অপরাধীরা সাধারণত কারাগারে যেতে চান না। পুলিশের গ্রেপ্তার এড়াতে কত ফন্দিফিকিরই না করেন তাঁরা। সেখানে ভারতের মুকেশ কুমার রাজাক কোনো অপরাধ না করেও কারাগারে যেতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন। পুলিশ বিনা অপরাধে গ্রেপ্তার করতে রাজি না হওয়ায় মুকেশ এক হোম গার্ডকে মেরে বসেন।

মুকেশ ভারতের ঝাড়খন্ড রাজ্যের কোডারমা জেলার বাসিন্দা। নিউজ১৮–এর খবর অনুযায়ী, উদ্ভট ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খন্ডের ডুমচাঞ্চ থানা এলাকার ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে।

মুকেশ একদিন সেখানে হাজির হয়ে হোম গার্ড (হোম গার্ড ভারতীয় পুলিশেরই অংশ) চেতন মেহতার কাছে তাঁকে গ্রেপ্তার করে কারাগারে নিয়ে যাওয়ার দাবি জানান। ওই সময় চেতন সেখানে দায়িত্ব পালন করছিলেন। মুকেশকে পুলিশ সদস্য চেতন বোঝানোর চেষ্টা করেন, কারাগারে যেতে হলে আইনি কারণ লাগে। কোনো অভিযোগ ছাড়া তিনি কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেন না।

চেতনের কথায় কান না দিয়ে মুকেশ বারবার তাঁকে গ্রেপ্তার করার জন্য জোরাজুরি করতে থাকেন। এরপরও তাঁর দাবি মানা না হলে হঠাৎই তিনি চেতনের ওপর চড়াও হন এবং তাঁর মুখে কয়েকবার আঘাত করেন। সঙ্গে সঙ্গে মুকেশকে আটক করেন চেতন।

আটক করার পর মুকেশকে ডুমচাঞ্চ থানায় নিয়ে যাওয়া হয় এবং তাঁর বিরুদ্ধে একটি আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দায়ের করা হয়।

ওই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মুকেশের বিরুদ্ধে একটি মামলা করে এবং গতকাল মঙ্গলবার তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার দেখিয়ে কোডারমা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, পারিবারিক অশান্তির কারণে মুকেশ ভয়াবহ মানসিক সংকটের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। এ কারণেই হয়তো তিনি কারাগারে যাওয়ার দাবি তোলেন এবং পুলিশকে আঘাত করেন।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: গ র প ত র কর

এছাড়াও পড়ুন:

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির দোয়া ও ইফতার মাহফিল 

পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির উদ্যোগে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ( ১২ মার্চ) নারায়ণগঞ্জ আইনজীবী সমিতির বার ভবনে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। 

এসময়ে ইফতার আগ মুহূর্তে আইনজীবী সমিতির সকল প্রয়াত সদস্যদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং সকল আইনজীবীদের সু- স্বাস্থ্য  ও দীর্ঘায়ু  কামনা করেসহ দেশবাসীর মঙ্গল কামনায় মোনাজাত পরিচালনা করা হয়।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এড. সরকার হুমায়ুন কবিরের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এড. এইচ এম আনোয়ার প্রধানের সঞ্চালনায় দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আবু শামীম আজাদ, জেলা ও দায়রা জজ বিচারক ( নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল) মো. হাসানুল ইসলাম, জেলা বিজ্ঞ চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, মো: রবিউল ইসলাম, জেলা অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: আব্দুল্লাহ আল মাসুম, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো: শামসুর রহমান, জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এড. সাখাওয়াত হোসেন খান, সাবেক সভাপতি এড. আব্দুল বারী ভুঁইয়া, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এড. জাকির হোসেন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব এড. আবু আল ইউসুফ খান টিপু, জেলা আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড. আবুল কালাম আজাদ জাকির, জেলা আদালতের জিপি এড. খন্দকার আবুল কালাম আজাদ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি এড. খোরশেদ আলম মোল্লা, সিনিয়র আইনজীবী এড. রফিক আহমেদ, এড. আঃ গাফফার, এড. জয়নাল আবেদীন,এড. বোরহান উদ্দিন সরকার, এড. মশিউর রহমান শাহিন, এড. হাফিজুর রহমান মোল্লা, এড. রাকিবুল ইসলাম শিমুল, এড. আজিজুল হক হান্টু, এড. শামসুল আরেফীন টুটুল,  এড. সালাউদ্দিন সবুজ, এড. কামরুজ্জামান রতন, এড. কায়সার আলম টুটুল। 

এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন, আইনজীবী সমিতির সিনিয়র সহ- সভাপতি এড. আজিজ আল মামুন, সহ-সভাপতি এড. মাইনুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এড. আলম খান, কোষাধ্যক্ষ এড. জাহিদুল ইসলাম মুক্তা, আপ্যায়ন সম্পাদক এড. শেখ আঞ্জুম আহমেদ রিফাত, লাইব্রেরী সম্পাদক এড. সিদ্দিকুর রহমান, ক্রীড়া সম্পাদক এড. রাসেল প্রধান সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক এড. আসমা হেলেন বিথি, সমাজ সেবা সম্পাদক এড. ফজলুর রহমান ফাহিম, আইন ও মানবাধিকার সম্পাদক এড. মোজাম্মেল হক মল্লিক শিপলু, সদস্য এড. ফাতেমা আক্তার, এড. নুরুল কাদের সোহাগ, এড. আবুল কালাম আজাদ, এড. মো. সুমন মিয়া, এড. আকতার হোসেনসহ সিনিয়র ও জুনিয়র আইনজীবীবৃন্দ।

সম্পর্কিত নিবন্ধ