প্রবাসীদের গাড়ি টার্গেট করে চলে ডাকাতি: পুলিশ
Published: 12th, March 2025 GMT
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ডাকাতিতে সক্রিয় ৩টি গ্রুপ। এসব গ্রুপে ৩০-৩৫ জনের মতো রয়েছে। তারা রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে আসা প্রবাসীদের গাড়ি টার্গেট করে ডাকাতি করে এই তিনটি গ্রুপ। ২৭ ফেব্রুয়ারি ও ১ মার্চ এ মহাসড়কে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে প্রবাসীদের দুটি গাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় চৌদ্দগ্রাম থানা ও জেলা গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) পুলিশ আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে। এ সময় লুণ্ঠিত মালামালের কিছু অংশ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নাজির আহমেদ খান।
তিনি আরও বলেন, মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন জেলার ডাকাতরা সংঘবদ্ধ হয়। বিশেষ করে ঢাকার বিমান বন্দরসহ মহাসড়কের পাশে বড় বড় হোটেল রেস্টুরেন্টগুলোকে ঘিরে ডাকাত দলের সোর্স রয়েছে। ঢাকা বিমান বন্দর থেকে তারা প্রবাসীদের বহন করা গাড়িগুলোকে টার্গেট করে মহাসড়কে ডাকাতি সংঘটিত হয়। সম্প্রতি ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে চৌদ্দগ্রামের ফাল্গুনকরা এলাকায় কুয়েতপ্রবাসী চট্টগ্রামের জোরারগঞ্জের নাইমুল ইসলাম এবং মালয়েশিয়াপ্রবাসী ফেনীর দাগনভূঁয়ার বেলাল হোসেনের গাড়িতে একই কায়দায় পিকআপ ভ্যান দিয়ে ব্যারিকেড সৃষ্টি করে ডাকাতি করা হয়। তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো.
গ্রেপ্তাররা হচ্ছে- চাঁদপুর জেলার কচুয়া থানার মনপুরা গ্রামের আবদুল মান্নানের ছেলে আবদুল হান্নান (৩৫), লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানার চরমোহনা গ্রামের মৃত সিরাজ মোল্লার ছেলে শরীফ হোসেন (৪৫), কুমিল্লার চান্দিনা থানার নুরপুর গ্রামের তাজুল ইসলামের ছেলে আলাউদ্দিন (৩৫) ও একই থানার জোরপুকুরিয়া গ্রামের মৃত রমিজ উদ্দিনের ছেলে নজরুল ইসলাম (৬০)।
পুলিশ সুপার বলেন, সড়ক-মহাসড়ক নিরাপদ রাখতে কুমিল্লা অংশে হাইওয়ে পুলিশের সঙ্গে সমন্বয় করে জেলা পুলিশের ১০টি বিশেষ টিম কাজ করছে। ঢাকা বিমান বন্দর থেকে ছেড়ে আসা প্রবাসীদের গাড়িগুলোকে মেঘনা টোলপ্লাজা এলাকায় একত্রিত করা হয়। তাদের মধ্যে যারা পুলিশি সহায়তা নিতে চায় তাদেরকে ওখানকার হাইওয়ে পুলিশ কুমিল্লা অংশে এনে আমাদের কাছে পৌঁছে দিলে পর্যাপ্ত পুলিশ পাহারার মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা পুলিশ তাদেরকে গন্তব্যে পৌঁছে দেয়। গত দুই-তিন দিন ধরে প্রবাসীদের প্রায় শতাধিক গাড়িকে এভাবে নিরাপদে তাদের গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।
এ সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরাফাতুল ইসলাম ও রাশেদুল হক চৌধুরী, জেলা ডিবির ওসি মো. আবদুল্লাহ, চৌদ্দগ্রাম থানার ওসি মো. হিলাল উদ্দিনসহ জেলা পুলিশের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: প রব স দ র ব ম ন বন ল ইসল ম আবদ ল
এছাড়াও পড়ুন:
বার্সেলোনা নয়, মেসি মায়ামিতেই থাকছেন
লিওনেল মেসির এখন খেলছেন ইন্টার মায়ামিতে। মেজর লিগ সকারের (এমএলএস) ক্লাবটির সঙ্গে চুক্তি চলতি বছরের ডিসেম্বর পর্যন্ত। এর কোথায় যাবেন বিশ্বকাপজয়ী এই ফুটবলার? গুঞ্জন ছিল বার্সেলোনা বা নিউওয়েলস ওল্ড বয়েজে যোগ দিতে পারেন এই ফরোয়ার্ড। তবে সেই জল্পনা-কল্পনাতে পানি ঢেলে দিয়ে ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-এর দাবি, মেসির সাথে মায়ামির চুক্তি নবায়ন প্রক্রিয়া মোটামুটি চূড়ান্ত।
মেসি দারুণ খেলছে মায়ামিতে। ৩৭ বছর বয়সেও এই আর্জেন্টাইন তারকার বয়স যত বাড়ছে, ততই উজ্জ্বল হচ্ছে পারফরম্যান্স। বার্সেলোনার কিংবদন্তি এই বাঁ-পায়ের জাদুকর মায়ামির হয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুমে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে ৮ গোল ও ৩ অ্যাসিস্ট করেছেন। স্বাভাবিকভাবেই এমন ‘সোনার ডিম পাড়া হাঁস’কে ছেড়ে দিবে না ক্লাবটি।
মেসির দুর্দান্ত পারফরম্যান্স এবং মার্কেট ভেল্যুই ইন্টার মায়ামির ক্রীড়া বিভাগকে চুক্তি নবায়নের দিকে বাধ্য করেছে। ‘দ্য অ্যাথলেটিক’-এর সাংবাদিক ডেভিড অর্নস্টাইনের মতে, মেসির চুক্তি নবায়নের দ্বারপ্রান্তে ইন্টার মায়ামি। এই চুক্তি নবায়ন মায়ামির নতুন স্টেডিয়াম ‘মায়ামি ফ্রিডম পার্ক’-এর উদ্বোধনের সঙ্গেও মিল রেখে হতে পারে। যেখানে পরবর্তী মৌসুম থেকে ক্লাবটির ঘরোয়া ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। ‘লাস গারসাস’-এর প্রধান আকর্ষণ হিসেবে মেসির উপস্থিতি এই সময়ে অপরিহার্য বলে ধরা হচ্ছে।
আরো পড়ুন:
মেসি ম্যাজিকে সেমিফাইনালে মায়ামি
গোল করেও মায়ামিকে জেতাতে পারলেন না মেসি
এছাড়াও মায়ামিতে মেসির জন্য একটি আদর্শ পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখানে তিনি তার সাবেক বার্সেলোনা সতীর্থ লুইস সুয়ারেজ, সার্জিও বুসকেটস এবং ইয়র্দো আলবার সঙ্গে খেলছেন। আর দলের কোচ হিসেবে আছেন তারই সাবেক সতীর্থ ও স্বদেশি, হাভিয়ের মাসচেরানো। এই ক্রীড়া প্রকল্পে মেসিই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ গোলদাতা (৪২), সর্বোচ্চ অ্যাসিস্ট প্রদানকারী (২১)। তাছাড়া তিনি ক্লাবের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খেলোয়াড়। পাশাপাশি, যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম জনপ্রিয় ক্রীড়া ও গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বও ৭ বারের ব্যালন ডি-ওর জয়ী।
মেসির এই ধারাবাহিকতা পেছনে কারণও আছে। মায়ামিতে খেলার সুবাদে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো-কানাডায় অনিষ্ঠিতব্য ২০২৬ বিশ্বকাপ প্রস্তুতিটা দারুণভাবেই সারছেন ৩৭ বছর বয়সী এই ফুটবলার। আর্জেন্টিনা ইতিমধ্যেই বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করে ফেলেছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এটাই মেসির জাতীয় দলের হয়ে শেষ বড় টুর্নামেন্ট।
ইন্টার মায়ামির সভাপতি জর্জ মাসও সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, “তার (মেসির) ইচ্ছে হলো যুক্তরাষ্ট্রে বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হয়ে খেলা এবং শিরোপা রক্ষা করা, যা আমাদের জন্যও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।” ২০২৪ সালের জুনে ‘ইএসপিএন আর্জেন্টিনা’-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মেসি নিজেও বলেছিলেন, “আমার মনে হয় ইন্টার মায়ামিই হবে আমার শেষ ক্লাব।”
ঢাকা/নাভিদ