ধর্ষণের শিকার মাগুরার সেই শিশুর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। বুধবার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি।

প্রেস সচিব বলেন, মাগুরার শিশুটির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে আজ। তার সিজিএস চার থেকে তিনে নেমে এসেছে। ব্রেইন স্টেম এবং চোখের মণির প্রসারণ কমে গেছে গতকালকের তুলনায়। সিএমএইচের চিকিৎসকরা প্রাণান্ত চেষ্টা করছেন। আমরা সবাই প্রার্থনা করি- যেন শিশুটি সুস্থ হয়। আমরা তার জন্য দোয়া চাচ্ছি। 

গত ৫ মার্চ বোনের বাড়ি বেড়াতে গিয়ে গভীর রাতে ধর্ষণের শিকার হয় আট বছরের ওই শিশু। প্রথমে তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে সেখান থেকে স্থানান্তর করা হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও তার অবস্থার কোনো উন্নতি হয়নি। ৬ মার্চ রাতে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থার অবনতি হলে ৭ মার্চ রাতে শিশুটিকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। ৯ মার্চ রাত থেকে শিশুটির চিকিৎসা চলছে রাজধানীর সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালের (সিএমএইচ) প্যাডিয়াট্রিক আইসিইউতে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: অবস থ র

এছাড়াও পড়ুন:

মাগুরার শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি

মাগুরার সেই শিশুর শারীরিক অবস্থার আবারও অবনতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তার ‘মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন’ হয়ে পড়েছে বলে জানিয়েছেন মেডিকেল বোর্ডের এক চিকিৎসক।

মেডিকেল বোর্ডের এক সদস্য আজ মঙ্গলবার সকালে প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল সোমবার সামান্য উন্নতি হয়েছিল। কিন্তু আজ শিশুটির মস্তিষ্ক প্রতিক্রিয়াহীন হয়ে পড়েছে। ঘটনার সময় শিশুটিকে যখন ফাঁস দিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়, তখন তার মস্তিষ্কে অক্সিজেনের ঘাটতি হয়। পরদিন বেলা ১১টায় হাসপাতালে নেওয়ার আগপর্যন্ত ওই অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল। ফলে দীর্ঘ সময় অক্সিজেন না পেয়ে মস্তিষ্কের বড় ক্ষতি হয়েছে।

আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটি চোখের পাতা নেড়েছে, তবে উন্নতি খুব সামান্য: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং২০ ঘণ্টা আগে

শিশুটির মামাতো ভাই প্রথম আলোকে বলেন, চিকিৎসক তাঁদের জানিয়েছেন, আজ অবস্থা ভালো নয়।

শিশুটির চিকিৎসার জন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে গঠিত বোর্ডের এক চিকিৎসক ও শিশুটির স্বজনের সঙ্গে আজ সকালে কথা বলে শিশুটির শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানা গেছে।

চিকিৎসক জানান, গ্লাসগো কোমা স্কেল (জিসিএস) (মস্তিষ্কে আঘাতের কারণে কোনো ব্যক্তির চেতনার মাত্রা পরিমাপ করা হয়) আবারও ৩–এ নেমে এসেছে। স্বাভাবিক মাত্রা ১৫। জিসিএস ৩ অবস্থাকে মস্তিষ্কের প্রতিক্রিয়াহীন অবস্থা বলে বিবেচনা করা হয়। গতকাল সকাল থেকে তার জিএসএস ৩ থেকে উন্নতি হয়ে ৫–এ উঠেছিল বলে অবস্থার কিছুটা উন্নতি ধরে নেওয়া হয়েছিল।

বোনের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়া আট বছরের এই শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন শিশুটির মা। শিশুটির ভগ্নিপতি, বোনের শ্বশুর, শাশুড়ি ও ভাশুরকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

আরও পড়ুনবোনের স্বামীর সহায়তায় শিশুটিকে ধর্ষণ করেন শ্বশুর, মামলার এজাহারে অভিযোগ০৮ মার্চ ২০২৫

গত বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অচেতন অবস্থায় শিশুটিকে মাগুরা ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন তার বোনের শাশুড়ি। পরে শিশুটির মা হাসপাতালে যান। ওই দিন দুপুরেই উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখান থেকে বৃহস্পতিবার রাতেই পাঠানো হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। এরপর শুক্রবার রাতে তাকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সংকটাপন্ন শিশুটিকে গত শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পিআইসিইউ থেকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। শিশুটিকে এখনো লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছে।

আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটির মা বললেন, ‘ইশ্‌! ক্যান যে পাঠাইছিলাম’০৯ মার্চ ২০২৫

সিএমএইচের প্রধান সার্জনকে প্রধান করে আটজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক নিয়ে বোর্ড গঠন করা হয়েছে। বোর্ডে রয়েছেন সার্জিক্যাল বিশেষজ্ঞ, স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যা বিভাগ, প্লাস্টিক সার্জন, শিশু নিউরোলজি বিভাগ, অ্যানেসথেসিয়া, শিশু হৃদ্‌রোগ বিভাগ, শিশু বিভাগের সার্জন, ইউরোলজি বিভাগ ও থোরাসিক সার্জন বিভাগের চিকিৎসকেরা।

আরও পড়ুনমাগুরার সেই শিশুটি এখনো লাইফ সাপোর্টে, অবস্থা অপরিবর্তিত১০ মার্চ ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • মাগুরার সেই শিশুর অবস্থার অবনতি, সবার কাছে দোয়া চাইলেন প্রেস উইং
  • রামু সেনানিবাসে চাকরির সুযোগ
  • মাগুরার শিশুটির অবস্থার আরও অবনতি, দুবার ‘কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট’
  • মাগুরার শিশুটির অবস্থার আবারও অবনতি
  • সিএমএইচে চিকিৎসাধীন শিশুটি লাইফ সাপোর্টে
  • মাগুরার সেই শিশুটি চোখের পাতা খুলেছে: ডেপুটি প্রেস সচিব
  • মাগুরার সেই শিশুটি এখনো লাইফ সাপোর্টে, অবস্থা অপরিবর্তিত
  • পাঁচ দিনেও জ্ঞান ফেরেনি সেই শিশুর, কাটেনি শঙ্কা
  • মাগুরার সেই শিশুর বুকে বসানো হলো টিউব