রাজশাহীতে হাবিবুল হাসান হাসিব (২৫) নামে ধর্ষণ মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। 

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে রাজশাহী নগরের সুলতানাবাদ বেদারপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৫ এর রাজশাহীর একটি দল। হাসিবের বাড়ি জেলার পবা উপজেলার বজরাপুর গ্রামে।

বুধবার (১২ মার্চ) দুপুরে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, ২৪ বছর বয়সী এক তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলেছিলেন হাসিব। এরপর পদ্মা নদীর ধারে বেড়ানোর কথা বলে,একটি বাসায় নিয়ে অন্য দুজনের সহযোগিতায় ২০২২ সালের ১০ মার্চ ও ১১ জুলাই তরুণীকে ধর্ষণ করেন হাসিব। পরে ওই তরুণী বিয়ের জন্য চাপ দিলে হাসিব কৌশলে বাড়ি পালিয়ে যান এবং সিম পাল্টে মেয়েটির সঙ্গে যোগাযোগও বন্ধ করে দেন। এ ঘটনায় নগরের বোয়ালিয়া থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী।

আরো পড়ুন:

ভাগ্নিকে ‘ধর্ষণ’ চেষ্টার আসামি নাটোরে গ্রেপ্তার

ছেলের পর কিশোরীকে ‘ধর্ষণ’ করেন বাবা

র‌্যাব আরো জানায়, মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন হাসিব। তাকে গ্রেপ্তার করে বোয়ালিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। হাসিবের দুই সহযোগিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছে র‌্যাব।

ঢাকা/কেয়া/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর

এছাড়াও পড়ুন:

মা-ছেলে নিখোঁজ, অপরিচিত ব্যক্তি ফোনে বললেন ‘তারা ভালো আছেন’

রাজধানীর ওয়ারী থেকে এক নারী ও তার শিশুসন্তান রহস্যজনকভাবে নিখোঁজ হয়েছেন। তারা হলেন– লামিয়া তাসমেরী মুন (৩২) ও আহনাফ কবির ইনাফ (৭)। মঙ্গলবার দুপুরে ছেলেকে নিয়ে স্কুল থেকে বের হওয়ার পর আর তাদের সন্ধান মেলেনি। সন্ধ্যায় একটি মোবাইল ফোন নম্বর থেকে কল করে স্বজনকে বলা হয়, ‘তারা ভালো আছেন।’ এরপর সেই নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে।

লামিয়ার স্বামী হুমায়ুন কবির পুরান ঢাকার নবাবপুরে ইলেকট্রনিক সামগ্রীর ব্যবসা করেন। তিনি সমকালকে জানান, ওয়ারীর যুগীনগর লেনে পরিবারের সঙ্গে থাকেন লামিয়া। মঙ্গলবার সকাল ১০টায় ওয়ারী স্ট্রীটের তিন নম্বর গলির ইএলসি স্কুলে ইনাফের পরীক্ষা ছিল। এজন্য ছেলেকে নিয়ে তিনি স্কুলে যান। দুপুর ১২টায় পরীক্ষা শেষ হওয়ার পর মা–ছেলে স্কুলের সামনে থেকে হেঁটে অদূরে চৌরাস্তা পর্যন্ত যান। এই দৃশ্য সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে। তবে এরপর তারা কোন দিকে গেছেন, নাকি কেউ তাদের তুলে নিয়ে গেছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তাদের মোবাইল ফোন নম্বরও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। 

হুমায়ুন কবির জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ইফতারের আগে অজ্ঞাতপরিচয় এক ব্যক্তি লামিয়ার মা মনোয়ারা বেগমকে কল করে বলেন, আপনার মেয়ে ও নাতি ভালো আছে। পরে সেই নম্বরটির ব্যাপারে খোঁজ নেওয়া হয়। দেখা যায়, বরিশালের হিজলার এক ব্যক্তির নামে সেটির নিবন্ধন রয়েছে। সেই ব্যক্তি নারায়ণগঞ্জে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তা। তবে কলটি করা হয়েছে ডেমরার ডগাইর এলাকা থেকে। এ বিষয়ে ওয়ারী থানা পুলিশ ও র‌্যাবের কাছে লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে।

ওয়ারী থানার ওসি ফয়সাল আহমেদ সমকালকে বলেন, নিখোঁজ নারী–শিশুর সম্ভাব্য একটি অবস্থানের তথ্য পেয়েছে পুলিশ। সেখানে অভিযান চালানো হচ্ছে। তাদের উদ্ধারের পর জানা যাবে প্রকৃতপক্ষে কী ঘটেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ