ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে (ডিপিএল) বিকেএসপির দুই ও মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামের ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করা দল বিপর্যয়ে পড়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করা তিন দলই বড় জয় নিশ্চিত করেছে। এর মধ্যে ব্রাদার্স ইউনিয়নের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে মোহামেডানকে জিতিয়েছেন তামিম ইকবাল।  

বুধবার প্রাইম ব্যাংক বিকেএসপির ৪ নম্বর মাঠে শুরুতে ব্যাট করে ২৯.

৫ ওভারে ১৫২ রান করে অলআউট হয়ে যায়। দলটির ওপেনার নাঈম শেখ ৮৩ বলে ৮১  রান করেন। চারটি চার ও পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। জবাবে ২৩.২ ওভারে ৮ উইকেটের জয় তুলে নেয় লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ।  

রূপগঞ্জের ওপেনার তানজিদ তামিম ৪৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন। সাতটি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছক্কা মারেন তিনি। তিনে নেমে সৌম্য সরকার ৪০ বলে ৫০ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। পাঁচটি চার ও দুটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। ব্যাট হাতে ১৬ রান করা ওপেনার সাইফ ৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট তুলে নেন। 

বিকেএসপির তিন নম্বর মাঠে ব্রাদার্স ইউনিয়ম শুরুতে ব্যাট করে ৪৮.৪ ওভারে ১৮৭ রানে অলআউট হয়। জবাবে ৩২.৫ ওভারে ৯ উইকেটে জয় তুলে নেয় মোহামেডান। তামিম ৯৬ বলে ১০৫ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন। নয়টি চার ও চারটি ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে। চলতি ডিপিএলের ৪ ম্যাচে এটি তার দ্বিতীয় সেঞ্চুরি। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ৭৫ রানের ইনিংস খেলেন। মোহামেডানের তাইজুল ইসলাম ৪টি ও আবু হায়দার ৩ উইকেট নেন।  

মিরপুরে পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাব ৩৩.১ ওভারে মাত্র ১০০ রান করে অলআউট হয়। আবাহনী ১৪.৩ ওভারে ৮ উইকেট হাতে রেখে ম্যাচ জিতে নেয়। পারভেজ ইমন ৫৫ রান করেন। আবাহনীর তরুণ অলরাউন্ডার মাহফুজুর রাব্বি ৯ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ৫ উইকেট তুলে নেন। 

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ড প এল ত ম ম ইকব ল র ন কর উইক ট

এছাড়াও পড়ুন:

এই আউট দেখে আপনার সন্দেহ জাগবেই

জয়ের জন্য দরকার ৬ রান, হাতে আছে ১ উইকেট। অবনমনের শঙ্কা মাথায় শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের, গুলশান ক্রিকেট ক্লাবের সামনে সুপার লিগ খেলার হাতছানি।

এমন সময়ে মিনহাজুল আবেদীন সাব্বির যে আউট হলেন, তা দেখে ধারাভাষ্যকারের কণ্ঠে বিস্ময়, ‘শকিং! আমি এমন কিছু কখনো দেখিনি।’ যে আউট দেখে আসলে প্রশ্ন জাগে দর্শকের মনেও।

ব্যাটসম্যান মিনহাজুল আবেদীনকে এগিয়ে আসতে দেখে ওয়াইড করেছিলেন নাঈম ইসলাম। কিপারের কাছে বল যাওয়ার আগেই ব্যাটটা ক্রিজের ভেতর নেওয়ার যথেষ্ট সময় ছিল মিনহাজুলের কাছে।

প্রথমবারে স্টাম্প ভাঙতে পারেননি গুলশানের উইকেটরক্ষক আলিফ হাসান। এই সময়ের মধ্যেই ব্যাটটা তিনি দাগের ভেতরেও নিয়েছিলেন, কিন্তু পুরোটা সময়ই তা শূন্যে ভাসিয়ে রেখেছেন মিনহাজুল।

পরের দফায় স্টাম্পে লাগিয়ে গুলশানের জয় নিশ্চিত করেন আলিফ। যে আউট নিয়ে প্রশ্ন জেগেছে মিরপুরে, এমনকি পরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও। ওই আউটের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ক্রিকেটার শামসুর রহমান লিখেছেন, ‘সিরিয়াসলি শেইম।’

এমন আউটের পর ৫ রানের জয়ে সুপার লিগ নিশ্চিত হয়ে গেছে গুলশানের। ১০ ম্যাচে ৬ জয়ে ১৩ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার ৩ নম্বরে উঠে গেছে তারা। ১০ ম্যাচে ১ জয় পাওয়া শাইনপুকুর আছে সবার শেষেই।

আজ টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে ৪১ ওভারে ১৭৮ রান করে অলআউট হয়ে যায় গুলশান ক্রিকেট ক্লাব। দলটির হয়ে ৫১ বল খেলে সর্বোচ্চ ৩৮ রান করেন সাকিব শাহরিয়ার। শাইনপুকুরের নিয়ন জামান নেন তিন উইকেট। পরে রান তাড়ায় নেমে শাহরিয়ার সাকিবে ৫৪ বলে ৪০ রান করে আউট হয়ে যান।

শেষ দিকে শরিফুল ইসলামের ২০ বলে ২২ রানের ইনিংসে জয়ের দিকেই এগোচ্ছিল শাইনপুকুর। দোলাচলে থাকা ম্যাচে এমন অদ্ভুতুড়ে স্টাম্পিংয়ের ঘটনা এমন এক দিনে ঘটলো, যেদিন পারটেক্স স্পোর্টিং ক্লাবের কোচ নিজের দলের ক্রিকেটারদের বিরুদ্ধেই ইচ্ছা করে নেতিবাচক ক্রিকেট খেলার ‘সন্দেহ’ প্রকাশ করেছেন।

এই আউট নিয়ে খোঁজ নিয়েছে সিসিডিএমও। সমন্বয়ক সাব্বির আহমেদ রুবেল বলেছেন, তিনি ম্যাচ রেফারির সঙ্গে কথা বলতে পারেননি। তবে তিনি জানতে পেরেছেন, কাজটা মিনহাজুল আবেদীন ইচ্ছা করে করেছেন, না কি না বুঝে, সেটা নিয়ে দুই আম্পায়ারও সন্দিহান।

অমিতের সেঞ্চুরি, মুশফিকের ৭৫

অগ্রণী ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে হারিয়ে লিগ জয়ের দৌড়ে আবাহনীর সঙ্গে ব্যবধান কাছাকাছি রেখেছে মোহামেডান। বিকেএসপিতে আজ মোহামেডান আগে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৮৭ রান। ৫৭ বলে ৬ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৭৫ রান করেন মুশফিকুর রহিম, প্রিমিয়ার লিগে এবার ষষ্ঠ ম্যাচে এসে প্রথম ফিফটি পেলেন মুশফিক। ৮৩ বলে ৬৪ রান করেন মাহিদুল ইসলাম।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অগ্রণী ব্যাংকের হয়ে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ১২৩ বলে ১০৫ রান করেন অমিত হাসান। লিস্ট–এ ক্রিকেটে এটি অমিতের পঞ্চম শতক। তবে তাঁর দল ৪৭.২ ওভারে অলআউট হয়ে যায় ২১৩ রানে। ৭৪ রানে হারের পর আপাতত পয়েন্ট তালিকায় ৫ নম্বরে অগ্রণী ব্যাংক। ১০ ম্যাচে ৮ জয় নিয়ে পয়েন্ট দুইয়ে মোহামেডান।

বড় জয় আবাহনীর

আবাহনীর জয়রথ ছুটছেই। বিকেএসপিতে আজ প্রাইম ব্যাংকের বিপক্ষে লিগ টেবিলের শীর্ষে থাকা দলটি জিতেছে ১৩৩ রানে। আগে ব্যাট করে ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে আবাহনী। ৭১ বলে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন পারভেজ হোসেন। ৭০ বলে ৫৮ রান আসে নাজমুল হোসেনের ব্যাট থেকে।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩২ ওভারে ১৫৭ রানে অলআউট হয়ে যায় প্রাইম ব্যাংক। ৭৪ বলে সর্বোচ্চ ৭৩ রান করেন নাঈম শেখ। ২৬ বলে ৪০ রান আসে শামীম হোসেনর ব্যাট থেকে।

১০ ম্যাচে ৯ জয়ে আবাহনীর পয়েন্ট ১৮, পাঁচ জয় পাওয়া প্রাইম ব্যাংক ১০ পয়েন্ট নিয়ে ৭ নম্বরে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • এই আউট দেখে আপনার সন্দেহ জাগবেই