তিন যুগ পেরিয়ে ৩৭ বছরে পা দিল শেল্টেক্
Published: 12th, March 2025 GMT
দেশের শীর্ষস্থানীয় রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান শেল্টেক্ (প্রা.) লিমিটেড আজ ১২ মার্চ, বুধবার ৩৭ বছরে পদার্পণ করেছে। এই দীর্ঘ পথচলায় শেল্টেক্ দেশের আবাসন খাতের বাইরে সিরামিকস, কনসালট্যান্সি সেবা, আর্থিক ও বাণিজ্যিক সেবা, প্রপার্টি ম্যানেজমেন্ট, কার্গো পরিবহন, এসপিসি পোল, বুটিক হোটেল, ব্রোকারেজ হাউসসহ বহু ব্যবসায় যুক্ত হয়ে শক্তিশালী কনগ্লোমারেট শিল্পগোষ্ঠী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
শেল্টেক্ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানিয়েছে। এতে বলা হয়েছে, চেয়ারম্যান কুতুবুদ্দিন আহমেদের একনিষ্ঠ প্রচেষ্টা ও দূরদর্শিতা এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালক তানভীর আহমেদের বলিষ্ঠ নেতৃত্বে আরও উন্নয়ন ও সম্প্রসারণের পথে এগিয়ে যাচ্ছে শেল্টেক্। দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার পাশাপাশি জনমানুষের কল্যাণে প্রতিষ্ঠানটি সর্বদা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কুতুবুদ্দিন আহমেদ ও প্রয়াত তৌফিক এম সেরাজের হাত ধরে ১৯৮৮ সালে শেল্টেক্ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠার পর থেকে আবাসন, বাণিজ্যিক এবং মিশ্র ব্যবহার প্রকল্পের উন্নয়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে শেল্টেক্। মানসম্মত নির্মাণ, নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর এবং গ্রাহক সন্তুষ্টির মাধ্যমে শেল্টেক্ বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট খাতে পথপ্রদর্শক হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছে। প্রতিষ্ঠানটি দেশের অর্থনীতিতে সক্রিয় অবদান রাখা ও কর্মসংস্থান তৈরির পাশাপাশি নানাবিধ জনকল্যাণকর কার্যসম্পাদনের মাধ্যমে বিভিন্ন জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় পুরস্কার অর্জন করেছে।
বর্ষপূর্তিতে আজ বুধবার ঢাকায় শেল্টেক্ টাওয়ারের ড.
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আহম দ
এছাড়াও পড়ুন:
বীমা খাতের উন্নয়নে আইডিআরএর সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি: ড. আসলাম
বীমা খাতের উন্নয়নে সংস্কার করে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের (আইডিআরএ) সক্ষমতা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান ড. এম আসলাম আলম বলেছেন, অনেক ক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধতা থাকায় আইডিআরএ তার ক্ষমতার প্রয়োগ করতে পারে না।
এই খাতের উন্নয়ন করতে চাইলে আইডিআরএ-কে দায়িত্ব পালনের সুযোগ দিতে হবে; ক্ষমতা প্রয়োগের সহায়ক পরিবেশ তৈরি করতে হবে বলে মনে করেন ড. আসলাম আলম।
বুধবার (১২ মার্চ) ঢাকার মতিঝিলে আইডিআরএ কার্যালয়ে ‘বীমা খাতের সংস্কার ও আমাদের করণীয় শীর্ষক সেমিনারে’ তিনি এসব কথা বলেন।
বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এবং ইন্স্যুরেন্স রিপোর্টার্স ফোরাম (আইআরএফ) যৌথভাবে এই সেমিনার আয়োজন করে।
আইআরএফ সভাপতি গাজী আনোয়ারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে দুটি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। জীবন বীমা খাত নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন প্রগতি লাইফের মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা মো. জালালুল আজিম এবং নন-লাইফ খাত নিয়ে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেনা ইন্স্যুরেন্সের মুখ্য নির্বাহী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শফিক শামীম।
সেমিনারে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের সদস্য, লাইফ ও নন-লাইফ বীমা কোম্পানিগুলোর মুখ্য নির্বাহী কর্মকর্তা এবং গণমাধ্যমে বীমা খাত নিয়ে কাজ করা সংবাদকর্মীরা অংশ নেন।
বীমা আইনকে অত্যন্ত ত্রুটিপূর্ণ আখ্যায়িত করে আসলাম আলম বলেন, আইডিআরএ-কে দুর্বল করে বীমাকারীদের পক্ষে এই আইন করা হয়েছে। আইডিআরএ কাউকে সাসপেন্ড করলে তারা আদালতে গিয়ে স্টে অর্ডার নিয়ে পুনরায় ফিরে আসে। তাই ব্যাপকভাবে আইডিআরএ এর ক্ষমতায়ন প্রয়োজন।
আইডিআরএ চেয়ারম্যান বলেন, যেকোনো সিদ্ধান্ত নিতে হলে তথ্যের প্রয়োজন। কিন্তু বীমা কোম্পানিগুলো সঠিকভাবে তথ্য প্রদান করতে চায় না। যেসব তথ্য দেয়, তা ফেব্রিকেটেড (জাল-জালিয়াতি) কিনা তাও নিশ্চিত নয়।
তিনি বলেন, “ডিজিটালাইজেশন হলে ৮৫ শতাংশ অনিয়ম-দুর্নীতি বন্ধ হয়ে যায়। আমরা পদক্ষেপ নেই কিন্তু সহযোগিতা পাওয়া যায় না।”
আইডিআরএ চেয়ারম্যান আরো বলেন, আইএমএস যেটা ইউএমপি নামে পরিচিত ছিল, সেটা ১০টি সার্ভিস দিচ্ছে। বীমা কোম্পানিগুলো মনিটরিং করতে এসব তথ্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। আইএমএস-এ পূর্ণ তথ্য দিলে আইডিআরএ কাজ করতে পারবে। কিন্তু বিআইএ এর নতুন কমিটি ঘোষণা দিয়েছে, তারা এটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করবে না।
আসলাম আলম বলেন, ডিজিটালাইজেশন ছাড়াও যদি যথাসংখ্যক জনবল থাকতো তাহলেও হতো। কিন্তু আইডিআরএকে স্বল্পসংখ্যক জনবল ও স্বল্প টেকনোলজি নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। তবে বীমা খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সব কিছু নিয়েই কাজ চলছে। এজন্য সময় লাগবে, রাতারাতি সম্ভব নয়।
গ্রাহকদের বকেয়া বীমা দাবির বিষয়ে তিনি বলেন, উল্লেখযোগ্য শেয়ারহোল্ডারের সম্পদ বিক্রি করে দাবি পরিশোধের ক্ষমতা আইডিআরএ এর নেই। এ জন্য আদালতে যেতে হয়। এরইমধ্যে কর্তৃপক্ষের বেশ কিছু মামলা চলমান আছে।
তিনি আরো বলেন, অনিষ্পন্ন বীমা দাবি পরিশোধ না হলে বীমার প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে না। সুশাসন কায়েম হলে আস্থা বাড়বে।
ঢাকা/এনএফ/এনটি/রাসেল