সহকারীর লাশ উত্তোলন নিয়ে যা বললেন তানজিন তিশা
Published: 12th, March 2025 GMT
অভিনেত্রী তানজিন তিশার ব্যক্তিগত সহকারী আল-আমিন জুলাই অভ্যুত্থানে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ঘটনার ৭ মাস পর ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজের নেতৃত্বে এবং উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের তত্ত্বাবধানে শ্রীনগর উপজেলার বালাসুর কাশেমনগর কবরস্থান থেকে তার মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন তানজিন তিশা। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, “আল-আমিন শুধু সহকারী নয়, সে আমার ভাই যে আমার সাথে পাঁচটি বছর ছিল। যে ছিল নিষ্পাপ একটি ছেলে এবং সে জুলাই ও আগস্টের আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয়ে শহীদ হয়। সাত মাস পর আল আমিনের মরদেহ কবর থেকে ওঠানোর মতো নির্মম বিষয়টি আমি মোটেও সমর্থন করছি না।”
আরো পড়ুন:
একজন তানজিন তিশা আর ভিউ বাণিজ্য
তিশার স্ট্যাটাসে ফারহানের নাম নিয়ে ধোঁয়াশা
প্রশ্ন তুলে এই অভিনেত্রী লিখেছেন, “এই কর্মের মাধ্যমে কি লাভ হবে? শুধু ওর আত্মাটা কষ্ট পাচ্ছে। খবরটি পাওয়ার পর বিষয়টি আমার কাছে মেনে নেওয়া অনেক কষ্টদায়ক। এর পেছনে যে বা যারা জড়িত তারা কোন উদ্দেশ্যে এই কাজটি করেছে আমি চিন্তা করে খুবই হতবাক। ভাইয়া তুই ভালো থাকিস।”
আল-আমিনের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে গত বছরের ১৯ জুলাই রাজধানীর উত্তরায় গুলিতে নিহত হন আল আমিন। পরে তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে ময়নাতদন্ত ছাড়াই ২০ জুলাই শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তার গ্রামের বাড়িতে দাফন করা হয়।
ঘটনার চার মাস পর ডিসেম্বরে নিহতের বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আল-আমিনের বাবা আইয়ুব খলিফার সম্মতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহীন মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে ৭ মাস পর শহীদ আল-আমিনের মরদেহ তোলা হয়েছে। মরদেহ উত্তোলন করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সিগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ট ভ ন টক কবর থ ক ম স পর মরদ হ সহক র
এছাড়াও পড়ুন:
ছাত্র আন্দোলনে নিহত তানজিন তিশার সহকারীর লাশ কবর থেকে উত্তোলন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী আল-আমিন (১৮) নিহত হন। মৃত্যুর সাত মাস পর তার লাশ মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার একটি কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) দুপুরে শ্রীনগরের বালাসুর কাশেম নগর কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ পারভেজ, উত্তরা পশ্চিম থানা ও শ্রীনগর থানা পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
২০২৪ সালের ১৯ জুলাই ঢাকার উত্তরায় গুলিবিদ্ধ হন আল-আমিন। পরে তাকে উত্তরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরদিন ময়নাতদন্ত ছাড়াই গ্রামের বাড়ি শ্রীনগর উপজেলার কাশেমনগর কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
আরো পড়ুন:
নেত্রকোণার ধনু নদ থেকে ৩ জনের মরদেহ উদ্ধার
ট্যাপ থেকে বের হচ্ছিল রক্তযুক্ত পানি, ট্যাংকে পাওয়া গেল লাশ
নিহতের বাবা আইয়ুব খলিফা জানান, অভিনেত্রী তানজিন তিশার সহকারী হিসেবে কাজ করত তার ছেলে। সেই সুবাদে ঢাকায় বসবাস করত সে। জুলাই অভ্যুত্থানের তার ছেলে নিহত হয়। এ ঘটনায় ২০২৪ সালে বড় ভাই বাদল খলিফা বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উত্তরা পশ্চিম থানার এসআই শাহীন মাহমুদ বলেন, “ময়নাতদন্তের জন্য কবর থেকে সাত মাস পর তোলা হয়েছে নিহত আল আমিনের লাশ। লাশটি মুন্সীগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।”
ঢাকা/রিটন/মাসুদ