০টার দিকে অভিযুক্তের বাড়িতে কেউ না থাকায় ওই শিশুকে কৌশলে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে অভিযুক্ত যুবক ইব্রাহিম গাজী বসতঘরের পশ্চিমপাশে বারান্দার কক্ষের মধ্যে শিশুকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বিষয়টি শিশুটির নানীসহ আশেপাশের লোকজন জানতে পেরে ইব্রাহিমকে আটক করে পুলিশকে অবগত করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে জনতার হাতে আটক যুবককে পুলিশে সোপর্দ করে স্থানীয়রা।

কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সামসুল আরেফিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী শিশুকে কোর্টের মাধ্যমে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত গ্রেপ্তার হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও ওসি জানান।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: কল র য়

এছাড়াও পড়ুন:

মেঘনা আলমের মুক্তিসহ বিশেষ ক্ষমতা আইন বিলোপের দাবি

১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে আটক মেঘনা আলমের মুক্তির দাবি জানিয়েছে গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই আইন বিলোপেরও দাবি জানানো হয়েছে। শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানানো হয়। কমিটির পক্ষে এই বিবৃতি পাঠান সংগঠনের সদস্য অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ।

বিবৃতিতে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মেঘনা আলমের আটকের ঘটনাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিচার বিভাগের স্বৈরাচারি আচরণের বহিঃপ্রকাশ বলে উল্লেখ করা হয়। বিবৃতিতে বলা হয়, ‘বিশেষ ক্ষমতা আইন, ১৯৭৪ একটি ফ্যাসিবাদী আইনের ধারা, যার বিরুদ্ধে বর্তমান সরকারের বেশ কয়েকজন উপদেষ্টা আগে বিভিন্ন সময় প্রতিবাদ করেছেন। অথচ এই আইন ব্যবহার করেই সৌদি আরবের রাষ্ট্রদূতের অন্যায় আচরণ ও প্রতারণা ঢাকতে একজন নারীকে বাড়িতে হামলা করে তুলে নিয়ে তাকে বৈধতা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। গত ১৫ বছর শেখ হাসিনার শাসনামলে বহু গুম ও স্বেচ্ছাচারি আটকের ভিত্তি তৈরি করে নাগরিকের মানবাধিকারকে নিষ্পেষিত করা হয়েছিল। জুলাইয়ে শিক্ষার্থী শ্রমিক জনতার বিপুল রক্তক্ষয়ী অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর যখন জনগণের আকাঙ্খা হয়ে উঠেছে, তখন এ রকম আইনের ব্যবহার পুনরায় ফ্যাসিবাদী তৎপরতার প্রকাশ ঘটিয়েছে।’ 

মেঘনা আলমের বিরুদ্ধে পুলিশের আনা ‘মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে কূটনীতিক সম্পর্ক নষ্ট করার’ অভিযোগকে বিভ্রান্তিকর ও অগ্রহণযোগ্য হিসেবে আখ্যা দিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, রাষ্ট্র যদি একজন কূটনীতিকের ব্যক্তিগত বিদ্বেষের জের ধরে রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করে নাগরিকের অধিকার হরণ করে, তাহলে রাষ্ট্রের সার্বভৌমত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হয়। একইসঙ্গে কূটনৈতিক প্রশ্নে দ্ব্যর্থহীন নতজানুতা প্রকাশ পায়। 

বিবৃতিতে অবিলম্বে মেঘনা আলমের মুক্তি এবং বিশেষ ক্ষমতা আইন (১৯৭৪) বিলোপের দাবি জানায় ‎‎গণতান্ত্রিক অধিকার কমিটি। একইসঙ্গে এই ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আইনের আওতায় আনারও দাবি জানানো হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ