জীবনযাপনে ছিলেন কিছুটা অগোছালো। মাঝেমধ্যে রাতে বাড়ি ফিরতেন না। এ কারণে তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকলেও পরিবারের কেউ খোঁজ করেননি। তবে আজ বুধবার বাড়ির পাশের একটি বাগানে পাওয়া যায় তাঁর লাশ।

নিহত ব্যক্তির নাম কামরুল ইসলাম ওরফে রুবেল (২৫)। তাঁর বাড়ি নোয়াখালী সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের করিমপুর গ্রামে। স্থানীয় লোকজনের তথ্যের ভিত্তিতে আজ বেলা একটার দিকে সুধারাম থানার পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

নিহত কামরুল ইসলাম করিমপুর গ্রামের ইউছুপ নবী গাজীর ছেলে। ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে তিনি বলেন, গত সোমবার বিকেল থেকে কামরুলের খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। তাঁরা ভেবেছিলেন, কামরুল হয়তো শ্বশুরবাড়িতে রয়েছেন। তাই থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেননি।

ইউছুপ নবী আরও বলেন, এলাকার এক ব্যক্তি বাড়ির পাশের বাগানের ভেতর দিয়ে গরুর জন্য ঘাস কাটতে যাচ্ছিলেন। এ সময় তিনি দেখেন, বাগানের ভেতরে বাঁশের তৈরি একটি মাচার পাশে কামরুলের লাশ পড়ে আছে। তাঁর চিৎকারে আশপাশের লোক জড়ো হন। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন সুধারাম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শ্রীবাস দাশ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, লাশ দেখে মনে হয়েছে কয়েক দিন আগে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লাশের পাশে কীটনাশকের প্যাকেট পাওয়া গেছে।

সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, প্রাথমিকভাবে ঘটনাটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের অভিযোগের আলোকে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েটের ৩৭ শিক্ষার্থী সাময়িক বহিষ্কার, ক্লাস শুরু ৪ মে 

সংঘর্ষের জড়িত থাকার অভিযোগে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। সোমবার রাতে কুয়েটের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া সভায় শিক্ষার্থীদের জন্য ২ মে হল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হবে ৪ মে। 

কুয়েটের জনসংযোগ কর্মকর্তা শাহেদুজ্জামান শেখ জানান, সোমবার রাতে জরুরি সিন্ডিকেট সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভায় ১৯ ফেব্রুয়ারি গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শৃঙ্খলা কমিটির কাছে পাঠানো নির্দেশ দেওয়া হয়।

তিনি জানান, সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল শিক্ষা কার্যক্রম ৪ মে থেকে শুরু এবং সকল আবাসিক হল ২ মে থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
তবে এতে সন্তুষ্ট হয়নি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। তারা হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। 

হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত শিক্ষার্থীদের: তবে হল না খোলা পর্যন্ত প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শিক্ষার্থীরা। রোববার বেলা ৩টা থেকে তারা সেখানে অবস্থান করছেন। 

শিক্ষার্থীরা বলেন, তাদের দাবি ছিল আজ সোমবার রাত থেকেই হল খুলে দেওয়ার। এছাড়া সিন্ডিকেট সভা শেষে তারা অপেক্ষা করছিলেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্তের বিষয়গুলো তাদের জানাবে। কিন্তু কেউ তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে সিদ্ধান্তগুলো জানাননি। হল খোলা ও একাডেমিক কার্যক্রম শুরুর অনেক দিন দেরি রয়েছে। একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ থাকায় তাদের লেখাপড়া বিঘ্নিত হচ্ছে। এছাড়া হলে থাকতে না পারায় তাদের টিউশনি বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।  

প্রসঙ্গত, ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবি নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্রদলের সঙ্গে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসীর সংঘর্ষে শতাধিক আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য একাডেমিক কার্যক্রম ও হল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। 

সম্পর্কিত নিবন্ধ