আতলেতিকোর মাঠে ৯০ মিনিট কেন কঠিন ভাবছে রিয়াল
Published: 12th, March 2025 GMT
হারজিত ছাপিয়ে সান্তিয়াগো বার্নাব্যুর সেই ম্যাচটা অনেক দিন মনে থাকবে অসাধারণ তিনটি গোলের জন্য। এর মধ্যে রদ্রিগো আর হুলিয়ান আলভারেজের করা গোল দুটি তো যেন ছিল শিল্পীর তুলিতে আঁকা।
তবে ফুটবল ম্যাচে শেষ পর্যন্ত ফলটাই মুখ্য এবং গত সপ্তাহে সেই মাদ্রিদ ডার্বির ফল নির্ধারিত হয়েছিল ব্রাহিম দিয়াজের দুর্দান্ত এক গোলে। ২-১ ব্যবধানে ম্যাচটা জিতে যাওয়া রিয়াল মাদ্রিদ আজ চ্যাম্পিয়নস লিগে শেষ ষোলোর ফিরতি লেগ খেলবে আতলেতিকোর মাঠে।
খেলাটা প্রতিপক্ষের মাঠে বলেই রিয়াল কোচ কার্লো আনচেলত্তি জানেন, মাত্র ১ গোলে এগিয়ে থাকাটা সেখানে বড় কোনো সুবিধা নয়। যে কারণে প্রথম লেগ শেষেই তিনি বলেছিলেন, ‘এই ম্যাচ এখনো সমতায়। মনে রাখতে হবে দলটা আতলেতিকো, ওদের বিপক্ষে ১ গোলে এগিয়ে থাকায় আপনি খেলা শেষ ধরে নিতে পারেন না।’
চ্যাম্পিয়নস লিগে ঘরের মাঠে রিয়ালের বিপক্ষে আতলেতিকোর পরিসংখ্যান—৩ ম্যাচ, ২ জয়, ১ ড্র। এটা জানা আছে বলেই বোধ হয় গত সপ্তাহে বার্নাব্যুতে রিয়ালের জয়ের নায়ক ব্রাহিম দিয়াজও বলেছেন, ‘কোনোভাবেই এই লড়াই শেষ হয়ে যায়নি।’
১ গোলে পিছিয়ে থাকাটাকে খুব বড় কিছু মনে করছেন না আতলেতিকোর কোচ ডিয়েগো সিমিওনেও। বরং নিজেদের মেত্রোপলিতানোতে খেলতে নামলেই অন্তত মানসিকভাবে এই ব্যবধান ঘুচে যাবে বলে মনে করেন সিমিওনে, ‘সমর্থকেরা সব সময় একটা বাড়তি শক্তি দেয় আমাদের।’ আর আতলেতিকো মিডফিল্ডার মার্কোস ইওরেন্তে তো একরকম হুমকিই দিয়ে রাখলেন প্রতিপক্ষকে, ‘নিজেদের মাঠে, আমাদের সমর্থকদের সামনে অন্তত ৯০ মিনিট খেলব আমরা। সেই অপেক্ষাতেই আছি।’
একই রাতে হতে যাওয়া লিল-ডর্টমুন্ড ম্যাচ অবশ্য আক্ষরিক অর্থেই সমতায়। ডর্টমুন্ডের মাঠে গত সপ্তাহে ১-১ ড্র করেছিল লিল। অন্যদিকে ব্রুগার মাঠ থেকে ৩-১ গোলে জিতে আসা অ্যাস্টন ভিলা আজ নিজেদের মাঠে খেলবে বেশ নির্ভার থেকে।
তবে সবচেয়ে নির্ভার আসলে আর্সেনাল। পিএসভির মাঠ থেকে ৭-১ গোলে জিতে আসা মিকেল আরতেতার দল আজ নিজের মাঠে স্রেফ দাঁড়িয়ে থাকলেই হয়তো কোয়ার্টার ফাইনালে চলে যাবে।
চ্যাম্পিয়নস লিগের নক আউট পর্বে প্রতিপক্ষের মাঠে কখনো দুই গোলের বেশি ব্যবধান ঘুচিয়ে পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি কোনো দল, পিএসভিকে আজ ম্যাচ অতিরিক্ত সময়ে নিতে হলেও অন্তত ছয় গোল করতে হবে!
এমন কখনো হয়নি, আজও হবে না, এটা নিশ্চিন্তে বলে দেওয়া যায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: আতল ত ক র
এছাড়াও পড়ুন:
দোল পূর্ণিমায় লালন মাজারে বসছে সাধুসঙ্গ
দোল পূর্ণিমায় লালন স্মরণোৎসব উপলক্ষ্যে এবারে পবিত্র রমজানের কারণে একদিনের উৎসব উদযাপনের প্রস্তুতি নিয়েছে লালন একাডেমি ও কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন।
তবে প্রতিবছর তিন দিনব্যাপী আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও মেলা থাকবে না। শুধু সাধু সঙ্গের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের দোল পূর্ণিমায় লালন মাজারের আয়োজন।
রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও লালন একাডেমির পক্ষ্য থেকে একদিনের লালন স্মরণোৎসব উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান।
বুধবার (১২ মার্চ) দুপুর থেকে একে একে বিভিন্ন এলাকা থেকে সাধু-ভক্ত ও লালন অনুসারীরা এসে জড় হয়েছে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়ার লালন আঁখড়াবাড়িতে। বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে সাধুদের নিয়মেই চলবে সাধু সঙ্গ।
এদিন সন্ধ্যা এবং রাতে বাউল ভক্ত ফকিরদের বাল্যসেবা প্রদান করা হবে। রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে সাধুদের বৃহস্পতিবার রাতেই আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে বলে জানা গেছে।
তিনদিনের পরিবর্তে এবার একদিনের অনুষ্ঠান হলেও সেটাতে সাধুদের নিয়মনীতিতে কোন প্রভাব নেই বলে জানান সাধুরা। তারা তাদের নিজস্ব নিয়ম মেনেই চলে।
এবারে তাদের অনুষ্ঠানের মধ্যে রয়েছে- সন্ধ্যায় বাল্যসেবা, রাখাল সেবা ও পূণ্যসেবা। এছাড়া সাধু-গুরুর ভক্তি ও ভাবের আদান প্রদান।
উল্লেখ্য, বাউল সম্রাট লালন ফকির তার জীবদ্দশায় প্রতিবছর ভক্ত ও অনুসারীদের নিয়ে দোল পূর্ণিমা তিথিতে স্মরণোৎসব পালন করতেন। সেই ধারাবাহিকতায় প্রতিবছর দোল পূর্ণিমায় লালন ভক্ত, অনুসারী ও বাউলরা অনুষ্ঠান উদযাপন করে আসছেন।
লালন মাজারে থাকা খোদা বক্স ফকির বলেন, “বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আমরা গুরু কার্যে বসব। ভোরে সেহরির পূর্বেই আমরা বাল্য সেবার মধ্য দিয়ে আমাদের কার্যক্রম শেষ করব। তবে যদি কেউ দুপুরে থাকে, তাহলে তারা নিজেদের কাফেলায় নিজেদের উদ্যোগে পূণ্য সেবা নিবে। তবে আমরা সকালেই সবাইকে বিদায় দিয়ে দেব।”
তিনি বলেন, “পৃথিবীর সকল ধর্মের মানুষের মাঝে সত্যের বাণি প্রচারের মাধ্যমে আমরা আমাদের মানবতার ধর্ম প্রচার করি। এজন্য কোনো ধর্মের মানুষ কষ্ট পাক এটা আমরা চাই না।”
কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক তৌফিকুর রহমান জানান, রমজানের পবিত্রতা রক্ষার্থে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসন ও লালন একাডেমির পক্ষ্য থেকে একদিনের লালন স্মরণোৎসব উদযাপন করা হয়েছে। সেখানে নিরাপত্তার ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। যে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পুলিশ-র্যাব এবং গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি করা হয়েছে।
ঢাকা/কাঞ্চন/এস