এবার ইলন মাস্কের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট কোম্পানি স্টারলিংকের ইন্টারনেট পরিষেবা ভারতে চালু হতে যাচ্ছে। এয়ারটেলের সঙ্গে স্পেসএক্সের এ বিষয়ে একটি চুক্তিও হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।

ইকোনমিক টাইমসের সংবাদে বলা হয়েছে, মোবাইল অপারেটর কোম্পানি এয়ারটেলের অবকাঠামোর মাধ্যমে স্টারলিংকের উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা পাবেন ভারতীয় গ্রাহকেরা।

এদিকে বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারও দেশে স্টারলিংকের ব্যবসা নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা উদ্যোক্তা ইলন মাস্কের সঙ্গে ফোনে কথাও বলেছেন।

সংবাদে বলা হয়েছে, স্পেসএক্সের সঙ্গে এয়ারটেলের চুক্তি অনুযায়ী, স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবার জন্য প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতি এয়ারটেলের নির্ধারিত বিক্রয়কেন্দ্রে পাওয়া যাবে। এয়ারটেলই দেবে স্টারলিংকের সংযোগ। ডিজিটালমাধ্যমে বৈষম্য দূর করতে যৌথভাবে কাজ করবে এয়ারটেল ও স্টারলিংক। এই উদ্যোগের অংশ হিসেবে গ্রামীণ এলাকার বিদ্যালয়, হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলোতে ইন্টারনেট পরিষেবা পৌঁছে দেবে তারা।

এয়ারটেল কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানায়, ভারতে এয়ারটেল গ্রাহকদের স্টারলিংক ইন্টারনেট পরিষেবার সুযোগ দেওয়ার জন্য স্পেসএক্সের সঙ্গে চুক্তি গুরুত্বপূর্ণ। তাদের দাবি, এর ফলে আগামী প্রজন্মের কাছে উন্নত মানের ইন্টারনেট পরিষেবা অনেক দ্রুত ও সহজে পৌঁছানো যাবে। এর মাধ্যমে দুর্গম এলাকার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দেওয়া যাবে। পাশাপাশি খরচও কিছুটা কমবে। স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট গেয়ান্নে শটওয়েল বলেন, ‘এয়ারটেলের সঙ্গে কাজ করতে পারা আমাদের কাছে বড় প্রাপ্তি। ভারতে ইন্টারনেট পরিষেবার রূপান্তর ঘটাব আমরা।’

স্পেসএক্সের স্যাটেলাইট বিভাগ স্টারলিংকের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে উচ্চ গতির ইন্টারনেট পরিষেবা দেয়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে স্টারলিংকের ইন্টারনেট–সেবা বেশ জনপ্রিয়। এবার ভারতেও সেই পরিষেবা পাওয়ার সুযোগ চওড়া হলো এয়ারটেলের উদ্যোগে। এ বিষয়ে স্পেসএক্সের প্রেসিডেন্ট বলেছেন, ‘এয়ারটেলের সঙ্গে কাজের জন্য আমরা মুখিয়ে রয়েছি। ভারতবাসীর ইন্টারনেট ব্যবহারে বড় পরিবর্তন আনবে স্টারলিংক।’

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: স প সএক স র

এছাড়াও পড়ুন:

কিশোর-কিশোরীদের জন্য নতুন নিরাপত্তা–সুবিধা চালু করছে টিকটক

ছোট আকারের ভিডিও সহজে তৈরি ও বিনিময়ের সুযোগ থাকায় নিয়মিত টিকটক ব্যবহার করেন অনেকেই। কিন্তু অভিভাবকদের নজর এড়িয়ে অনেক কিশোর-কিশোরীই প্রতিদিন রাতে দীর্ঘ সময় একটানা টিকটক ব্যবহার করে। এর ফলে সময় অপচয় হওয়ার পাশাপাশি তাদের মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়। এ সমস্যা সমাধানে কিশোর-কিশোরীদের জন্য ‘উইন্ড ডাউন’ নামের নতুন নিরাপত্তা–সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে টিকটক।

টিকটকের তথ্যমতে, উইন্ড ডাউন–সুবিধা চালু হলে রাত ১০টার পর ১৬ বছরের কম বয়সী ব্যবহারকারীরা টিকটকে সক্রিয় থাকলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপের ‘ফর ইউ’ ফিড বন্ধ হয়ে যাবে এবং পর্দাজুড়ে অ্যাপটি বন্ধের বার্তা দেখিয়ে মৃদু সুর বাজানো হবে। বার্তা পাওয়ার পর টিকটক ব্যবহার করা গেলেও পুনরায় বাধ্যতামূলকভাবে টিকটক বন্ধের বার্তা দেখানো হবে। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এ সুবিধা চালু করা হয়েছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই সুবিধাটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে।

টিকটক জানিয়েছে, ব্যবহারকারীদের সুবিধাজনক ও ভারসাম্যপূর্ণ ডিজিটাল অভ্যাস গড়ে তুলতে নতুন এ নিরাপত্তব্যবস্থা চালু করা হচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে উইন্ড ডাউন–সুবিধায় মেডিটেশন অনুশীলন যুক্ত করার পরিকল্পনা রয়েছে। গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত মেডিটেশন মানসিক প্রশান্তি আনার পাশাপাশি ঘুমের মানোন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

উইন্ড ডাউন–সুবিধা ছাড়াও কম বয়সীদের অ্যাপ ব্যবহারের সময় নির্ধারণে ‘টাইম অ্যাওয়ে’ নামের নতুন প্যারেন্টাল কন্ট্রোল ব্যবস্থা চালু করেছে টিকটক। নতুন এ সুবিধার মাধ্যমে অভিভাবকেরা স্কুল, পারিবারিক সময়, রাত বা ছুটির দিনে সন্তানদের টিকটক ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ করতে পারবেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ